ইনসাইড থট

‘জাতীয় পার্টির বিরোধী দল হওয়ার সম্ভাবনা নাই’


প্রকাশ: 22/11/2023


Thumbnail

আমি গত তিন বছর ধরে বাংলা ইনসাইডার এবং অল্প কিছু লেখা বাংলাদেশ প্রতিদিনে লিখেছি। এর মূল সুর একটিই। আর তা হল বাংলাদেশে নির্বাচন সঠিক সময়ে হবে এবং সংবিধান অনুযায়ী হবে। নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে এবং যার ভোট তিনিই দেবেন। এর মূল কারণও ছিল একটিই। বর্তমানে দেশ পরিচালনা করছেন দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা। তিনি এ দেশের মানুষের ভোটের এবং ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করেছেন। সুতরাং তার হাত ধরে মানুষের ভোটের অধিকার থাকবে না সম্ভব না। আমি এটাও বলেছিলাম যে বিএনপি কোনো না কোনোভাবে অবশ্যই নির্বাচনে থাকবে এবং নির্বাচন খুব কঠিন নির্বাচন হবে। এবং আওয়ামী লীগের নেতারা যেন শুধুমাত্র নমিনেশন পাওয়ার জন্য দৌঁড়োদৌঁড়ি না করে বরং জনগণের ভিতরে তিনটি কাজ করবেন। এটা বারবার লিখেছি আবারও বলছি। সর্বপ্রথম দায়িত্ব হচ্ছে তাদের জনগণকে বারবার জানানো যে দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা বাংলাদেশের জন্যই কি করছেন? 

দ্বিতীয়টি হচ্ছে, ২০০১ সালে বিএনপি এসে বাংলাদেশের ওপরে কি অত্যাচার করেছিল সাধারণ মানুষের ওপরে। এবং তৃতীয়টি হচ্ছে যে যদি আবার দার্শনিক নায়ক জনগণের ভোটে নির্বাচিত হন তাহলে দেশ স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরিত হবে এবং স্মার্ট বাংলাদেশ বলতে কি বোঝায় সেটা প্রতিটি জনগণই বুঝতে পারবে। এটি আমার মূল সুর ছিল। এর ভেতর আমি এটাও বলেছিলাম যে এবার মোটামুটি ভাবে জাতীয় পার্টি বিরোধী দলের নেতৃত্ব গ্রহণ করবে। 

জাতীয় পার্টির প্রধান হওয়ার পর জিএম কাদের প্রচেষ্টা চালালেন যে জাতীয় পার্টিকে গৃহপালিত বিরোধী দলের ভূমিকায় না রেখে প্রকৃত বিরোধী দলের ভূমিকা অবতীর্ণ করার। এটা আমার মতে খুব ভালো প্রচেষ্টা। কিন্তু কথায় আছে না স্মার্ট হওয়া ভাল, কিন্তু ওভারস্মার্ট হওয়া ভালো না। তিনি (জিএম কাদের) করতে করতে এমন একটা পর্যায়ে গেলেন যে মনে করলেন দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা বোধহয় জাতীয় পার্টির ওপর নির্ভর করেই এদেশে গণতন্ত্র রক্ষা করবে অথবা ক্ষমতায় আসবে। এটা যে কত বড় ভুল এখন তারা বোধহয় বোঝা শুরু করেছে। বাস্তব অবস্থাটা হচ্ছে এখন নির্বাচনে বিএনপি প্রক্সির মাধ্যমে তাদের বিভিন্ন লোক বিভিন্ন দল করে আসবে নির্বাচন। নির্বাচনও কঠিন হবে এবং আমার মতে কমপক্ষে ৩০ জন যে ইন্ডিপেন্ডেন্ট ক্যান্ডিডেট তারা নির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে আসবে। এখন সেই জায়গায় জাতীয় পার্টি যে তাদের ফরম বিক্রি করছে, যা বিশ্বের ইতিহাসে নাই। আমি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব কি করব না কিন্তু ফরম বিক্রি করে যে টাকাটা নিচ্ছি সেটা কিসের জন্য? এটা তো কোন রাজনীতির পরিভাষায় তা পড়ে না। তার মানে কি তার নির্বাচনে আসবেন? 

এখন জিএম কাদেররা বুঝে ফেলেছেন যে নির্বাচন যদি নিরপেক্ষ হয় তাহলে জাতীয় পার্টির বিরোধী দল হওয়ার সম্ভাবনা নাই। এবার বিরোধী দল হয়তো অন্য কোনো তৃতীয় পক্ষ পাবে। কারণ জাতীয় পার্টি তো আওয়ামী লীগের ছেড়ে দেওয়া আসনগুলো জয়ী হয়ে আসে। কিন্তু এবার এসব কিছু হবে না। কারণ রওশন এরশাদ আলাদা হয়ে গেছে। তিনিও হয়তো শেষ নির্বাচনে তেমন সুবিধা করতে পারবেন না। জাতীয় পার্টিও হয়তো এবার মুসলিম লীগের মতো হবে। এবার অন্য নতুন কোন দল আসবে। আর সেটা হওয়ার উচিত বলে আমি মনে করি। নেত্রী সব সময় বলেন যে, একটি শক্তিশালী বিরোধী দল দরকার। এই মুহূর্তে একটি শক্তিশালী বিরোধী দল না পেলেও আগামীতে হয়তো পাবো। কারণ বিরোধী দল হিসেবে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা যথেষ্ট বিগ্ক এবং তারা সংসদ সজীব রাখতে সক্ষম হবে বলে আমার মনে হয়। তবে সুযোগ হারাবে জিএম কাদেরের জাতীয় পার্টি। তারা বিরোধী দল থেকে এখন তিন নম্বর দলে চলে যাবে। বিরোধী দলে আমরা হয়তো এবার নতুন দলকে দেখব। সব সময় নির্বাচন এলে জাতীয় পার্টি যেন একটা খেলা জমিয়ে ফেলে। কিন্তু একই নিয়ম যে সবসময় চলে না এই উপলদ্ধি জাতীয় পার্টি করতে পারেনি। কথায় আছে ইতিহাস পুনরাবৃত্তি হয় কিন্তু একইভাবে পুনরাবৃত্তি হয় না।




প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭