অবরোধের দ্বিতীয় দিনে বেড়েছে যান চলাচল

বিএনপি-জামায়াতের ডাকা অবরোধের দ্বিতীয় দিনে রাজধানীতে বেড়েছে যানবাহনের সংখ্যা। তবে স্বাভাবিক দিনের তুলনায় গণপরিবহন কিছুটা কম। সড়কে যাত্রীর উপস্থিতিও ছিল আগের চেয়ে বেশি। অন্যদিকে বিভিন্ন জায়গায় সতর্ক অবস্থান নিয়েছে পুলিশ।

রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে সরেজমিনে দেখা যায়, জনগণের যাতে ভোগান্তি না হয়, সেজন্য পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের রাস্তায় টহল দিচ্ছেন। পাশাপাশি নাশকতা প্রতিরোধে রাজধানীর বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় সতর্ক পাহারায় রয়েছেন আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

এছাড়া নারায়ণগঞ্জসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ঢাকায় চলাচলকারী বেশিরভাগ বাসই চলতে দেখা গেছে। সড়কে সিএনজি, প্রাইভেটকার, মোটরসাইকেলও চলছে। তবে দূরপাল্লার বাস খুব কম চলতে দেখা গেছে।

এদিকে, নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। কার্যালয়ের সামনে অবস্থান করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে যে সংঘর্ষ হয়েছে, তারপর থেকে মূলত দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় তালাবদ্ধ রয়েছে।

শনিবারের (২৮ অক্টোবর) মহাসমাবেশ পণ্ড এবং সেখানে পুলিশি হামলার প্রতিবাদে রোববার (২৯ অক্টোবর) সারা দেশে বিএনপির ডাকা সকাল-সন্ধ্যার হরতাল পালিত হয়েছে। এরপর রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ঘোষণা করেন, ৩১ অক্টোবর (মঙ্গলবার) থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত টানা অবরোধ পালন করবে বিএনপি ও এর শরিক গণতন্ত্র মঞ্চ।

তিনি বলেন, ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশে হামলা, নেতা-কর্মীদের হত্যা, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ আন্দোলনরত বিভিন্ন দলের সহস্রাধিক নেতাকর্মীর গ্রেপ্তার, বাড়ি বাড়ি তল্লাশি হয়রানি ও নির্যাতনের প্রতিবাদে এবং সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবি আদায়ে এ কর্মসূচি পালন করা হবে।

অন্যদিকে, সোমবার (৩০ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে সারা দেশে তিন দিনের (৩১ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর) সড়ক, রেল ও নৌপথ অবরোধ কর্মসূচির ডাক দেয় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।