ইনসাইড পলিটিক্স

এবার গ্রেপ্তার হতে পারেন মান্না-সাকি-সাইফুল সহ আরও অনেকে


প্রকাশ: 06/11/2023


Thumbnail

বিএনপির নাশকতার তাণ্ডবের বিরুদ্ধে সরকারের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। যারাই এই সমস্ত ধ্বংসলীলার সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত, যারা এর নির্দেশ দাতা তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। সরকার এ ব্যাপারে শূন্য সহিষ্ণুতা নীতি অনুসরণ করে চলেছে। আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন যে, বিএনপির কোনো নেতা হিসেবে কাউকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। গ্রেপ্তার করা হচ্ছে সন্ত্রাসীদেরকে। যারা প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা করেছে, রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে ভাংচুর করেছে এবং পুলিশ কনস্টেবল আমিরুল ইসলামকে মধ্যযুগীয় কায়দায় বর্বর ভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছে। এই সমস্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে ২৮ টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। শুধুমাত্র মামলায় যারা এজাহারভুক্ত আসামি তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। কোন রাজনৈতিক হয়রানি করা হচ্ছে না বলে সরকারের পক্ষ থেকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। 

এই সমস্ত প্রতিটি ঘটনার ব্যাপারে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং গোয়েন্দা বিভাগ পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করছে। আর এই তদন্তের ফলে আরও কিছু ব্যক্তির জড়িত থাকার চাঞ্চল্যকর খবর পাওয়া যাচ্ছে। বিশেষ করে বিএনপির বাইরে যে সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলো ২৮ অক্টোবর সহ বিএনপির বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচি সমান্তরাল ভাবে করছিল, তাদের অনেক নেতাকেও চিহ্নিত করা হয়েছে। যারা সন্ত্রাসের মদদদাতা, উস্কানিদাতা। এমনকি গার্মেন্টসের ঘটনাতেও বেশ কয়েকজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। যেসমস্ত ব্যক্তিরা গার্মেন্টসে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ এবং নাশকতায় উস্কানি দিচ্ছে। 

সরকারের বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে, এই তালিকায় নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না। বাম নেতা জোনায়েদ সাকি এবং সাইফুলকে গ্রেপ্তারের আওতায় আনা হতে পারে। একই সাথে জামায়াতেরও বেশ কয়েকজনকে খোঁজা হচ্ছে। যাদেরকে গ্রেপ্তার আওতায় আনা হতে পারে। 

বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে যে ২৮ অক্টোবরের ঘটনার পর যে বিভিন্ন স্থানে বাসে অগ্নিসংযোগ এবং ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে সেই ঘটনাগুলো শুধু বিএনপিই করেনি, এই সমস্ত বামরা করেছে। একাধিক বাম নেতা এবং বিএনপির আন্দোলন সহযোগীরা এই সমস্ত ভাঙচুর এবং নাশকতার সঙ্গে জড়িত এমন সুস্পষ্ট তথ্য প্রমাণ রয়েছে। মাহমুদুর রহমান মান্না বিভিন্ন বিএনপির নেতাদেরকে সহিংস আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন এবং ভাঙচুরের ব্যাপারে বিভিন্ন ধরনের নির্দেশনা দিয়েছেন বলে প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে।

শুধু তাই নয়, বাম নেতা জোনায়েদ সাকির নেতৃত্বেই গার্মেন্টসের অসন্তোষ এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। গার্মেন্টস কর্মীদের মধ্যে গুজব ছড়িয়ে তাদেরকে আন্দোলনমুখী করার ক্ষেত্রে জোনায়েদ সাকি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে বলে একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে। এছাড়াও আরও কিছু বাম নেতা রয়েছে যে সমস্ত বাম নেতারা এ ধরনের নাশকতা, অগ্নিসংযোগ এবং জনজীবনের জানমালের ক্ষয়ক্ষতির ঘটনার সঙ্গে জড়িত।

সরকারের সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, এদের কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া যাবে, তাদেরকেই আইনের আওতায় আনতে হবে এবং যথাযথ বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হবে। একাধিক সূত্র বলছে যে, এই গ্রেপ্তার অভিযান চলবে যতক্ষণ পর্যন্ত না প্রতিটি ঘটনার সঙ্গে জড়িতদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত গ্রেপ্তার অভিযান বন্ধের কোনো যুক্তিসঙ্গত কারণ নেই। আর এরকম পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে গিয়ে শুধু বিএনপি নয়, বিএনপির যারা শরিক আছে তাদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে বলে সরকারের বিভিন্ন সূত্রগুলো নিশ্চিত।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭