ইনসাইড পলিটিক্স

বিদেশি দূতাবাসে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ


প্রকাশ: 29/10/2023


Thumbnail

২৮ অক্টোবরের ঘটনার পর এই ঘটনার দায়-দায়িত্ব একে অন্যের ওপর চাপানোর চেষ্টা করছে। এ নিয়ে প্রধান দুটি রাজনৈতিক দল এখন তথ্য সংগ্রহ করার প্রতিযোগিতায়। এই সমস্ত তথ্যগুলো পশ্চিমা দেশের দূতাবাস গুলোতে পৌঁছে দিচ্ছেন আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি উভয় দলের নেতারাই।

আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে যে এইসব ঘটনা ঘটিয়েছে বিএনপি এবং জামায়াত। এটি তাদের একটি ছিল পূর্ব পরিকল্পিত। কারা নির্বাচন বানচালের যে ষড়যন্ত্র করছে এবং সাংবিধানিক ধারাকে ব্যাহত করার চেষ্টা করছে সেই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই গতকালকে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজ, ছবি ইত্যাদি দিয়ে আওয়ামী লীগ সুস্পষ্ট ভাবে প্রমাণ করতে চাইছে যে এই সমস্ত ঘটনা গুলো বিএনপির ক্যাডাররাই করেছে। বিশেষ করে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা, পুলিশ হাসপাতালে হামলার ঘটনা দুটিতে বিএনপি নেতাদেরকে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে। এছাড়াও একজন পুলিশকে নির্মম ভাবে পেটানোর ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। 

বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছেন, আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ দুজন নেতা মার্কিন দূতাবাসের কাছে ইমেইলে বিএনপির সন্ত্রাস এবং তাণ্ডব গুলোর সচিত্র চিত্র এবং এ ব্যাপারে একাধিক প্রতিবেদন দিয়েছেন। এর মাধ্যমে আওয়ামী লীগের ওই দুই নেতা প্রমাণ করতে চাইছেন যে বিএনপি আসলে দেশে নির্বাচন চায় না। তারা সন্ত্রাস এবং সহিংসতা চায়। আর এই জন্যই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসার নীতি তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োগ করা প্রয়োজন বলেও আওয়ামী লীগের ওই দুই নেতা তাদের মতামত ব্যক্ত করেছেন। 

শুধু মার্কিন দূতাবাসে নয়, বিএনপির এই সন্ত্রাস নাশকতা ইউরোপীয় ইউনিয়ন, অস্ট্রেলিয়া দূতাবাস, কানাডা দূতাবাস, যুক্তরাজ্যের দূতাবাস সহ বিভিন্ন পশ্চিমা দেশের দূতাবাসেও পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। অবশ্য এই পাল্টা অভিযোগে বিএনপিও পিছিয়ে নেই।বিএনপির পক্ষ থেকে তাদের নেতা রুমিন ফারহানা এবং শামা ওবায়েদ দুজনই বিভিন্ন দূতাবাসে এই ঘটনার জন্য আওয়ামী লীগকে দায়ী করেছেন এবং এটির পিছনে সরকারের হাত রয়েছে বলে তারা মন্তব্য করেছেন। বিশেষ করে একটি গাড়িতে ডিবি পোশাক পরা ব্যক্তিদের আগুন দেওয়ার ঘটনাটিকেই তারা বড় করে দেখাচ্ছেন। তবে ডিবির প্রধান ইতোমধ্যে জানিয়েছেন যে এটিও বিএনপি-জামায়াতের পরিকল্পিত নাশকতা এবং কারা ডিবির পোশাক পরে এই ঘটনা ঘটিয়েছে তাদেরকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে নিরপেক্ষ বিশ্লেষণে দেখা যায় যে ২৮ অক্টোবরের ঘটনায় বিএনপির একটি অংশের সরাসরি উস্কানি ছিল। বিশেষ করে তারেক জিয়া পন্থী হিসেবে যারা পরিচিত তারা ঘটনাকে নিয়ন্ত্রণের বাইরে নিয়ে যেতে চেয়েছিল। কারণ তারা মনে করে যে এটি বিএনপির শেষ সুযোগ। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায় সম্ভব নয়- এরকম একটি মনোভাব থেকেই বিএনপি  সহিংস পথে 
গিয়েছে।

বিএনপির শীর্ষ নেতারা কেউই এই ঘটনা সম্পর্কে জানতেন না বলেও কেউ কেউ উল্লেখ করেছেন। পুরো ঘটনাটি তারেক জিয়ার নির্দেশে পরিচালিত হয়েছে বলে অনেকে উল্লেখ করেছে। তবে এ যারাই ঘটনা ঘটাক না কেন এই ঘটনার মাধ্যমে একটি জিনিস স্পষ্ট হয়েছে তা হলো বিএনপি নির্বাচন চায় না। আর অন্যদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান হলো যে তারা বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চায় এবং নির্বাচনের পথে যারা বাধা হবে তাদের বিরুদ্ধে ভিসা নীতি প্রয়োগ করা হবে। এখন আওয়ামী লীগ এই বিষয়টিকেই সামনে নিয়ে আসতে চেয়েছে যে বিএনপি নির্বাচনের জন্য আন্দোলন করছে না। বরং তারা নির্বাচন বানচালের জন্যই আন্দোলন করছে। কারণ তাদের প্রধান নেতারা কেউই নির্বাচনের যোগ্য হবে না। আর এই কারণেই তারা নির্বাচন বানচাল করে একটি অন্য প্রক্রিয়া দেশে চালু করতে চায়।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭