ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

সমর্থন থাকলেও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধে জড়াবে না ইরান: খামেনেয়ি


প্রকাশ: 16/11/2023


Thumbnail

ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে মিলে সরাসরি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জড়াবে না ইরান বলে জানিয়ে দিয়েছে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনেয়ি। নভেম্বরের শুরুতেই হামাস ইসমাইল হানিয়াকে বিষয়টি পরিস্কার জানিয়ে দিয়েছেন এমনই খবর দিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স। বুধবার (১৫ নভেম্বর) রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ‘পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে হামাস ও ইরানের কয়েকটি সূত্র এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

রয়টার্সের ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, নভেম্বরের শুরুতে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতার সঙ্গে দেখা করেন ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের প্রধান। সেখানে সরাসরি যুদ্ধ না করলেও হামাসকে নীতিগত সহায়তা অব্যাহত রাখার কথা জানিয়েছেন আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ি। তবে সরাসরি কোনো হস্তক্ষেপ তারা করবেন না।

কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে ৭ অক্টোবর হামাস কর্তৃক ইসরায়েলে হামলার বিষয়টি ইরানকে আগে থেকে অবগত না করা।

সূত্রগুলো রয়টার্সকে আরও জানিয়েছে, হামাসের যেসব নেতা ইরান ও লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর সরাসরি হস্তক্ষেপ চেয়ে প্রকাশ্যে বিভিন্ন বক্তব্য দিয়েছেন, তাদের চুপ করানোর জন্যও ইসমাইল হানিয়াকে চাপ দিয়েছেন আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ি। কারণ, গত ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে যে ভয়াবহ হামলা চালায়, এতে অবাক হয়ে যায় হিজবুল্লাহও।

রয়টার্সকে সশস্ত্র হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীর তিনটি সূত্র জানিয়েছে, ইসরায়েলে যখন হামাস সদস্যরা হামলা চালাচ্ছিল, তখন তাদের যোদ্ধারা সীমান্ত অঞ্চলগুলোতেও ছিলেন না। হামলার পর দ্রুত তারা বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান নেন। ‘আমরা যুদ্ধের মধ্যে ঘুম থেকে উঠি বলে জানান হিজবুল্লাহর এক কমান্ডার।

তবে সরাসরি জড়িত না হলেও যুদ্ধ শুরুর পরের দিন থেকে ইসরায়েলের বিভিন্ন অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা চালানো শুরু করে হিজবুল্লাহ। এছাড়া ইরাক ও সিরিয়ায় ইরান সমর্থিত গোষ্ঠীগুলো মার্কিন সেনাদের অবস্থান লক্ষ্য করে বিক্ষিপ্ত হামলা চালায়। যুদ্ধে যোগ দেয় ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা, তারাও ইসরায়েলে ড্রোন হামলা চালিয়েছে।

এদিকে হামাস ও ইসরায়েলের এ যুদ্ধ ইরান সমর্থিত গোষ্ঠীগুলোর সামর্থ্যের বিষয়টিরও এখন পরিক্ষার মুখে পড়েছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স। অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত এসব গোষ্ঠী নিজেদের সমস্যা নাকি যুদ্ধকে প্রাধান্য দেবে সে বিষয়টি নিয়ে উভয়সংকটের মধ্যে পড়েছে তারা।

পর্যবেক্ষক সংস্থা কার্নিগি মিডেল ইস্ট সেন্টারের হিজবুল্লাহ বিষয়ক বিশেষজ্ঞ মোহানাদ হাগে আলী এ বিষয়ে বলেন, ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলা, ইরান সমর্থিত গোষ্ঠীগুলোকে কঠিন অবস্থানে ফেলে দেয়।

তিনি আরও বলেন, ‘যখন আপনি ভাল্লুককে এ ধরনের হামলা দিয়ে জাগিয়ে তোলেন; তখন আপনার মিত্রদের ঠিক একইভাবে আপনার পাশে দাঁড়ানোর বিষয়টি কঠিন হয়ে যায়।

প্রসঙ্গত, গাজার উপত্যকায় হামাস দখলদার ইসরাইলের বিরুদ্ধে বেঁচে থাকার জন্য লড়াই করছে, সেখানে ইসরাইলি হামলায় এখন পর্যন্ত ১১ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে।

এদিকে ৭ অক্টোবর, হামাসের সামরিক কমান্ডার মোহাম্মদ দেইফ তার মিত্রদের সংগ্রামে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান। যদিও সেই ডাকে তেমন সাড়া পায়নি হামাস।

খালেদ মেশাল সহ হামাস নেতাদের পরবর্তী বিবৃতিতে সেই হতাশারও ইঙ্গিত প্রকাশ পায়। ১৬ অক্টোবরে এক টিভি সাক্ষাত্কারে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন পদক্ষেপের জন্য হিজবুল্লাহকে ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন খালেদ মেশাল। তবে "যুদ্ধের আরও প্রয়োজন" বলেও মন্তব্য করেছেন হামাসের ওই নেতা।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭