বিএনপিকে নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে ব্রিফিং

বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিএনপির কার্যক্রম নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে আবারও আলোচনা হয়েছে।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলারের কাছে জানতে চাওয়া হয় বিএনপির চলমান ‘সহিংস আন্দোলন’ এর বিষয়ে।

বাংলাদেশের টেলিভিশনের এক সাংবাদিক ম্যাথিউ মিলারকে প্রশ্ন করেন- ‌‘বিএনপি যেভাবে ‌‌‘সহিংসতাকে’ বেছে নিয়েছে, আপনার কী মনে হয় না এর মাধ্যমে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে খর্ব করছে দলটি?’ এর উত্তরে পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র মিলার বলেন, ‌‘আমরা বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন দেখতে চাই। নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হোক সেটাই আমরা চাই। আমরা আমাদের এই নীতির বিষয়ে এর আগেও বেশ কয়েকবার স্পষ্ট করে বলে দিয়েছি।’

এর আগেও গত ২০ নভেম্বর একই ব্রিফিংয়ে মিলারকে প্রশ্ন করা হয়- ‌‘সংলাপে বসতে যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বান সত্ত্বেও বাংলাদেশ সরকার আবারও একতরফা নির্বাচনের দিকে এগোচ্ছে। বিরোধী নেতাকর্মীদের আটক করছে। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে এক দলের কর্তৃত্বের বিরুদ্ধে কী উদ্যোগ নিচ্ছে?’

ওইদিন ম্যাথিউ মিলার বলেন, যুক্তরাষ্ট্র কোনো বিশেষ দলকে সমর্থন করে না। শান্তিপূর্ণভাবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন- বাংলাদেশের জনগণ যা চায় যুক্তরাষ্ট্রও তা চায়। বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থে ওই লক্ষ্য অর্জনে একসঙ্গে কাজ করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ সরকার, বিরোধী দল, নাগরিক সমাজসহ সব অংশীদারের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকবে।

ওই ব্রিফিংয়ে তার কাছে আরও জানতে চাওয়া হয়, যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু বাংলাদেশের বড় তিন দলকে নিঃশর্ত সংলাপে বসার চিঠি দিয়েছেন। আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে ৩০টিরও বেশি দল নির্বাচনে যাওয়ার কথা ঘোষণা দিয়েছে। কেবল বিএনপি নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে। বিএনপির বর্জন কি নির্বাচনের অংশগ্রহণমূলক ও বৈধতাকে প্রশ্নের মুখে ফেলবে?

জবাবে মিলার বলেন, আমেরিকার লক্ষ্য, বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন।

নির্বাচন ছাড়াও ব্রিফিংয়ে উঠে আসে দেশের পোশাক শ্রমিক আন্দোলনের ইস্যুও। শ্রমিক ও ট্রেড ইউনিয়নগুলোর বিরুদ্ধে দমনপীড়ন নিয়েও সেদিন উদ্বেগ প্রকাশ করেন ম্যাথিউ মিলার।