ইনসাইড বাংলাদেশ

উদ্বোধনের পর নিয়মিত দরিয়ানগর কক্সবাজারে যাচ্ছে ট্রেন


প্রকাশ: 07/11/2023


Thumbnail

দরিয়ানগর কক্সবাজার পৌঁছেছে প্রথম ট্রেন। রবিবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় ট্রেনের হুইসেল বাজিয়ে রামু জংশন থেকে কক্সবাজার স্টেশনে প্রবেশ করে স্বপ্নের ট্রেনটি। এই ট্রেন চালিয়েছেন সৌভাগ্যবান ট্রেন চালক মাহফুজুর রহমান। এই ট্রেন যাত্রার প্রথম চালক হিসাবে দীর্ঘ ৯ ঘন্টা জার্নি করে রেল নিয়ে প্রবেশ করেন কক্সবাজার আইকনিক রেল স্টেশনে।তিনি ও রেল  কর্মকর্তারা ও হলেন ইতিহাসের স্বাক্ষী।এই মহেন্দ্রক্ষণের স্বাক্ষী হয়েছেন কক্সবাজার ও দক্ষিণ চট্রগ্রামের ৪০ লাখ মানুষ ও।

 

আগামী ১১ নভেম্বর কক্সবাজারে অবস্থিত দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র আইকনিক রেলস্টেশন ও কক্সবাজার - চট্টগ্রাম রেল লাইনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর পর ডিসেম্বরের শুরুতে ঢাকা থেকে যাত্রী ও মালামাল নিয়ে সরাসরি কক্সবাজার রুটে যাতায়াত করবে রেল।

 

গত ৫ নভেম্বর ট্রায়ালরান দেখতে  হাজার হাজার নারী পুরুষ ও শিশু এই রেলকে স্বাগত জানাতে পথের দু'দ্বারে  সমবেত হয় উৎসুকজনতা। এই দিনটি ছিল দক্ষিণ চট্রগ্রাম তথা কক্সবাজারের মানুষের কাছে দীর্ঘ প্রতিক্ষার  ফসল। সকালে পরীক্ষামূলক ট্রেনটি চট্টগ্রাম শহর রেলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে ট্রেনটি যাত্রা শুরু করে। পথে বিভিন্ন স্টেশনে রেলপথ পরিদর্শন করেন তারা। ২৯ সিরিজের লাইট ওয়েটের ইঞ্জিনে ৮টি বগি নিয়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলপথে ছুঁটে যাওয়া ট্রেনটি ৯ ঘণ্টায় কক্সবাজার গিয়ে পৌঁছে। যাত্রাপথে দোহাজারী, সাতকানিয়া, ইসলামাবাদ, রামুসহ বিভিন্ন স্থানে খুঁটিনাটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখেন রেলওয়ের কর্মকর্তারা।

 

স্পেশাল পরিদর্শন ট্রেন থাকা লোক মাস্টার সাজু কুমার দাশ  বলেন, যাওয়ার পথে কক্সবাজারগামী এই ট্রেন দেখতে বিভিন্ন স্থানে উৎসুক জনতা ভিড় করে। এই মাহেন্দ্রক্ষণের সাক্ষী হতে অনেকে করেছে ভিডিও আবার অনেকে দিয়েছে স্লোগান। সকাল থেকে এই পরিদর্শন ট্রেনটি ৪টি স্থানে যাত্রা বিরতি করে।

 

রেলওয়ে পরিদর্শক রুহুল কাদের আজাদ বলেন, আজকে যে পরিকল্পনা নিয়ে আমাদের পরিদর্শন যাত্রা হয়েছে সেখানে আমরা ৫০ ভাগ সফল হয়েছি। যেখানে পরিদর্শনের জন্য দাঁড়ানো হয়েছে সেখানে উৎসুক জনতার কারণে শতভাগ নিরীক্ষণ করা যায়নি। তবে গত কাল সোমবার সকালে কক্সবাজার ছেড়ে আসে ট্রেনটি।  প্রায় অনেক জায়গায় বিভিন্ন দিক পরিমাপ ও নিরীক্ষণ করে দেখতে হয়েছে । তবে এটুকু নিশ্চিত কক্সবাজার রেল সড়ক শতভাগ রেডি। এরকম রেলপথ বাংলাদেশে কোথাও নেই। 

 

যে সব স্থানে ট্রেন যাত্রা বিরতি করেছে।সেখানে ছিল জনতার ঢল।ট্রেনের ঝিকঝিক শব্দ শুনে ঘরে আটকে রাখা যায়নি নারী পুরুষ শিশুদের।চকরিয়ার হারবাং এর জিল্লুর রহমান বলেন, আমি শিশু বয়স থেকে শুনে আসছি কক্সবাজারে রেল আসবে। রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ অনেকবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন কিন্তু কেউ কথা রাখেনি।একমাত্র বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কথা দিয়ে কথা রেখেছেন। এর আগে অনেক সরকার এলোগেলো রেল প্রকল্প আলোর মূখ দেখেনি।

চকরিয়ার সাংবাদিক একেএম বেলাল উদ্দীন বলেন,এই রেললাইন নির্মাণ থেকে শুরু করে রেলের প্রথম ট্রায়ালরান পর্যন্ত এটি ছিল মানুষের কাছে দীর্ঘ প্রতীক্ষার স্বপ্ন। আজই মানুষ বিশ্বাস করেছে সত্যিসত্যিই রেল এসেছে ঝিকঝিক শব্দ করে। রেলের হুইসেল ছিল এ এলাকার মানুষের কাছে একটি অপরিচিত হুইসের সুর।যা গত ৫ নভেম্বর মানুষের কাছে নতুন করে জানান দিয়ে গেল।

কক্সবাজার ১ চকরিয়া পেকুয়া আসন থেকে নির্বাচিত সাংসদ জাফর আলম বলেন,আমার নেত্রী বঙ্গবন্ধু কণ্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কথা দিয়ে কথা রেখেছেন। তাই মানুষ এখন সন্ত্রাস, যুদ্ধাপরাধী ও স্বাধীনতা বিরোধীদের বর্জন করে আসছে।বারবার নৌকায় ভোট দিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখছে। 

 

কক্সবাজারের চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রিজের সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী খোকা বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।কক্সবাজারে বায়ু বিদ্যুৎ প্রকল্প, শেখ হাসিনা বিশাল আশ্রায়ন শিবির, মাতারবাড়ি কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র,আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্মাণ,  সেনাক্যন্টেন্ট ও গভীর সমুদ্র বন্দরসহ অসংখ্য মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে কক্সবাজারে।  শুধু তাই, নয় কক্সবাজার পর্যটন শিল্প বিকাশে সরকার বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহন করেছেন। তৈরি হচ্ছে জেলায় একাধিক অর্থনৈতিক অঞ্চল। এক কথায় কক্সবাজার হতে যাচ্ছে  দেশের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি। যা সম্ভব হয়েছে  মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্ব ও আন্তরিকতার অনন্য অবদান।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭