হাসপাতাল থেকে জোর করে রোগীদের বের করে দিচ্ছে ইসরায়েলি সেনারা

গাজায় অমানবিকতার সকল দৃষ্টান্ত ছাড়িয়ে গেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। এবার গাজার হাসপাতালগুলো থেকে রোগীদের বের করে দেয়ার মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছে দেশটির সেনাদের উপর।  ইতোমধ্যে গাজার হাসপাতালগুলোতে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সেনারা। 

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্যমন্ত্রী মাই আল-কাইলা বলেছেন, এটি কোনো উদ্ধার নয়; তাদের অস্ত্রের মুখে জোরপূর্বক হাসপাতাল থেকে বের করে দেওয়া হচ্ছে। হাসপাতালগুলো হামলায় অকার্যকর হয়ে পড়েছে। রোগীরা তাদের চিকিৎসা না পেয়ে মারা যাচ্ছে। প্রাপ্ত বয়স্ক ও শিশু কিডনি রোগীরা অতিপ্রয়োজনীয় ডায়ালাইসিস করতে না পেরে বাড়িতে মরছেন।

এ ব্যাপারে রোববার এক বিবৃতিতে ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, বর্তমানে গাজার বড় হাসপাতালগুলো ঘিরে রেখেছে ইসরায়েলি সেনারা।  আল-রানতিসি এবং তার্কিস হাসপাতালে যে ৩ হাজার ক্যান্সার রোগী ছিলেন তাদের জোর করে বের করে দেওয়া হয়েছে। এখন এসব রোগী নিশ্চিত মৃত্যুর মুখে রয়েছেন।

তিনি জানিয়েছেন, দখলদার ইসরায়েলি সেনারা গাজার হাসপাতাল থেকে রোগীদের অন্যত্র সরানোর পথ অবরুদ্ধ করে রেখেছে। তারা রোগীদের অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জোর করে রাস্তায় বের করে দিচ্ছে। এর মাধ্যমে তাদের মূলত মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে তারা। জ্বালানির অভাবে গাজা উপত্যকার দ্বিতীয় বৃহৎ হাসপাতাল আল-কুদস ইতোমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে। ছোট্ট এ অঞ্চলটির বৃহৎ হাসপাতাল আল-শিফাও বন্ধ হওয়ার দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। এছাড়া জ্বালানির অভাবে আল-শিফা হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডটি বন্ধ হয়ে গেছে। হাসপাতালটির শিশু কেয়ার ইউনিটের ৪৫ শিশু মৃত্যুর ঝুঁকিতে পড়েছে। 

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপের মুখে শনিবার ইসরায়েলি সেনাবাহিনী প্রস্তাব দেয় আল-শিফা হাসপাতাল থেকে শিশুদের অন্য কোনো নিরাপদ হাসপাতালে সরিয়ে নিতে সহায়তা করবে তারা। তবে ওই শিশুদের কিভাবে সরানো হবে সে বিষয়টি নিশ্চিত নয়।