জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তরের (ওএইচসিএইচআর) বিবৃতিতে তথ্যগত গ্যাপ রয়েছে, সরকারের পক্ষ থেকে ওই বিবৃতির প্রতিবাদ পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
বুধবার (১ নভেম্বর) দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ওএইচসিএইচআরের অনেকগুলো বর্ণনা বেশ ত্রুটিপূর্ণ। আসল ঘটনা বিবর্জিত। তাদের তথ্যে গ্যাপ আছে। এ রকম প্রতিষ্ঠানগুলোর তথ্যে গ্যাপ থাকাটা খুবই দুঃখজনক। আমরা সে বিষয়ে তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করবো। আর তাদের বর্ণনায় যে ভুলগুলো আছে, আমরা সেগুলো তুলে ধরবো।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের ভুয়া উপদেষ্টা আটকের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা খুবই দুঃখজনক। আমাদের দেশে মার্কিন সরকারকে নিয়ে সব লোক খেলা করছে। এটা খেলার মতো হয়ে গেছে, লজ্জাজনক। প্রেসিডেন্ট বাইডেন অত বোকা লোক না। তার নাকি উপদেষ্টা একজন ভুয়া লোক। সেটা নাকি সে ক্লেম করে, শুধু ক্লেম না সে প্রেস কনফারেন্স করে বিএনপির হেডকোয়ার্টারে। এবং প্রেস কনফারেন্সের আগে সেখানে বিএনপি নেতাদের সঙ্গে আলাপ করে। তারপর প্রেস কনফারেন্স যখন করে তখন তার দুই পাশেই বিএনপির নেতারা বসে আছেন। সেখানে বলেন কয়েক মিনিটে সে টেক্সট মেসেজ করেছে প্রেসিডেন্টকে এবং স্টেট ডিপার্টমেন্টকেও, এগুলো কি বিশ্বাসযোগ?
মোমেন বলেন, এ রকম ভুয়া, বিএনপি সবসময়ই ভুয়া নিয়ে ব্যস্ত থাকে। তাদের বর্ণনার মধ্যে ভুয়া ও বিভ্রান্তিকর তথ্য বেশি থাকে। তারই নমুনা হচ্ছে ভুয়া লোক এনে এগুলো বলানো হয়, সে বলছে তোমরা আন্দোলন করো। যুক্তরাষ্ট্রেরও উচিত তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া।
বাইডেনের কথিত উপদেষ্টার জন্য ‘কনস্যুলার অ্যাকসেস’ চেয়েছে মার্কিন দূতাবাস- এ বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, এগুলো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জিজ্ঞেস করেন। তবে আমাদের দেশে আইন হচ্ছে, যে কোনো দেশের বিদেশি নাগরিক থাকলে আমরা ভিয়েনা কনভেনশন সবসময় সম্মান করি।
উল্লেখ্য, গত শনিবার (২৮ অক্টোবর) ঢাকায় সংঘাত-সহিংসতার ঘটনায় বিরোধী দল বিএনপি ছাড়াও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সমর্থকদের সংশ্লিষ্টতা নিয়ে অভিযোগ করেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তর।