ইনসাইড থট

‘নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তারিখেই নির্বাচন হতে হবে’


প্রকাশ: 18/11/2023


Thumbnail

অনেক বিজ্ঞ লোক নির্বাচন কবে হবে, নির্বাচন হবে কি হবে না এ নিয়ে নানা আলাপ আলোচনা করেছেন। রাজনীতিবিদিরাও একেকজন একেক বক্তৃতা দিয়েছিলেন। তাদের কথার ধরন এমন যে বাংলাদেশ যেন খুব ঘোড় কোন বিপদে পড়েছে এবং তারা বাংলাদেশ নিয়ে বিদেশিদের নাক গলাবার সুযোগ করে দিয়েছে। যারা কোন দিন আমাদের নির্বাচন নিয়ে কোন কথা বলেনি তারা পর্যন্ত এখন নানা কথা বলছে। আমাদের সংবিধানে বলা আছে যে ৫ বছর পর পর নির্বাচন হতে হবে এবং নির্দিষ্ট তারিখের মধ্যে হতে হবে। নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ স্বাধীন এবং তারাই নির্বাচন পরিচালনা করবে। ইতোমধ্যে কিছুটা উত্তপ্ত রাজনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যেই নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা করেছেন এবং তফশিল অনুযায়ী আগামী বছর (২০২৪) জানুয়ারি মাসের ৭ তারিখ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সম্প্রতি জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বধীন কমিশন। রেওয়াজ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির কাছে নির্বাচনের জন্য কিছু তারিখ প্রস্তাব করলে বলা হলে রাষ্ট্রপতি তাদেরকে জানান যে, কমিশন একটি সাংবিধানিক ভাবে স্বাধীন প্রতিষ্ঠান। নির্বাচনের তারিখ কীভাবে নির্ধারিত হবে সেটি কমিশনের বৈঠকে হওয়া উচিত। নির্বাচন কমিশন তাদের নির্ধারিত বৈঠকে বসে এই তারিখ চূড়ান্ত করবেন বলে মহামান্য রাষ্ট্রপতি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এছাড়া ২৯ জানুয়ারি মাথায় রেখেই যেন তারিখ নির্ধারন করা হয় এবং দেশ যাতে কোন সাংবিধানিক সংকটে না পরে সে ব্যাপারে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন কমিশনকে সতর্ক করেন। নির্বাচন কমিশনও রাষ্ট্রপতির এই বার্তা মাথায় রেখেই শেষ পর্যন্ত তফশিল ঘোষণা করেছেন। 

এই নির্বাচন নিয়ে বিএনপি ষড়যন্ত্রে নামবে। তারা কি ষড়যন্ত্র করবে সেটিও বোঝা এখন কঠিন কোন বিষয় নয়। তাদের প্রথম চেষ্টা থাকবে নির্বাচনের তারিখ পেছানো। সেটা কিছুতেই করা যাবে না। নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। এখানে বিএনপি কিংবা আওয়ামী লীগ বা অন্য কোন দল, কারোই কোন বক্তব্য থাকতে পারবে না। ৭ জানুয়ারিই নির্বাচন হতে হবে। যারাই নির্বাচন পেছানোর কথা বলবে ধরে নিতে হবে তারা ষড়যন্ত্রকারী। এ সকল ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধের আইন অনুযায়ী তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। 

যারা দেশের অগ্রগতি চায় না, দেশের উন্নয়নে যাদের হৃদয় কাঁদে, যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী এই নির্বাচনকে বিভিন্নভাবে বানচাল এবং বিতর্কিত করার চেষ্টা করেছে এবং সামনেও করবে। এতমধ্যে বিএনপি জ্বালাও পোড়াও শুরু করেছে। বিচারপতির বাসভবনে আক্রমণ, পুলিশ পিটিতে হত্যা, বাস-গাড়ি ভাংচুর ইত্যাদি কর্মকান্ডে লিপ্ত হয়েছে। যারা এতদিন ধরে অহিংস আন্দোলনের কথা বলে আসছিল, সন্ত্রাস সহিংসতার পথ পরিহার করার জন্য বলেছিল, তারা এক ধরনের মৌনব্রত অবলম্বন করছে। বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে এখন শুধু দেশে নয় আন্তর্জাতিক মহল থেকেও নানা তৎপরতা এবং ষড়যন্ত্র চলছে সেটি পরিষ্কার। তবে একটি কথা বলতে চাই যে, সামনে যে নির্বাচন আসছে এই নির্বাচন বাধাগ্রস্থ করার যেকোন প্রচেষ্টাকে প্রতিহত করার জন্য আমরা সকলে প্রস্তুত। বিশেষ করে অনেক মুক্তিযোদ্ধা আমরা এখন জীবিত আছি। যদি প্রয়োজন হয় আমরা আবার নতুন প্রজন্মকে রাস্তায় নামবো। নতুন প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধ দেখেনি, কিন্তু তারা মুক্তিযুদ্ধের ফসল, এই স্বাধীনতার সুফল ভোগ করছে, আমার বিশ্বাস দেশের গণতন্ত্র রক্ষার প্রয়োজনে, দেশকে রক্ষার প্রয়োজনে তারাও রাস্তায় নামবে। আমরা কোন দল চিনি না। আমরা চিনি দেশকে, দেশের গণতন্ত্রকে এবং এই গণতন্ত্র রক্ষার উপাদান হিসেবে নির্বাচনকে। দেশের গণতন্ত্র রক্ষা করতে হলে নির্বাচনকে বাধাগ্রস্থ হতে দেয়া যাবে না। নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তারিখেই নির্বাচন হতে হবে।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭