ইনসাইড গ্রাউন্ড

হাই ভোল্টেজ ম্যাচকে লজ্জার লো-ভোল্টেজ বানিয়ে হারলো দ.আফ্রিকা


প্রকাশ: 05/11/2023


Thumbnail

আকাশে উড়ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু, সপ্তম আকাশে যে আকাশী ভারত! ঠিকই হারিয়ে দিল চোকার্স দ. আফ্রিকাকে। আগেই বলা হচ্ছিল ফাইনালের দাবিদার এই দুই দলের ম্যাচটিও হয়তো হবে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। কিন্তু, কিসের কি! হাইভোল্টেজ এই ম্যাচকে লো ভোল্টেজ ম্যাচে পরিণত করে ২৪৩ রানের বিশাল ব্যবধানে লজ্জার হার হারলো দক্ষিণ আফ্রিকা। অথচ, প্রায় প্রতি ম্যাচে তিনশো প্লাস রান করা প্রোটিয়ারা এদিন ৮৩ রান করতেই দারুণ কষ্ট করলো। ২৭. ১ ওভারে প্রোটিয়ারা ৮৩ রানেই অল আউট হয়ে যায়।

ভিরাট কোহলির জন্মদিনে সেঞ্চুরি ও দ. আফ্রিকাকে লজ্জায় ডুবিয়ে হারাতে পারা নিশ্চয় জন্মদিনের বড় উপহারই বলতে হবে। জন্মদিনে দারুণ এক সেঞ্চুরি করায় প্লেয়ার অব দ্যা ম্যাচ হন ভিরাট কোহলি।

 

শুরুতেই চাপে পড়ে যায় প্রোটিয়ারা। দলের সবচেয়ে ইনফর্ম ব্যাটার কুইন্টন ডি কক দলীয় ৬ রানের মাথায় মোহাম্মদ সিরাজের বলে ১০ বলে ৬ রান করে বোল্ড আউট হয়ে যান। এরপর দলীয় ২২ রানের মাথায় অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা ১৯ বলে ১১ রান করে জাদেজার বলে লাইন মিস করে ক্লিন বোল্ড হয়ে যান। এইডেন মার্কারমও টিকতে পারেননি। তিনি শামির বলে রাহুলকে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান ৬ বলে ৯ রান করে। প্রথম পাওয়ার প্লেতে দূর্দান্ত দক্ষিণ আফ্রিকা মিইয়ে যায়। তারা ১০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ৩৫ রান তোলে।

এরপর স্কোর বোর্ডে ৪০ রান হতেই পর পর দুজন লেগ বিফরের ফাঁদে পড়ে আউট হয়ে যান হেনরিক ক্লাসেন ও রাসি ভ্যান ডের ডুসেন। তারা যথাক্রমে জাদেজা ও শামির বলে ড্রেসিং রুমে ফেরেন রান করতে না পারার হতাশা নিয়ে। প্রোটিয়াদের আশার প্রদীপ হয়ে ছিলেন ডেভিড মিলার। তিনিও ১১ বলে ১১ রান করে দলীয় ৫৯ রানের মাথায় জাদেজার বলে বোল্ড আউট হয়ে ফিরে যান।

এরপর স্কোর বোর্ডে ৮ রান যোগ হতেই কেশব মহারাজের বিদায় ঘন্টা বেজে ওঠে। তিনি ৬৭ রানের মাথায় ১১ বলে ৭ রান করে জাদেজার শিকারে পরিণত হয়ে মাঠ ছাড়েন। এরপর আর ফেরার পথ পায়নি প্রোটিয়ারা। ম্যাক্রো জানসেন ৩০ বলে ১৪ রান করে কুলদীপ জাদবের শিকার হয়ে ফেরেন। এরপরই কাগিজো রাবাদা জাদেজাকে ৫ উইকেট নিতে দারুণ সাহায্য করেন। তিনি কট এন্ড বোল্ড হয়ে ২৬ বলে ৬ রান করে ফিরে যান।

 

মোহাম্মদ সিরাজ প্রোটিয়া শিবিরে প্রথম আঘাত হানলেও তাদের দূর্গ গুড়িয়ে দিতে প্রধান সেনাপতির দায়িত্ব পালন করেন রবীন্দ্র জাদেজা। তিনি ৯ ওভার বলে করে একটি মেডেনসহ ৩৩ রান দিয়ে ৫ উইকেট দখল করেন। এছাড়া মোহাম্মদ শামি ও কুলদীপ যাদব ২টি করে উইকেট দখল করেন।

 

 

ম্যাচের শুরুতে টস জিতে ভারত প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয়। দারুণ শুরু এনে দেয় দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও শুভমান গিল। তাদের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে প্রথম দলীয় পঞ্চাশ রান আসে মাত্র ২৭ বলে। প্রথম পাওয়ার প্লেতে ৯-এর উপরে রান রেট ছিল ভারতের।

দলীয় ৬২ রানে রোহিত শর্মা আউট হন। তিনি ২৪ বলে ৪০ রান করেন। শুভমান গিল ২৪ বলে ২৩ রান করে আউট হন দলীয় ৯৩ রানের মাথায়।

এরপর জুটি গড়ে তোলেন ভিরাট কোহলি ও শ্রেয়াস আয়ার। একসময় মনে হচ্ছিল ভিরাট ও শ্রেয়াস দুজনই সেঞ্চুরি করবেন। কিন্তু, তিনি দলীয় ২২৭ রানে ৮৭ বলে ৭৭ রানে আউট হয়ে গেলে তাদের ১৩৪ রানের জুটি ভেঙে যায়।

এরপর কে এল রাহুল ও সূর্যকুমার যাদব খুব বেশি অবদান রাখতে পারেননি। তবে ভিরাট একপাশ আগলে ছিলেন। শেষে রবীন্দ্র জাদেজা এসে দারুণভাবে ফিনিশারের কাজটি করেন। তিনি ১৫ বলে ৩টি চার ও ১টি ছয়ে ২৯ রান করলে টোটাল স্কোর দাঁড়ায় ৩২৭ রানে।

দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায় বাভুমা ৬জন বোলারকে ব্যবহার করেছেন। এরমধ্যে একমাত্র মার্করাম ছাড়া বাকি লুঙ্গি এনগিডি, মার্কো জনসেন, কাগিসো রাবাদা, কেশভ মহারাজ ও তাবরেজ শামসি প্রত্যেকেই একটি করে উইকেট পান।

 

 

 

 

 



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭