ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে যা বলল অ্যামনেস্টি


প্রকাশ: 12/11/2023


Thumbnail

বাংলাদেশে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বিরোধী নেতাকর্মী গ্রেপ্তার, দমনপীড়ন, মানবাধিকার লঙ্ঘন ও মানবাধিকার পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। এ সকল বিষয়ে জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের কাছে জবাবদিহি চাইতে বলেছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। শনিবার (১১ নভেম্বর) সংগঠনটির পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এই আহ্বান জানানো হয়। বিবৃতিটি অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। 

বিবৃতিতে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক উপ-আঞ্চলিক পরিচালক লিভিয়া স্যাকার্দি বলেন, চতুর্থ ইউপিআর এমন এক সময়ে হচ্ছে, যখন নির্বাচনের আগে বাংলাদেশের মানবাধিকার, গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান, বিরোধী নেতা, স্বাধীন গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজ পদ্ধতিগত আক্রমণের মুখোমুখি। 

বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশের ইউপিআরের জন্য অ্যামনেস্টির দেওয়া তথ্যে আগের সুপারিশ বাস্তবায়নের মূল্যায়ন করা হয়েছে। তারা মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, সংগঠন করাসহ শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশের অধিকার, অন্যান্য মানবাধিকার সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

অ্যামনেস্টি বলেছে, বিভিন্ন নাগরিক সমস্যার ইস্যুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, স্কুলশিক্ষার্থী, শ্রমিক, রাজনৈতিক কর্মীদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ দমন অব্যাহত রেখেছে পুলিশ। কর্তৃপক্ষ কাঁদানে গ্যাসের শেল, রাবার বুলেট, লাঠি, সাউন্ড গ্রেনেড, জলকামান ও কিছু ক্ষেত্রে প্রাণঘাতী শক্তি ব্যবহার করছে। বাংলাদেশ সরকারকে অবশ্যই অবিলম্বে, পুঙ্খানুপুঙ্খ, নিরপেক্ষ, কার্যকর ও স্বচ্ছভাবে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগের তদন্ত করতে হবে।

জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের ইউপিআর প্রতি চার বছরে একবার সংস্থার সব সদস্যদেশের মানবাধিকার রেকর্ড পর্যালোচনা করে। ইউপিআর ২০০৯, ২০১৩ ও ২০১৮ সালে বাংলাদেশের মানবাধিকার রেকর্ড পর্যালোচনা করেছিল।

এছাড়া বাংলাদেশ সরকারকে নতুন সাইবার নিরাপত্তা আইনটিকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ করতে হবে। একই সঙ্গে মানবাধিকারকর্মী, সমালোচক, ভিন্নমতাবলম্বীদের বিরুদ্ধে এই আইন যাতে ব্যবহার করা না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে।

বিবৃতিতে অ্যামনেস্টি বলেছে, ২০১৮ সালের মে মাসে বাংলাদেশের সর্বশেষ ইউপিআর হয়। তখন বাংলাদেশ সরকার মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষার সুপারিশ গ্রহণ করেছিল। কিন্তু গত ৫ বছরে দেশটি ক্রমাগতভাবে এই অধিকারকে ক্ষুণ্ন করেছে। এর মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন আইনের বেপরোয়া সংস্কার ও আইনকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার। নতুন সাইবার নিরাপত্তা আইন ২০২৩-এ আগের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কঠোর বৈশিষ্ট্যগুলো রাখা হয়েছে।

১৩ নভেম্বর সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় চতুর্থবারের মতো জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের সর্বজনীন পর্যায়ক্রমিক পর্যালোচনায় (ইউনিভার্সাল পিরিয়ডিক রিভিউ- ইউপিআর) বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি যাচাই করা হবে।

অ্যামনেস্টি আরও বলেছে, আগামী জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, সংগঠন ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশের স্বাধীনতাসহ মানবাধিকারের চর্চা করার জন্য যাদের আটক করা হয়েছে, তাদের অবিলম্বে, নিঃশর্তে মুক্তি দিতে হবে।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭