প্রকাশ: 08/11/2023
আগামী
সপ্তাহেই ভারত সফর করবেন
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকর ও
প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে ১০ নভেম্বর অনুষ্ঠেয়
পঞ্চম টু প্লাস টু
মিনিস্টারিয়াল ডায়ালগে অংশ নেবেন তারা।
তাদের এই বৈঠক নিয়ে বাংলাদেশের ব্যাপক আগ্রহ এবং কৌতূহল রয়েছে। বৈঠকে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ
আলোচনা হয় কি না, সেটি জানতে সতর্ক দৃষ্টি রাখছে ঢাকা। যদিও দুইদেশের সূত্রগুলো বলছে,
এ সংলাপে আলোচনার বিষয়বস্তু হবে ক্রমবর্ধমান ভূরাজনৈতিক টানাপড়েন ও উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে
ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের অংশীদারত্ব। বিশেষ গুরুত্ব পাবে ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল বাস্তবায়নে
দুই দেশের পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো। তবে সাম্প্রতিক সময়ে নির্বাচনসহ বিভিন্ন
ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের টানাপড়েন দেখা যাচ্ছে। আবার একই
ইস্যুতে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে চীন। সব মিলিয়ে বাংলাদেশে নির্বাচনের
আগে যুক্তরাষ্ট্র-ভারতের মন্ত্রী পর্যায়ে বৈঠকটিতে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে আলোচনার প্রেক্ষাপট
এক প্রকার প্রস্তুত হয়ে রয়েছে। এছাড়া রাজনৈতিক সংকট নিরসনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে সংলাপে
বসার প্রসঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতের হস্তক্ষেপ চাইবে বলেও মনে করছে অনেকেই।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র-ভারত
মন্ত্রী পর্যায়ের সংলাপে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ উঠবে কিনা এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকার মার্কিন
দূতাবাস কোনো তথ্য দিতে পারেনি।
গত সেপ্টেম্বরে
ভারতে জি২০ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বাইডেন ও অন্যান্য
রাষ্ট্রপ্রধান ছাড়াও বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সম্মেলন
চলাকালে বাইডেন ও শেখ হাসিনার মধ্যেও অনানুষ্ঠানিক আলোচনা হয়। ওই সফরের আগেও বাংলাদেশ
ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে টানাপড়েন প্রশমনে ভারত মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা নিতে পারে বলে
গুঞ্জন উঠেছিল।
এদিকে মার্কিন
পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখ্য উপমুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে বলেন,
বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচনি পরিবেশ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে
যুক্তরাষ্ট্র। যে কোনো সহিংসতার ঘটনাকে যুক্তরাষ্ট্র অবিশ্বাস্য রকম গুরুত্বের সঙ্গে
নেয়। বেদান্ত প্যাটেল আরও বলেন, বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান
জানাতে আমরা সরকার, বিরোধী দল, নাগরিক সমাজ ও অন্য অংশীদারগুলোর সঙ্গে সম্পৃক্ত আছি
ও থাকব।
বিএনপির কার্যালয়ে
প্রেসিডেন্ট বাইডেনের কথিত উপদেষ্টা মিয়া আরেফির ব্রিফিং, বাইডেনের সঙ্গে তার ১০ থেকে
১৫ বার যোগাযোগের দাবি, রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে অবতার হিসাবে অভিহিত করার প্রসঙ্গও
উঠে ব্রিফিংয়ে। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখ্য উপমুখপাত্র বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত
পিটার হাসের নেতৃত্বে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসে অবিশ্বাস্য মেধাবী কর্মীদল আছে। রাষ্ট্রদূত
হাসের শুধু বাংলাদেশ নয়, পুরো অঞ্চলের বিষয়েই দক্ষতা, অভিজ্ঞতা আছে। বিএনপির চলমান
আন্দোলনের কথা উল্লেখ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবির প্রতি যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন জানাবে
কি না জানতে চাইলে বেদান্ত প্যাটেল বলেন, এটি মনে রাখতে হবে যে, বাংলাদেশে কোনো রাজনৈতিক
দলের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ কোনো সমর্থন নেই।
যুক্তরাষ্ট্রসহ
তার মিত্র দেশগুলো বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন
প্রত্যাশা করে।
প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান
বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭