ইনসাইড বাংলাদেশ

ওয়াশিংটনকে যে বার্তা দিতে চায় আওয়ামী লীগ


প্রকাশ: 16/11/2023


Thumbnail

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে এবং এই তফসিল ঘোষণার পর যথারীতি বিএনপি তফসিল প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর মধ্যে সংলাপ নিয়ে যে উৎসাহ উদ্দীপনা দেখিয়েছিল কয়েকটি দেশের কূটনীতিকরা তাও চুষে গেছে। কারণ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে সংলাপের এখন আর কোন সুযোগ নেই। বিএনপি যদি নির্বাচনে আসতে চায় তাদেরকে স্বাগত জানানো হবে। তবে তাদেরকে নির্বাচন করতে হবে নিঃশর্তভাবে। সরকার আর কোন ছাড় দেবে না। এখন ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই। 

আওয়ামী লীগের একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেছেন যে এখন নির্বাচনের পথে দেশ যাত্রা শুরু করেছে। সমস্ত কর্তৃত্ব নির্বাচন কমিশনের। সরকার এখন শুধুমাত্র তাদের রুটিন দায়িত্ব পালন করবে। এর বাইরে কিছু করতে পারবে না। এই অবস্থায় যা কিছু করার নির্বাচন কমিশন করবে। এখন আর সংলাপের কোনো সুযোগ নেই। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে  সরকার কতগুলো বিষয় আশ্বস্ত করতে চায়। এ নিয়ে দূতাবাসে নয়, সরাসরি ওয়াশিংটনের সঙ্গে সরকার সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছে বলেই জানা গেছে। 

আওয়ামী লীগের অন্তত তিনজন নেতা নিরবিচ্ছিন্নভাবে ওয়াশিংটনে এবং হোয়াইট হাউসের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। আওয়ামী লীগের নেতারা ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়ার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করছেন। নির্বাচনের তফসিল এবং নির্বাচনের ব্যাপারে সরকারের ভাবনা ইত্যাদি জানানো হয়েছে। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বক্তব্য হল যে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন করার কোনো বিকল্প নেই। নির্বাচন হবে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ। প্রশাসন এবং সরকার নির্বাচনে কোন রকম হস্তক্ষেপ করবে না। একটি রাজনৈতিক দলের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা না করা তার রাজনৈতিক অধিকার। কোন দল অংশগ্রহণ করবে, কোন দল অংশগ্রহণ করবে না সেটা তাদের সিদ্ধান্ত। এটি নিয়ে সরকার কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কথা বলবে না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে অনুরোধ জানানো হয়েছে তারা যেন নির্বাচন দেখে এবং একটি অসাধারণ অভূতপূর্ব সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেবে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই নির্বাচনে যেন পর্যবেক্ষক পাঠায় এজন্য অনুরোধ জানানো হবে। 

সরকার সরকারের পক্ষ থেকে মূল কথা যেটা বলা হচ্ছে তা হলো নির্বাচনের আগে পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যেন কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত বা আগ্রাসী ব্যবস্থা গ্রহণ না করে। তারা যেন দেখে যে বাংলাদেশ কিভাবে নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে। নির্বাচনে যদি কোন ত্রুটি বিচ্যুতি না হয় এবং ভোটার উপস্থিতি যদি ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ হয় তাহলে এই নির্বাচন নিয়ে কোন আপত্তি থাকা উচিত নয় বলে আওয়ামী লীগ মনে করে। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে যে, শুধুমাত্র বাংলাদেশের সরকার না, ভারতও বাংলাদেশের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে একই অবস্থানে রয়েছে এবং এ ব্যাপারে তারাও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর ছাড়াও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে হোয়াইট হাউসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। সেখানে জ্যাক সুলিভানের সঙ্গে আওয়ামী লীগের একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা নিয়মিত যোগাযোগ করছেন এবং বাংলাদেশের পরিস্থিতি অবহিত করেছেন। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে একটি বিষয় স্পষ্ট করা হচ্ছে তা হল যে, ২৮ অক্টোবর থেকে বিএনপি যা করেছে তা কোন গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলের কাজ হতে পারে না। এটি সন্ত্রাসী তৎপরতা এবং এই ধরনের ঘটনা প্রবাহ কখনোই গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের জন্য নিরাপদ নয়। তাই বিএনপি এখন একটি সন্ত্রাসী সংগঠনে রূপান্তরিত হয়েছে বলেও আওয়ামী লীগ এই বার্তা দিচ্ছে। এছাড়াও ওয়াশিংটনে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর, কংগ্রেসম্যান এবং সিনেটের সহ বিভিন্ন মহলের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করছে। আগামী নির্বাচন পর্যন্ত যেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কোন রকম আগ বাড়িয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ না করে বরং নির্বাচন কতটুকু সুষ্ঠু হচ্ছে সেটি পর্যবেক্ষণ করে সেই বার্তাটি বাংলাদেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে নানাভাবে দিতে চাইছে।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭