আজ সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি মো. শাহাবুদ্দিনের সঙ্গে দেখা করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য সময় প্রার্থনা করেছিলেন। রাষ্ট্রপতি আজ রাতে তাকে চায়ের আমন্ত্রণ জানান। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠিত বৈঠকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন, জাতীয় পার্টির অবস্থান এবং সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় বলে একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নেই এই মর্মে মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করতে হবে। নির্বাচনে সুষ্ঠু পরিবেশ না হলে জাতীয় পার্টির নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে কি না, তা তারা ভেবে দেখবে।
জিএম কাদের রাষ্ট্রপতিকে এটিও জানান যে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে একটি আলাপ আলোচনা হওয়া উচিত। বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে যে শর্তহীন সংলাপের কথা বলা হয়েছে, সেই শর্তহীন সংলাপকে জাতীয় পার্টি সমর্থন করে বলেও জিএম কাদের মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে জানান।
রাষ্ট্রপতি জিএম কাদেরের বক্তব্য মনযোগ সহকারে শোনেন। তবে তিনি সংবিধানকে সমুন্নত রাখা এবং সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে নির্বাচন করার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কথা জিএম কাদেরকে স্মরণ করিয়ে দেন। তিনি বলেন, তফসিল ঘোষণার পরও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আলাপ আলোচনা এবং সংলাপ হতে পারে। তাছাড়া এই নির্বাচন কমিশন যে রাজনৈতিক সংলাপ ডেকেছিল, সেই সংলাপের দরজাও খোলা আছে। সেখানেও যে কোনো রাজনৈতিক দল গিয়ে সংলাপ করতে পারে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানাচ্ছে, রাষ্ট্রপতি বলেছেন যে আগামী ২৯ জানুয়ারির মধ্যে নতুন সরকারের ক্ষমতা গ্রহণ করতে হবে। আর এটি সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা। এখান থেকে পিছিয়ে আসার কোনো সুযোগ নেই। জাতীয় পার্টির অতীতের ভূমিকার প্রশংসা করে রাষ্ট্রপতি মো. শাহাবুদ্দিন তাদেরকে বলেন যে প্রধান বিরোধী দল হিসেবে তারা জাতীয় সংসদে দায়িত্বশীল আচরণ করছে এবং আগামী নির্বাচনেও জাতীয় পার্টি গণতন্ত্র এবং সংবিধান সুরক্ষায় বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করবেন বলে তিনি আশা করেন।
তিনি মনে করেন যে, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আলাপ আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হওয়া উচিতনির্বাচন কমিশন। কারণ নির্বাচন কমিশনই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন তদারকি করবে। আর এরকম বাস্তবতায় নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ সুরক্ষা করার জন্য সকল রাজনৈতিক দলকে দায়িত্বশীল হতে হবে বলে রাষ্ট্রপতি আশা করেন তিনি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, রাষ্ট্রপতি আশা করেন যে সকল পক্ষ সহনশীলতার পরিচয় দিয়ে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে সংবিধান সমুন্নত রাখবে এবং গণতান্ত্রিক ধারাকে অব্যহত রাখার চেষ্টা করবে।