ইনসাইড বাংলাদেশ

আজ চূড়ান্ত হতে পারে পোশাক শ্রমিকদের মজুরি


প্রকাশ: 07/11/2023


Thumbnail

মজুরি বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলন করছেন দেশের তৈরি পোশাক শিল্পের শ্রমিক-কর্মচারীরা। শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণে আজ মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) মজুরি বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হবে। এ সভায় চূড়ান্ত হতে পারে পোশাক শ্রমিকদের সর্বনিম্ন বেতন। গতকাল এক গোলটেবিল বৈঠকে জানিয়েছেন মালিকপক্ষের প্রতিনিধি।

এর আগে গত বুধবার মালিক-শ্রমিক ও নিম্নতম মজুরি বোর্ডের সভা শেষে বোর্ডের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী মোল্লা জানিয়েছেন, চলতি নভেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে নির্ধারণ হচ্ছে তৈরি পোশাকশ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি। বর্ধিত এ বেতন ডিসেম্বরের এক তারিখ থেকে কার্যকর হবে।

এসময় তৈরি পোশাক মালিকদের প্রতিনিধি এবং বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান, মকসুদ বেলাল সিদ্দিকি, শ্রমিক প্রতিনিধি সিরাজুল ইসলাম রনিসহ বোর্ডের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

নিম্নতম মজুরি বোর্ডের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী মোল্লা বলেন, আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল বেতনের ক্ষেত্রে ৭টি গ্রেড থেকে পাঁচটিতে নিয়ে আসা। এখানে মালিক-শ্রমিক উভয় পক্ষই একমত হয়েছেন। তবে নূন্যতম মজুরি নিয়ে চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে আরও একটি সভা অনুষ্ঠিত হবে। ওই সভায় নির্ধারণ হবে নূন্যতম মজুরি। 

জানা গেছে, দেশের পোশাক কারখানায় কর্মরত শ্রমিক সংখ্যা প্রায় ৪০ লাখ। তাদের দাবি, মালিক পক্ষের ১০ হাজার ৪০০ টাকার মজুরির প্রস্তাব বর্তমান বাজার পরিস্থিতিতে গ্রহণযোগ্য নয়। তারা ২৩ থেকে ২৫ হাজার টাকা ন্যূনতম মজুরির দাবিতে আন্দোলন করছেন। যদিও মজুরি বোর্ডে শ্রমিক পক্ষের প্রতিনিধি ২০ হাজার ৯৯৩ টাকা মজুরি প্রস্তাব করেছেন, যা মানতে চাচ্ছে না মালিক পক্ষ। তবে আগের প্রস্তাব থেকে সরে এসে মজুরি বাড়াতে রাজি হলেও ঠিক কতটা বাড়ানো হবে, তা বোর্ড সভায় আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে চূড়ান্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন মালিক পক্ষের প্রতিনিধি বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান।

শ্রমিক প্রতিনিধি সিরাজুল ইসলাম রনি বলেন, আমাদের শ্রমিক ভাই-বোনদের অবস্থা দেখতে হবে। একই সঙ্গে শিল্পের অবস্থাটাও দেখতে হবে। এই দুই জায়গাতে সমন্বয় করেই নির্ধারণ হবে বেতন। মালিকদের মধ্যে অনেক মানবিক মানুষ আছেন তারা এগিয়ে আসবেন। পাঁচ বছরের জন্য মজুরি বৃদ্ধি হয়। তাই আগামী পাঁচটা বছর যেন তারা স্বাচ্ছন্দ্যে পরিবার নিয়ে থাকতে পারেন সে বিষয় বিবেচনায় নেবেন বলে আমি আশা করি।

তিনি বলেন, আমরা যৌক্তিক শ্রমিক আন্দোলনকে সমর্থন করি। কিন্তু কোনো ভাঙচুর-বিশৃঙ্খলাকে সমর্থন করি না। সাম্প্রতিক আন্দোলনে অন্য কোনো পক্ষের ইন্ধন থাকতে পারে। আমার শ্রমিক ভাই-বোনেরা কারখানা ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িত না।

নিম্নতম মজুরি বোর্ড ও নিম্নতম মজুরি কাঠামো: ১৯৮৬ সালের পোশাক শ্রমিকদের নিম্নতম মজুরি ছিল ৬২৭ টাকা। ১৯৯৪ সালে তা ৪৪ দশমিক ৩৩ শতাংশ বাড়িয়ে ৯৩০ টাকা করা হয়। এরপর ২০০৬ সালে ৭৮ দশমিক ৭১ শতাংশ বাড়িয়ে ১ হাজার ৬৬২ টাকা, ২০১০ সালে ৮০ দশমিক ৫১ শতাংশ বাড়িয়ে ৩ হাজার টাকা, ২০১৩ সালে ৭৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ বাড়িয়ে ৫ হাজার ৩০০ টাকা এবং ২০১৮ সালে ৫০ শতাংশ বাড়িয়ে ৮ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭