কাশ্মীরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত তিন বাংলাদেশির মরদেহ ঢাকা মেডিকেলে

কাশ্মীরের শ্রীনগরের ডাল লেকে হাউসবোটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত তিন বাংলাদেশি পর্যটকের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল করেজ (ঢামেক) হাসপাতালে আনা হয়েছে। বাংলাদেশি বিমানবন্দর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এ ঘটনায় বিমানবন্দর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। তদন্তকারী কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, তিন মরদেহ বুধবার বিকালে ভারতের দিল্লি থেকে কার্গো বিমানে ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসে। পরে এই মরদেহ ঢামেক হাসপাতালের মরচুয়ারিতে নিয়ে রাখা হয়।

তিনি বলেন, ডিএনএ প্রোফাইলের মাধ্যমে মরদেহ শনাক্ত করা হবে। যদিও তাদের পরিচয় জানা গেছে। তবে মরদেহগুলো এতোটাই পুড়েছে যে, দেখে কোনটি কার তা বুঝার কোনো উপায় নেই।

তিনি আরও বলেন, আমরা মৃতদের স্বজনদের সংবাদ দিয়েছি। তারা এলে বৃহস্পতিবার সিআইডির ফরেনসিক বিভাগ ও ঢামেক হাসপাতাল মর্গ কর্তৃপক্ষের সমন্বয়ে মরদেহ থেকে ও দাবিদারদের কাছ থেকে ডিএনএ প্রোফাইলের নমুনা সংগ্রহ করা হবে।

পরিচয় শনাক্তকরণের পর আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহগুলো স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে হানানো হয়।

উল্লেখ্য, গত ১১ নভেম্বর (শনিবার) স্থানীয় সময় ভোর ৫টা ১৫ মিনিট নাগাদ ডাল লেকের ৯ নম্বর ঘাটের কাছে একটি হাউসবোটে আগুন লাগে। পরে তা অন্য হাউসবোটে ছড়াতে থাকে। ঘটনায় অন্তত পাঁচটি হাউসবোট পুড়ে প্রায় ছাই হয়ে গেছে। এর পরেই তিন জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত তিন বাংলাদেশি পর্যটক সাফিনা নামে একটি হাউসবোটে ছিলেন।

পুলিশ জানিয়েছে, আগুন লাগার কারণ এখনও জানা যায়নি, তদন্ত চলছে।

নিহতদের পরিচয়: তারা তিনজনই একে অপরের বন্ধু। তাদের মধ্যে একজন ঠিকাদার ও বাকি দু'জন প্রকৌশলী। সকলের বাড়ি চট্টগ্রাম। তারা হলেন ঠিকাদার মো. মঈনুদ্দিন, প্রকৌশলী অনিন্দ্য কৌশল নাথ ও ইমন দাশগুপ্ত।

জানা যায়, মঈনুদ্দিন এলজিইডি ও পিডব্লিউডির ঠিকাদার, আর অনিন্দ্য কৌশল নাথ রাঙামাটিতে নির্বাহী প্রকৌশলী ও ইমন দাশগুপ্ত বিভাগীয় উপ-প্রকৌশলী হিসেবে চট্টগ্রাম মেডিকেলের বার্ন ইউনিট ভবন নির্মাণের দায়িত্ব পালন করছিলেন।

গত ৩ নভেম্বর তারা ভারতে যান। সেখান থেকে নৌভ্রমণে গিয়ে এই দুর্ঘটনার শিকার হন তারা।