প্রকাশ: 21/11/2023
সব মানুষের অনুভূতি এক রকম নয়। কারও শীত বেশি, কারও কম। কেউ গরমে অতিষ্ঠ, কেউ সহনশীন। অগ্রহায়ণের প্রথম দিকে পড়তে শুরু করেছে শীত। শহরেও শেষ রাতে কাথায় নির্ভর করতে হয় অনেকের। গ্রামের আবহ অনেকটাই শীত। আর তাই, আসন্ন শীতে এখন থেকেই প্রস্তুতি নেওয়া জরুরি।
অগ্রহায়ণের
৭ তারিখ হিসেব করলে পৌষ আসতে বেশি দেরি নেই। দেখতে দেখতে শীতের পোশাকে নির্ভরশীল হতে
হবে। সকালে কুয়াশার
চাদর দেখলেই বোঝা যায় শীত
দরজায় কড়া দিচ্ছে। শহরের
বাইরেতো শীত রীতিমতো জেঁকে
বসেছে বলা যায়। এই
শীত কারো কাছে উপভোগ্য
আবার কারো কাছে বিপদের।
যারা
শীতকালকে উপভোগ্য করার জন্য কিংবা
শীতজনিত রোগ থেকে বাঁচার
প্রস্তুতি নিচ্ছেন, তাদের কাজকে আরও সহজ করার
জন্য কিছু পরামর্শ দিয়েছে
যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য বিষয়ক সাইট সিডিসি ডটকম।
শীতের
পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে কিছু ধাপ অনুসরণ
করা যায়। শীতকালে অনেকেই
প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে
বের হতে চান না।
তীব্র শীতে বা শৈত্যপ্রবাহ
হলে গৃহে থাকাটাই নিরাপদ
এবং আরামদায়ক মনে হয়। তবে
ঘরের ভেতরেও যে নিরাপদ থাকবেন
সেই নিশ্চয়তা নিজেকেই তৈরি করতে হবে।
ঘরকে উষ্ণ আর নিরাপদ
রাখার জন্য কিছু কাজ
করতে পারেন।
ঘরের
ভেতর যাতে পর্যাপ্ত আলো-বাতাস ঢুকতে পারে এমন উপযোগী
জানালা নিশ্চিত করতে হবে। দেয়ালের
ভেতর দিয়ে যাওয়া পানির
লাইন গরম বা ঠান্ডা
সহিষ্ণু কিনা তা পরীক্ষা
করতে হবে। প্রয়োজনে আগে
থেকেই মেরামত করে রাখতে হবে।
এছাড়া বাসা বাড়ি কিংবা ছাদের পানির লাইন পরিষ্কার রাখুন। এ কাজ ভুলবেন না যেন । যাতে
ছাদে বসে শীতের সকালের
মিষ্টি রোদ উপভোগ করতে
পারেন। অবশ্য শহরের বাইরে বাড়ির উঠোন কিংবা আঙিনায়
সুবিধামতো জায়গায় সকালের মিষ্টি রোদ উপভোগ করা
হয়। এক্ষেত্রে উঠোন এবং আঙিনা
যাতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকে সে খেয়াল
রাখতে হবে।
ঘর উষ্ণ রাখতে এখন
অনেকেই রুম হিটার ব্যবহার
করে থাকেন। রুম হিটার ঠিক
আছে কিনা পরীক্ষা করে
নেওয়া, প্রয়োজনে পরিষ্কার করে রাখতে হবে।
শীতে ঘরকে উষ্ণ করতে
গিয়ে অজান্তেই আগুনের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এ
জন্য প্রয়োজন বাড়তি সচেতনতা। বাড়ির ছোট সদস্যদের হিটার
থেকে দূরে রাখতে হবে।
শীতকালীন
রোগবালাই সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে- মাথা ঘোরা,
দুর্বলতা, পেটের পীড়া, বমি, বুক ব্যথা
ইত্যাদি। এ সমস্ত রোগবালাই
থেকে রেহাই পেতে শীতে সব
সময় শরীর উষ্ণ রাখতে
হবে।
অন্যান্য
দেশের মতো বাংলাদেশে বরফ
না পড়লেও গত কয়েক বছর
ধরে শৈত্যপ্রবাহের মাত্রা বেড়ে গেছে। এ
কারণে আগে থেকেই পরিবারের
সকল সদস্যের জন্য শীতের জামাকাপড়-
কোট, মোজা, কম্বল, লম্বাহাতার শার্ট প্রস্তুত রাখতে হবে।
এ সময়টায় খাদ্যাভ্যাসেও পরিবর্তন আনতে হবে। শরীর
উষ্ণ রাখে এমন খাবার
খাদ্যতালিকায় রাখতে হবে। খাবার, পানি
ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র জোগাড় করে রাখতে হবে।
তীব্র শীতে এগুলো কেনার
জন্য যাতে বাজারে যেতে
না হয় সেটা খেয়াল
রাখতে হবে।
তীব্র
শীতে বেড়ানোর পরিকল্পনা না করাই বুদ্ধিমানের
কাজ। একান্তই প্রয়োজন হলে অবশ্যই আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবদের আগেই অবগত করা
যাতে নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্যে পৌঁছানো
যায়। উজ্জ্বল রঙের গরম কাপড়
পরা। প্রয়োজনে সঙ্গে বাড়তি কম্বল, টুপি, মোজা সঙ্গে নিয়ে
যেতে হবে। আর তাই যাদের শীতে দুর্বলতা আছে
তাদের এই অগ্রহায়ণ থেকেই প্রস্তুতি নেওয়া বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।
প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান
বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭