ইনসাইড ইনভেস্টিগেশন

কি হয় 'বিগো লাইভ' এর মত অ্যাপসে?


প্রকাশ: 05/11/2023


Thumbnail

বর্তমান সময়ে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের কাছে ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে বিভিন্ন ভিডিও চ্যাটিং অ্যাপস। এসব প্ল্যাটফর্ম থেকে অনেকে আয়ও করছেন মাসে লাখ লাখ টাকা। তবে এসব অনলাইন আয়ের উৎস অনেক অ্যাপ নিষিদ্ধ হয়েছে বিভিন্ন দেশে।

তেমনই একটি বিতর্কিত অ্যাপ ‘বিগো লাইভ’। সম্প্রতি আলোচিত অভিনেত্রী হুমায়রা হিমুর রহস্যজনক মৃত্যুর পর আবারও আলোচনায় এসেছে এই অ্যাপটি। কিন্তু কেন এত ভয়ঙ্কর এই অ্যাপ? কি হয় বিগোর মত এসব অ্যাপে?

সিঙ্গাপুরের বিগো টেকনোলোজির প্রতিষ্ঠান বিগো লাইভ অ্যাপটি মূলত যাত্রা শুরু করেছিল একটি লাইভ স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম হিসেবে। যেখানে বিশ্বের যে কোনো মানুষের সঙ্গে লাইভ চ্যাট করতে পারেন ব্যবহারকারী। সারাবিশ্বে ৪০০ মিলিয়নেরও বেশি ব্যবহারকারী রয়েছে অ্যাপটির। কিন্তু ধীরে ধীরে এখানে শুরু হয় নানান ধরনের অবৈধ কাজ । বিশেষ করে, অনলাইন জুয়ার অনেক বড় আসরে পরিণত হয় এই অ্যাপটি। এছাড়াও অশ্লীলতা ছিল এখানকার নিয়মিত ঘটনা।

বিগো লাইভ অ্যাপের ব্যবহারকারীরা বেশিরভাগই তরুণ-তরুণী এবং প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিক। এটি ব্যবহার করে একই সঙ্গে টেক্সট ও ভিডিও চ্যাট করা যায়। একটি বোর্ড বা ভিডিও চ্যাটে যুক্ত হতে পারেন সর্বোচ্চ আটজন। তারা একই সঙ্গে নিজেদের দেখতে ও শুনতে পারেন। এছাড়া তাদের চ্যাটিং (ভিডিও) দেখতে পারেন অ্যাকাউন্টধারী যে কেউ।

স্ট্রিমিংয়ে আড্ডা দেওয়ার জন্য ব্যবহারকারীদের ভার্চ্যুয়াল মুদ্রা ‘ডায়মন্ড’ বা ‘বিনস’ কিনতে হয়। অ্যাপটিতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অশ্লীল গল্প, ছবি ও ভিডিও শেয়ার করা হয়। অনেকেই খুঁজতে থাকেন প্রতারণার সুযোগ। কেউ ফাঁদে পা দিলেই তার সর্বস্ব লুটে নেওয়ার উপায়ও জানা রয়েছে তাদের।

হুমায়রা হিমুর মৃত্যু নিয়ে অনুসন্ধানের পর র‍্যাব জানায়, হিমু গত দুই থেকে তিন বছর ধরে অনলাইনে জুয়া খেলার অ্যাপ “বিগো লাইভে” আসক্ত ছিলেন। হিমু জুয়ায় প্রায় ২১ লাখ টাকা খুইয়ে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন।



ভিডিও চ্যাটের নামে জুয়া, অশ্লীলতা এবং প্রতারণামূলক এসব অ্যাপ্স এর ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে সরকারের পাশাপাশি পারিবারিক ভাবেও নজরদারি দেয়ার কথা বলছেন অনেকে।

ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সাজ্জাদ হাসান বাংলা ইনসাইডারকে বলেন, এসব অ্যাপ্সের ব্যবহার কমাতে অভিভাবকদের সচেতনতা দরকার। আগে সন্তানদের ফোন চেক করার প্রবণতা থাকলেও এখন আর তেমন নজরদারি দেখা যায় না। আর এসব প্রতারণা বন্ধ না হওয়ার পেছনে সরকারেরও গাফিলতি আছে।

গত বছর দেশে এই অ্যাপ ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়। তারপরও নানাভাবে জুয়ায় আসক্ত হয়ে অনেকেই এই অ্যাপ ব্যবহার করছেন। হারাচ্ছেন সর্বস্ব। অনেকেই হতাশায় ডুবে হাঁটছেন আত্মহত্যার পথে।

 



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭