ইনসাইড পলিটিক্স

এবার পচাঁ চৈনিকদের খপ্পরে বিএনপি


প্রকাশ: 01/11/2023


Thumbnail

২০১৮'র নির্বাচনের আগে গণফোরাম এবং ড. কামাল হোসেনের খপ্পরে পড়েছিল বিএনপি। কথাটি আমাদের নয়, কথাটি বিএনপির নেতা ড. মোশাররফ হোসেনের। তিনি নির্বাচনের পর বলেছিলেন যে আমরা আওয়ামী লীগের টি টিমের খপ্পরে পড়েছিলাম এবং সে কারণেই আমাদের সর্বনাশ হয়েছে। আবার এবার নির্বাচনের আগে বিএনপি উগ্র চৈনিকদের খপ্পরে পড়েছে। মাহমুদুর রহমান মান্না, জুনায়েদ সাকি, সাইফুল হকের মতো কট্টর বামরাই এখন বিএনপির নিয়ন্ত্রক। তাদের কারণেই বিএনপি উগ্রপন্থা গ্রহণ করেছে, তাদের কারণেই বিএনপির শুধুমাত্র নাম সর্বস্ব হরতাল-অবরোধ ডেকে পলাতক জীবন যাপন করছে। বিএনপির মতো একটি রাজনৈতিক দল অস্তিত্বের সংকটে পড়েছে চৈনিক বামদের খপ্পরে পড়ে।

মাহমুদুর রহমান মান্না দীর্ঘদিন ধরে বিএনপিতে একজন প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বে পরিণত হয়েছেন। একাধিক কারণে তিনি বিএনপিতে প্রভাবশালী হয়েছেন। যদিও তিনি করেন নাগরিক ঐক্য। এর প্রধান কারণ হলো যে বিভিন্ন সাবেক বাম বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা রয়েছে এবং তাদের মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিএনপির একটি সমঝোতা হয়েছিল। ড. আলী রিয়াজ মাহমুদুর রহমান মান্নার রাজনৈতিক কর্মী ছিলেন। মান্না যখন ডাকসুর ভিপি তখন ড. আলী রিয়াজ ছিলেন ডাকসু সাহিত্য সম্পাদক। তাদের রাজনৈতিক সম্পর্ক দীর্ঘদিনের জন্য। এখন ড. আলী রিয়াজ একজন আওয়ামী বিরোধী বুদ্ধিজীবীতে পরিণত হয়েছেন এবং বিএনপির একজন পরামর্শক। আর যেহেতু তিনি মাহমুদুর রহমান মান্নার ঘরানার রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন কাজেই মান্না তার গুরু। অন্যদিকে  জুনায়েদ সাকিকে তারেক জিয়া পছন্দ করেন। তিনি মাঝে মাঝে বিএনপির চেয়েও বড় বিএনপিতে পরিণত হয়েছেন। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে উগ্র কুৎসিত কথাবার্তা বলার জন্য তিনি আলোচিত। এই কারণে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া তার গুণগ্রাহী বলা যায়। অর্ধ শিক্ষিত ব্যক্তিরা সাধারণত এ ধরনের উগ্র চৈনিকদের খপ্পরে পড়েন। লন্ডনে পলাতক ব্যক্তিটিও সেরকম একটি পরিস্থিতির শিকার। 

সাইফুল হকও একদা উগ্র চৈনিক বাম। বিশ্বব্যাপী বাম রাজনীতির অবসান ঘটেছে। কিন্তু এরা বাম রাজনীতির নামে পচন ধরা রাজনীতিবিদ। এই সমস্ত রাজনীতিবিদরা আবার পরগাছা। এদের নিজেদের কোন দল নেই, নিজেদের কোন সংগঠন নেই, এক নেতার একদলের এই সমস্ত চৈনিকরা তাদের নিজেদের সুবিধা আদায়ের জন্য বড় দলগুলোর ওপর ভর করে। বড় দলগুলোকে তারা ব্যবহার করে নিজেদেরকে যাতে তুলতে চায়। ইদানিং এই তিন বামের ওপর ভর করেছে বিএনপি এবং ২৮ অক্টোবরের ঘটনার পর বিএনপির অনেক নেতাই পরামর্শ দিয়েছিলেন যে পরিস্থিতিটাকে আগে সামাল দিই। তারপর আমরা নতুন কর্মসূচিতে যাবো। কারণ এখন এই ঘটনার জন্য কারা দায়ী, কাদের কতটুকু ভূমিকা তা নিশ্চিত করার আগে যদি কর্মসূচি দেওয়া হয় তাহলে সমস্ত দায় দায়িত্ব বিএনপির ওপর আসবে। কিন্তু এই সমস্ত উগ্র বামরা বিএনপিকে রীতিমতো জোর করেই কঠোর এবং সহিংস কর্মসূচিতে পাঠিয়েছে। এই সমস্ত কর্মসূচিতে গিয়ে বিএনপি আরও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। 

বিএনপিরর অনেক নেতাই মনে করেন বার বার বিএনপি বিভিন্ন গোষ্ঠীর খপ্পরে পড়ে। বিএনপিতে নেতৃত্ব শূন্যতা রয়েছে। বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থ, তারেক জিয়া অর্ধশিক্ষিত। আর এ কারণেই এই দলটির নেতৃত্ব দেওয়ার মতো কেউ নেই। আর এই সুযোগটা নিচ্ছে চৈনিক বামেরা। তারা এখন নানাভাবে বিএনপিকে বিভ্রান্ত করছে। বিএনপিকে সর্বহারা এবং আন্ডারগ্রাউন্ড রাজনৈতিক দলের মতো আচরণ করতে বাধ্য করাচ্ছে। এর ফলে বিএনপি হয়ে যাচ্ছে ক্রমশ জনবিচ্ছিন্ন।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭