প্রকাশ: 16/11/2023
কথা রাখতে পারলো না দক্ষিণ আফ্রিকা। আবারও বিশ্বকাপের মঞ্চে সেমিফাইনালে
হেরে বিদায় নিতে হলো তাদের। বাজে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বাজে ফিল্ডিং তাদের হারের জন্য
দায়ী। বড় ম্যাচে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়া ব্যাটিংয়ে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি প্রোটিয়ারা।
শেষ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৩ উইকেটে হারতে হলো প্রোটিয়াদের। অজিরা ৪৭.২ ওভারে ২১৫ রান করে জয় তুলে নেয়। প্লেয়ার অব দ্যা ম্যাচ হয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার ট্রাভিস হেড।
বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতের সাথী হতে টস জিতে ব্যাটিং নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা।
কিন্তু, শুরুর ধাক্কা আর সামলে উঠতে পারেনি চোকার্স তকমা পাওয়া আফ্রিকার দলটি। শেষ
পর্যন্ত তাদের রান মেশিন থামে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২১২ রানে।
২১৩ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে অজিরা শুরুটা স্বাচ্ছন্দ্যে খেললেও পরে এসে
দারুণ চাপে পড়ে যায়। দুই প্রোটিয়া স্পিনার তারবিজ শামসি ও কেশব মহারাজের ঘূর্ণি জাদুতে
বেশ কোণঠাসা হয়ে পড়ে। তবে অজি ব্যাটারদের ব্যাটিং ফর্ম অনুপাতে ছোট লক্ষ্য হওয়ায় শেষ
পর্যন্ত জিতে যায় তারা। ফলে ফাইনালে ভারতের সাথী হলো অস্ট্রেলিয়া।
অজিদের পক্ষে সর্বোচ্চ রান করেন ট্রেভস হেড (৪৮ বলে ৬২ রান)। এছাড়া স্টিভ
ম্মিথ ৬২ বলে ৩০ রান করেন।
প্রোটিয়াদের পক্ষে তারবিজ শামসি ১০ ওভারে ৪২ রানে ২ উইকেট ও গ্যারেল কোয়েতজি
২ উইকেট নেন।
এর আগে, টস জিতে ব্যাট করতে নেমে এবারের আসরে দলীয় সর্বোচ্চ রান করা প্রোটিয়ারা
প্রথম ওভারের শেষ বলে দলীয় ১ রানে অধিনায়ক বাভুমাকে হারায় শূন্য রানে।
মিচেল
স্টার্কের অফ স্টাম্পের কিছুটা বাইরে পিচ করা ডেলিভারি বেরিয়ে যাওয়ার মুখে খোঁচা মারেন
বাভুমা। ব্যাটের বাইরের কানায় লেগে বল চলে যায় পেছনে। ডান দিকে ঝাঁপিয়ে দারুণ ক্যাচ
নেন জশ ইংলিস।
হেইজেলউডের লেংথ ডেলিভারি বেরিয়ে এসে ছক্কা মারতে চেয়েছিলেন ডি কক। একদমই
টাইমিং হয়নি। উঠে যায় বেশ উঁচুতে। বলে চোখ রেখে মিড অন থেকে বেশ কিছুটা পিছিয়ে গিয়ে
মাথার উপর থেকে চমৎকার ক্যাচ নেন প্যাট কামিন্স। ১৪ বলে কেবল ৩ রান করেন ডি কক।
তখন ৬ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার রান ২ উইকেটে ৮। ক্রিজে তখন রাসি ফন ডার ডাসেনের
সঙ্গী এইডেন মার্করাম।
আগের ওভারে চার হজম করেছিলেন মিচেল স্টার্ক। নতুন ওভারের প্রথম বলে হজম
করেছিলেন আরেকটি বাউন্ডারি। তবে মার্করামের সঙ্গে দ্বৈরথে শেষ হাসি হাসলেন বাঁহাতি
এই পেসারই। তার বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে পয়েন্টে ধরা পড়লেন মার্করাম। দক্ষিণ আফ্রিকার
এই মিডল অর্ডার ব্যাটার ২০ বলে দুই চারে করেছেন ১০ রান।
১১ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩ উইকেটে ২২। ক্রিজে রাসি ফন ডার
ডাসেনের সঙ্গী হাইনরিখ ক্লসেন।
অনেকটা ফুলার লেংথের বল পা বাড়িয়ে ড্রাইভ করতে চেয়েছিলেন ফন ডার ডাসেন।
ঠিক মতো খেলতে পারেননি, ব্যাটের কানায় লেগে স্লিপে স্টিভেন স্মিথের হাতে ধরা পড়েন।
৩১ বলে ফন ডার ডাসেন করেন ৬ রান।
ক্রিজে গিয়ে প্রথম বলেই চার পেয়ে যান ডেভিড মিলার। ব্যাটের কানা ছুঁয়ে দুই
স্লিপ ফিল্ডারের মাঝ দিয়ে বল চলে যায় বাউন্ডারিতে।
১২ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার রান ৪ উইকেটে ২৮। ক্রিজে মিলারের সঙ্গী হাইরিখ
ক্লসেন। অনেকটা
ফুলার লেংথের বল পা বাড়িয়ে ড্রাইভ করতে চেয়েছিলেন ফন ডার ডাসেন। ঠিক মতো খেলতে পারেননি,
ব্যাটের কানায় লেগে জমে পড়ে স্লিপে, স্টিভেন স্মিথের হাতে। ৩১ বলে ফন ডার ডাসেন করেন
৬ রান।
চতুর্থ উইকেট জুটিতে হেনরিক ক্লসেন ও মিলার ৯৫ রানের জুটি গড়ে প্রোটিয়া
শিবিরে আলো জ্বালেন। কিন্তু, ১১৯ রানের মাথায় হেডের বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান তিনি। হেডের
পরের বলেই কাটা পড়েন মারকো জনসেন। এরপর কোয়েতজিকে নিয়ে আবারও ৫৩ রানের ছোট জুটি গড়েন
মিলার। কোয়েতজি ১৯ রানে প্যাট কামিন্সের শিকার হলে আবার বিপর্যয়ে পড়ে দ. আফ্রিকানরা।
কেশভ মহারাজ কাটা পড়েন ১৯১ রানে।
এতক্ষণ তারা হয়ে জ্বলা ডেভিড মিলার সেঞ্চুরি পান ১১৫ বলে। এরপর দলীয় ২০৩
রানে ১০১ রান করে আউট হয়ে যান।
অজিদের পক্ষে সর্বোচ্চ উইকেট নেন মিচেল স্টার্ক। তিনি ১০ ওভার বল করে একটি
মেডেনে ৩৪ রান দিয়ে পান ৩ উইকেট। এছাড়া প্যাট কমিন্স ৯.৪ ওভার বল করে ৫১ রানে নেন ৩
উইকেট। হ্যাজেলউড ও ট্রাভিস হেড দুটি করে উইকেট পান।
প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান
বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭