আজ যখন বিএনপি ঢাকা শহরে তান্ডব করছে তখন বিএনপির কয়েকজন শীর্ষ নেতা ছুটে গিয়েছিলেন আমেরিকান ক্লাবে। সেখানে মার্কিন দূতাবাসের উর্ধতন কূটনৈতিকদের সাথে সাক্ষাৎ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আমেরিকান ক্লাবে গিয়ে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করার পরও মার্কিন দূতাবাসের কোনো কূটনৈতিক বিএনপির নেতাদের সাথে সাক্ষাৎ করেনি। সেখানে তারা হতাশ হয়ে ফিরে এসেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ থেকে জানা যায় যে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, শ্যামা ওবায়দ সহ কয়েকজন নেতা ছুটে গিয়েছিলেন আমেরিকান ক্লাবে। সেখানে মার্কিন দূতাবাসের প্রতিনিধিদের কাছে বাংলাদেশের ঘটনাবলী নিয়ে তাদের মতো করে ব্যাখ্যা দিতে চেয়েছিলেন। বিশেষ করে বিএনপির কর্মীরা যে বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ করেছে তার দায় সরকার এবং আওয়ামী লীগের ওপর চাপানোর উদ্দেশ্যেই আমীর খসরু মাহমুদের নেতৃত্বে গিয়েছিলেন। তারা কয়েক দফা মার্কিন দূতাবাসের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথে টেলিফোনে যোগাযোগেরও চেষ্টা করেন। কিন্তু মার্কিন দূতাবাসের কোনো কর্মকর্তারাই বিএনপি নেতৃবৃন্দের ডাকে সাড়া দেননি। তারা বিএনপি নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎও করেননি। ফলে সন্ধ্যা নাগাদ তারা হতাশ হয়ে ফিরে আসেন।
উল্লেখ্য, আজ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া এক টুইট বার্তায় সালমান এফ রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং সেই সাক্ষাৎকারে নির্বাচন, রোহিঙ্গা ইস্যু সহ বিভিন্ন ইস্যুতে তাদের মধ্যে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন। এর পরপরই বিএনপির মধ্যে এক ধরনের হতাশা ছড়িয়ে পড়ে।
অনেকেই মনে করেন যে এই হতাশার কারণেই বিএনপির আজ শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের পর থেকে সরে এসে সহিংস কর্মসূচির পথ বেছে নিয়েছে। এখন দেখার বিষয় যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহানুভূতি না পাওয়ার পর বিএনপি পরবর্তীতে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে।