ইনসাইড বাংলাদেশ

সহিংসতা ঠেকাতে সতর্ক অবস্থানে সরকার


প্রকাশ: 02/11/2023


Thumbnail

আন্দোলনের নামে নৈরাজ্য ও রাজনৈতিক কর্মসূচি ঘিরে জ্বালাও-পোড়াও শুরু হওয়ায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে সরকার।

গত ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সহিংস ঘটনার পর হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচিতে ফিরেছে বিএনপিসহ বিরোধীরা। এসব কর্মসূচি ঘিরে ভাঙচুরের পাশাপাশি শুরু হয়েছে জ্বালাও-পোড়াও। এসব কারণে সাধারণ মানুষের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। এই পরিস্থিতিতে সরকার সার্বিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দিতে চায় না বলে জানা গেছে।

নাশকতার বিরুদ্ধে কঠোর হওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল গণমাধ্যমকে বলেন, ‘পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করছে। দুষ্কৃতকারীদের গ্রেপ্তারসহ যা যা করা দরকার তা-ই শতভাগ করছে। জনগণের জানমাল নিরাপত্তায় যা যা করা দরকার, তা-ই করব।’

জানা গেছে, নাশকতা ও অগ্নিসন্ত্রাসের মামলার বিচার আলাদাভাবে করার বিষয়ে সরকার চিন্তাভাবনা করছে। ইতোমধ্যে নাশকতার মামলা দ্রুত সম্পন্ন করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিচার বিভাগের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। গত মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘এবার কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। অগ্নিসন্ত্রাসীদের কীভাবে শিক্ষা দিতে হয়, তা জানা আছে, এবার তাই করা হবে।’

নিরাপত্তা জোরদারের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে সরকারের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ২০১৩, ’১৪ ও ’১৫ সালে বিএনপি-জামায়াত জোটের আন্দোলন কেন্দ্র করে সহিংসতার ঘটনায় ২৯ জন পুলিশকে হত্যা করা হয়, ৩ হাজার ২২৫ জন সাধারণ মানুষ অগ্নিদগ্ধ হয়, ৫০০ জন দগ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করে। ৩৮৮টি গাড়ি, সাধারণ মানুষের প্রাইভেটকার, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ২৯টি রেল, ৯টি লঞ্চে অগ্নিসংযোগ করে এবং অসংখ্য সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনায় অগ্নিসংযোগ করা হয়।

গত ২৮ অক্টোবর সমাবেশের দিনেই ৭৭টি রিকশা, ভ্যান, ময়লাবাহী গাড়ি ও মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া হয়। কয়েক ডজন গণপরিবহন ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। হরতাল ও অবরোধের দুদিনে পুলিশসহ কয়েকজনকে হত্যা করা হয়। এজন্য পূর্ব সতর্কতাস্বরূপ নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এদিকে চোরাগোপ্তা হামলার মাধ্যমে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড প্রতিহত করতে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে আরও তৎপর হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

সরকারবিরোধীরা দেশে-বিদেশে যেন অপপ্রচার করতে না পারে, সেজন্য সরকারের পক্ষ থেকেও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করা হয়েছে। ২৮ অক্টোবরের সমাবেশের তাণ্ডব নিয়ে লিফলেটও তৈরি করা হয়েছে। এসব ভিডিও ও লিফলেট সাধারণ মানুষ, বিদেশি কূটনীতিক, দেশে-বিদেশে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে সরবরাহ করা হবে বলেও জানা গেছে।

পরিস্থিতি মোকাবিলায় আওয়ামী লীগ দলীয়ভাবেও প্রস্তুতি নিচ্ছে। ঢাকাসহ সারা দেশে শান্তি সমাবেশ কর্মসূচি অব্যাহত রাখবে দলটি। এ ছাড়া রাজধানীর বাইরের শহরগুলোতে যেন কেউ অশান্তি তৈরি করতে না পারে, সেজন্য প্রতিটি জেলা-উপজেলায় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭