প্রকাশ: 28/10/2023
আওয়ামী লীগ,
বিএনপিসহ অন্তত ৩৫টি রাজনৈতিক দলের সমাবেশ ঘিরে রাজধানীকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা
হয়েছে। ঢাকার প্রবেশপথ ও মোড়ে মোড়ে নিরাপত্তা চৌকি বসানো হয়েছে। মাঠে রয়েছেন র্যাব
ও পুলিশের ১৫ হাজার সদস্য। নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করছেন বিভিন্ন সংস্থার সদস্যরাও।
র্যাবের গণমাধ্যম
শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানিয়েছেন, সমাবেশের সময় যাতে নাশকতার জন্য
কেউ কোনো অস্ত্র ও বিস্ফোরক বহন করতে না পারে সেজন্য ঢাকার প্রবেশ পথগুলোতে তল্লাশি
চৌকি বসানো হয়েছে।
ঢাকা মহানগর
(ডিএমপি) পুলিশের কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, সংবিধানে যেকোনো রাজনৈতিক দলের শান্তিপূর্ণভাবে
রাজনৈতিক আন্দোলন, মিছিল, মিটিং ও সমাবেশ করার অধিকার রয়েছে। এসব ক্ষেত্রে পুলিশ নিরাপত্তাও
দিয়ে থাকে। কিন্তু কর্মসূচির আড়ালে কেউ সহিংস পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করলে কঠোর হস্তে
দমন করা হবে।
এর আগে গত ১৮
অক্টোবর সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে বিএনপি নয়াপল্টনে মহাসমাবেশ করার ঘোষণা দেয়।
এরপর আওয়ামী লীগও একই দিন ঘোষণা দেয় যে তারা ২৮ অক্টোবর বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে
শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ করবে। ফলে সাধারণ মানুষের মাঝে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা তৈরি হয়েছে।
বিএনপি মহাসমাবেশের
ঘোষণার তিন দিনের মাথায় ২১ অক্টোবর পুলিশকে চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানায়। পুলিশের পক্ষ থেকে
২৬ অক্টোবর বিএনপিকে চিঠি দিয়ে মহাসমাবেশের জন্য দুটি বিকল্প জায়গা ভাবতে বলা হয়। সঙ্গে
চাওয়া হয় সাত ধরনের তথ্য- সমাবেশে লোকসমাগমের সংখ্যা, সময়, বিস্তৃতি, কোন কোন স্থানে
মাইক লাগানো হবে, অন্য দলের কেউ উপস্থিত থাকবেন কি না ইত্যাদি।
বিএনপি একই
দিন পুলিশকে চিঠি দিয়ে জানায়, তারা সমাবেশ নয়াপল্টনেই করবে। অন্য কোনো জায়গার প্রস্তাব
বিএনপির পক্ষ থেকে দেয়া হয়নি। এছাড়া আওয়ামী লীগ ২৮ অক্টোবর যে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ
ডেকেছে, তার দুটি বিকল্প জায়গা ঠিক করতে পুলিশ চিঠি দিয়েছিল। পাশাপাশি সমাবেশ নিয়ে
সাতটি তথ্য জানতে চেয়েছিল।
জবাবে পুলিশকে
দেয়া চিঠিতে আওয়ামী লীগ জানায়, তারা বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ ফটকেই সমাবেশ করবে। চিঠিতে
বলা হয়, ‘২৮ অক্টোবর (শনিবার) শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের
দক্ষিণ গেটে আয়োজনের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি (মঞ্চনির্মাণ ও প্রচার-প্রচারণার কার্যক্রম)
ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। এমতাবস্থায় স্বল্প সময়ের মধ্যে অন্য কোনো ভেন্যুতে নতুনভাবে
সমাবেশের প্রস্তুতি গ্রহণ করা দুরূহ ব্যাপার।’
নানান নাটকীয়তা
শেষে শুক্রবার রাতে বিএনপি ও আওয়ামী লীগকে তাদের পছন্দের জায়গায় সমাবেশের অনুমতি দেয়
ঢাকা মহানগর পুলিশ। এর আগ পর্যন্ত দুদলের কাউকেই মঞ্চ তৈরি করতে দেওয়া হয়নি। মাঝ পথেই
বন্ধ করা হয়েছিল আওয়ামী লীগের মঞ্চ তৈরির কাজ।
এদিকে, সমাবেশকে
কেন্দ্র করে কয়েকদিন আগ থেকেই রাজধানীতে আসতে থাকেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। তবে, শুক্রবার
রাত থেকেই সমাবেশস্থলে অবস্থান নেয় নেতাকর্মীরা। কিন্তু শনিবার সকাল থেকে বিভিন্ন জায়গা
থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নয়াপল্টানে আসতে থাকেন তারা। এ সময় বিভিন্ন স্লোগান দিতে
দেখা যায় তাদের।
প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান
বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭