সর্বোচ্চ বয়স ৩৫ বছর রেখে শিক্ষক নিবন্ধনের আবেদন শুরু

১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের অনলাইন আবেদন শুরু হয়েছে। আবেদন করতে আগ্রহী প্রার্থীদের বয়স ৩৫ বছরের মধ্যে থাকতে হবে। ৩৫ বছরের বেশি বয়সী কেউ আবেদন করতে পারবেন না।

বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) সকাল ৯টা থেকে নির্ধারিত ওয়েবসাইটে ঢুকে এ আবেদন করার কার্যক্রম শুরু হয়। আগামী ৩০ নভেম্বর রাত ১২টা পর্যন্ত এ আবেদন প্রক্রিয়া চলবে।

এনটিআরসিএর উপ-সচিব ওবায়দুর রহমান জানান, আগ্রহী প্রার্থীরা www.ntrca.gov.bd ও www.ntrca.teletalk.com এ ওয়েবসাইটে দেওয়া ফরম পূরণ করে অনলাইনে আবেদন সম্পন্ন করতে পারবেন।

তিনি বলেন, ৩৫ বছরের বেশি বয়সী প্রার্থীর আবেদন করার সুযোগ নেই। এমপিও নীতিমালা ও আপিল বিভাগের রায়েও বলা আছে, শিক্ষক–কর্মচারীদের চাকরিতে প্রথম প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩৫ বছর।

অন্যদিকে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (স্কুল, কলেজ, মাদরাসা) জনবল কাঠামো, ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮–এর ১১(৬) অনুচ্ছেদ এবং বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা) জনবলকাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮–এর ১৪(৬) অনুচ্ছেদে বর্ণিত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক পদে আবেদনের সর্ব্বোচ্চ বয়সসীমা হবে ৩৫ বছর।

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, তিন ধাপের বাছাইয়ের প্রথমেই দিতে হবে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা। প্রিলিমিনারিতে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের দ্বিতীয় ধাপে লিখিত পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে। লিখিত পরীক্ষায় প্রার্থীদের নির্ধারিত স্ব স্ব বিষয়ের ওপর পরীক্ষা দিতে হবে। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে।

প্রার্থীদের প্রথম ধাপে ১০০ নম্বরের বহু নির্বাচনী (এমসিকিউ) পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। এ ধাপে বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও সাধারণ জ্ঞানে ২৫ নম্বর করে মোট ১০০ নম্বরের পরীক্ষা হবে। এতে পাস নম্বর ৪০। প্রতিটি সঠিক উত্তরের জন্য ১ নম্বর পাবেন। ভুল উত্তর দিলে প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য প্রাপ্ত মোট নম্বর থেকে ০.২৫ নম্বর কাটা হবে।

প্রিলিমিনারি পরীক্ষার তারিখ, স্থান ও সময়সূচি পরবর্তীতে জাতীয় দৈনিক পত্রিকা ও এনটিআরসিএর ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রকাশ করা হবে।