ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভারত-যুক্তরাষ্ট্র সংলাপের কেন্দ্রে বাংলাদেশের নির্বাচন


প্রকাশ: 10/11/2023


Thumbnail

বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত। ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র দুই দেশই চায়, গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে বাংলাদেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আসুক। এ আগ্রহের ফলে ভারত-যুক্তরাষ্ট্র পঞ্চম ‘টু প্লাস টু’ মন্ত্রী পর্যায়ের সংলাপে আলোচনার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এজেন্ডা হচ্ছে বাংলাদেশের নির্বাচন। 

ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে ও ভারতে মাথাব্যথার বড় কারণ। এরই মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ার কয়েকটি দেশ ভারতের বলয় থেকে বের হয়ে চীনের ছায়াতলে রয়েছে।  বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে ব্যর্থ হলে বাংলাদেশে চীনের প্রভাব তৈরির একটি সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে মনে করে বিশেষজ্ঞরা।  যার ফলে হাত ফসকে বাংলাদেশ চীনের বলয়ে চলে যেতে পারে বলে শঙ্কা। এটি হলে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বেশ চাপের মুখে পড়বে। 

বাংলাদেশের স্থানীয় পর্যায়ে চীনের প্রভাব ক্রমেই বাড়ছে। বিআরআই প্রকল্পের আওতায় চীনের কাছ থেকে ঋণও নিয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পে চীন সহযোগিতা করে। এসকল সহযোগিতায় বাংলাদেশে চীনের প্রভাব ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে মনে করে ওয়াশিংটন ও নয়াদিল্লি উভয়ই। চীনের এ প্রভাব কমাতে বাংলাদেশের সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি দেশটির নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব বাড়াতে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র। তাই বাংলাদেশের আগামী সংসদ নির্বাচন নিয়ে আগ্রহ রয়েছে মার্কিন প্রশাসনের। যুক্তরাষ্ট্র এর মধ্যেই বেশ কয়েকবার বলেছে, তারা বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চায়।

সূত্রের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বলে, দুইটি দেশই চায় গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে বাংলাদেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আসুক। এ কারণে তারা বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আগ্রহী।

এতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশে ভারতের প্রভাব বাড়ছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের সঙ্গে বিভিন্ন ইস্যুতে দ্বন্দ্ব রয়েছে এই দক্ষিণ এশিয়ার আরেক পরাশক্তি চীনের। বেইজিংকে নিয়ে দিল্লি-ওয়াশিংটনের আরেক বড় উদ্বেগের অন্যতম কারণ হলো, দেশটির ‘বেল্ট অ্যান্ড রোডস ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই)’ প্রকল্প। এ প্রকল্পের নেটওয়ার্কে বাংলাদেশও রয়েছে।

ভারত-যুক্তরাষ্ট্র পঞ্চম ‘টু প্লাস টু’ মন্ত্রী পর্যায়ের সংলাপে অংশ নিতে শুক্রবার (১০ নভেম্বর) দিল্লিতে পৌঁছেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। এ সংলাপে দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্কের নানা দিক উঠে আসার পাশাপাশি বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন বা রাজনৈতিক পরিস্থিতির প্রসঙ্গ আসবে কি না, তা নিয়ে শুরু থেকেই বিভিন্ন পক্ষের কৌতূহল রয়েছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, শুক্রবার ভোরে দিল্লি পৌঁছান মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। আর দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন দিল্লি পৌঁছান বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর)। ‘টু প্লাস টু’ সংলাপে ভারতের পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।

এছাড়াও প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা সহযোগিতা, ইন্দো-প্যাসিফিক বা ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় আঞ্চলিক কৌশল এবং দুদেশের জনগণের মধ্যকার সম্পর্ক উন্নয়নের মতো বিভিন্ন বিষয়ের ওপর আলোকপাত করা হতে পারে। জানা গেছে, অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ও লয়েড অস্টিনের সঙ্গে পৃথক দ্বিপাক্ষিক বৈঠকও করবেন এস জয়শঙ্কর এবং রাজনাথ সিং।




প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭