ইনসাইড থট

‘যারা আরেকটি এক-এগারোর স্বপ্ন দেখছেন তারা বোকার স্বর্গে বাস করছেন’


প্রকাশ: 09/11/2023


Thumbnail

দেশের রাজনীতির মাঠ এখন অনেক সরগরম। অনেকে যেটা ভেবেছিল যে বিএনপি হয়ত তাদের জ্বালাও-পোড়াও ও সহিংস রাজনীতি থেকে ফিরে এসেছে। কিন্তু তাদের সবাইকে ভুল প্রমাণ করে সেই আগের সহিংস পথেই এগোচ্ছে বিএনপি। অনেকেই আবার বলছেন যে, আবারও একটি এক-এগারো আনার পরিস্থিতি তৈরি করা হচ্ছে যাতে দেশে একটি অনির্বাচিক এবং অসাংবিধানিক সরকার প্রতিষ্ঠা করা যায়। এর অনেকগুলো বৈশিষ্ট্য এখন দেখতে পাওয়া যায়। এখন যেমন সাবের হোসেন চৌধুরীর সঙ্গে পিটার হাসের বৈঠক হয়, তখনও অধ্যাপক আবু সায়ীদের বাসায় আলাপ হত। এর ফলশ্রুতিতে এক-এগারো কিভাবে এসেছিল সেই ইতিহাস সকলেই জানে এবং কারা কারা এই এক-এগারোর কুশীলব ছিল সেটিও এখন কারো অজানা নয়।

৭৫’র পর থেকে ২০০৭ পর্যন্ত দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হসিনা দল গুছিয়েছেন, গণতন্ত্রের জন্য রাজপথে সংগ্রাম করেছেন, জনগণের ভোটের অধিকার ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করেছেন। কিন্তু এর মাঝেও দলের মধ্যে মোশতাকের কিছু প্রেতাত্মারা রয়ে গিয়েছিল। যদি সেদিন আওয়ামী লীগের মধ্যে মোশতাকের প্রেতাত্মারা না থাকতো তাহলে বাংলাদেশে কখনও এক-এগারোর জন্ম হত না। ২০২৩ সালের এই সময় দার্শনিক শেখ হাসিনা কিন্তু আরও অনেক বেশি পরিপক্ক একজন রাষ্ট্রনায়ক। তিনি শুধু দেশের রাজনীতি নয়, বিশ্ব রাজনীতি এবং আঞ্চলিক রাজনীতি সম্পর্কেও তিনি গভীর জ্ঞান রাখেন। তাই যারা আবারও একটি এক-এগারো আনার স্বপ্ন দেখছেন তারা আমার মতে বোকার স্বর্গে বাস করছেন। এই মোশতাকের প্রেতাত্মারা কিংবা সেই সুশীল সমাজ, তাদের কোন ষড়যন্ত্রই কাজে দিবে না। নির্দিষ্ট সময়ে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে এবং সঠিক নির্বাচনের মাধ্যমে দার্শনিক শেখ হসিনার দল আওয়ামী লীগই জয়ী হবে।

দার্শনিক শেখ হাসিনার মূল শক্তি হল প্রান্তিক জনগণ। কমিউনিটি ক্লিনিকের ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি হবার কারণে আমাকে বাংলাদেশের বিচিন্ন জায়গায় যেতে হয়, প্রান্তিক মানুষের সাথে মিশতে হয়। তাদের সাথে আমার নিয়মিত কথা বার্তা হয় এবং তাদের কথায় একটি জিনিস স্পষ্ট যে তারা শেখ হাসিনাকে অনেক ভালবাসে। এই প্রান্তিক মানুষেরাই শেখ হাসিনার আসল শক্তি। আমাদের মত দুই চারজন বুদ্ধিজীবী থাকল না গেল সেটি নিয়ে তার কোন মাথাব্যাথা নেই। যতদিন এই প্রান্তিক জনগোষ্ঠী শেখ হাসিনার সঙ্গে আছে ততদিন ষড়যন্ত্রকারীদের কোন ষড়যন্ত্রই কাজে আসবে না।

ষড়যন্ত্রকারীদের ষড়যন্ত্র বুঝতে এখন সাধারণ মানুষেরও খুব একটা কষ্ট করতে হয় না। হিরো আলম নির্যাতনের শিকার হলে অনেক আওয়াজ ওঠে, কত বিবৃতি আসে। কিন্তু আজ দেশের প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা করা হয়, দায়িত্বরত একজন পুলিশকে নির্মনভাবে মধ্যযুগীয় কায়দায় প্রকাশ্যে দিনে দুপুরে হত্যা করা হয়, কিন্তু এ নিয়ে তেমন সাড়াশব্দ করতে দেখা যায় না। মুখে শান্তির কথা বললেও কিভাবে বিশ্বকে অস্থির করে তোলা যায় সেই কাজেই তারা ব্যস্ত বেশি। বাংলাদেশকেও তারা অস্থির করে তুলতে চাইছে। কিন্তু যতদিন দার্শনিক শেখ হাসিনা রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে আছেন, ততদিন তাদের এই পরিকল্পনা বাস্তব হবে না।

আমার মতে এই মুহুর্তে আওয়ামী লীগের জন্য তিনিটি কাজ অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমত, দলের ভেতর যেসব মোশতাকরা ঘাপটি মেরে আছে, তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা। দ্বিতীয়ত, জনগণের কাছে আওয়ামী লীগের উন্নয়ন গুলো বেশি বেশি করে তুলে ধরতে হবে। তৃতীয়ত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার ব্যাপারে তাদের পরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়ন করা। ষড়যন্ত্রকারীরা চাইবেই আওয়ামী লীগকে বিভ্রান্ত করতে, বিব্রত করতে। কিন্তু বিভ্রান্ত হওয়া যাবে না। আওয়ামী লীগকে তাদের লক্ষ্যে অবিচল থাকতে হবে।

যারা এখনও অসাংবিধানিকভাবে শেখ হাসিনাকে সরানোর চিন্তা করছেন তারা বোধহয় এই তত্ত্বে বিশ্বাস করেন যে, স্বপ্নেই যখন খাবো পোলাও-কোরমাই খাই। তাদের উদ্দেশ্যে আমি বলতে চাই যে, আপনারা স্বপ্নে পোলাও খেতে থাকুন। আপনাদের স্বপ্ন বাস্তব হওয়ার কোন সুযোগ নেই। আপনারা খুব বেশি ষড়যন্ত্র করতে পারবেন। আবারও একটি এক-এগারো আনার চেষ্টা করবেন। কিন্তু কোনকিছুতেই লাভ হবে না। নির্বাচনের পর এই শেখ হাসিনার কাছে আপনারাই আবার ফুল নিয়ে যাবেন।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭