লিভিং ইনসাইড

ঘরের যেসব কারণে ক্যানসার হয়

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 24/03/2018


Thumbnail

আমরা আমাদের ঘরে অনেক আসবাবপত্র, সরঞ্জামাদি ব্যবহার করি। কিন্তু কল্পনাও করতে পারিনা যে এগুলো আমাদের শরীরে কতো বড় ঝুঁকি বয়ে আনতে পারে। এই ছুঁকি যে প্রাণঘাতী ক্যানসার পর্যন্ত চলে যেতে পারে তা আমাদের জানা থাকা ভালো। আজ জানবো এমনই কিছু দৈনন্দিন ব্যবহার্য ক্ষতিকর ঘরের সরঞ্জামাদি সম্পর্কে-

বড় আরামদায়ক সোফা

আপনার প্রিয় সোফা আপনার সর্বনাশের কারণ হতে পারে। অনেক সোফা, ম্যাট্রেস এবং অন্যান্য কুশনযুক্ত ফার্নিচারে অগ্নিপ্রতিরোধী টিডিসি আইপিপি ব্যবহার করা হয় যা ক্যানসার সৃষ্টি করতে পারে। এতে এমন কেমিক্যাল থাকে যেটি অধিকাংশ ক্ষেত্রে গৃহস্থালির ধূলিকণায় পাওয়া যায়।

কার্টেন ও কার্পেট

ক্যাডমিয়াম হচ্ছে সিগারেট স্মোকের কার্সিনোজেনিক বাইপ্রোডাক্ট। ঘরে ধূমপান করলে ক্যাডমিয়াম ও সিগারেট স্মোকের অন্যান্য বাইপ্রোডাক্ট ঘরের জিনিসের সঙ্গে লেগে থাকতে পারে। বিশেষ করে কার্টেন ও কার্পেটের মতো নরম পৃষ্ঠের ওপর। এমনকি স্মোকের ঘ্রাণ চলে যাওয়ার দীর্ঘসময় পরও। এতে করে ক্যানসারের ঝুঁকি অনেক বেড়ে যেতে পারে।

বাগান

ডাইঅক্সিন হচ্ছে একটি কার্সিনোজেন যা বাইপ্রোডাক্ট হিসেবে উৎপন্ন হয় এবং এটি থাকে মাটি ও পানিতে। এটি তাকের ধূলিকণা, ফ্লোরের ময়লা এবং শাকসবজির মধ্যে থাকতে পারে। এগুলো নিঃশ্বাস বা ত্বকের মাধ্যমে শরীরের ভিতরে গেলে ক্যানসারের ঝুঁকি দেখা দিতে পারে।

পুরনো ফ্রিজ

ক্যানসার ডট অর্গের মতে, ‘পুরোনো যন্ত্রপাতি, ফ্লোরেসেন্ট লাইটিং ফিক্সচার এবং ইলেক্ট্রিক্যাল ট্রান্সফরমারে কার্সিনোজেনিক পিসিবি আবির্ভূত হতে পারে।’ যুক্তরাষ্ট্রে বাণিজ্যিকভাবে পিসিবি উৎপাদিত হয় না, কিন্তু উন্নয়নশীল দেশে এখনো পিসিবি উৎপাদিত ও ব্যবহৃত হচ্ছে। পিসিবি এক্সপোজারের অন্যতম প্রধান উৎস হচ্ছে খাবার। এটি পুরনো ফ্রিজের মধ্যে বেশি মাত্রায় মজুদ হয়ে থাকতে পারে। যা থেকে ক্যানসার হতে পারে।

ক্লিনিং প্রোডাক্ট

ফরমালডিহাইড হচ্ছে একটি পরিচিত কার্সিনোজেন যা খাবার, কসমেটিক্স, বিভিন্ন ধরনের ক্লিনিং প্রোডাক্ট (যেমন- ডিসওয়াশিং লিকুইড, ফ্যাব্রিক সফটেনার ও কার্পেট ক্লিনার), পেইন্ট, ফোম ইনসুলেশন এবং পার্মানেন্ট প্রেস ফ্যাব্রিকে পাওয়া যায়। এছাড়া গ্যাস কুকার এবং ওপেন ফায়ারপ্লেসের ধোঁয়া থেকে নিঃশ্বাসের মাধ্যমে এটি বের হতে পারে। এ থেকে ক্যানসারের প্রবণতা থাকে।

ওয়ারড্রব

শুষ্ক-পরিষ্কারক কেমিক্যাল পেরক্লোরোইথাইলিন (টেট্রাক্লোইথাইলিন বা পার্ক) হচ্ছে একটি কার্সিনোজেন। এগুলো পরিস্কার করা কাপড় রাখার স্থানে জমা হতে পারে। এটি স্পট রিমুভার, শো পলিশ ও উড ক্লিনারেও পাওয়া যায়। এগুলো শরীরের জন্য ক্ষতিকর।

চিকেন ও রাইস ডিনার

আর্সেনিক যে বিষাক্ত এটা সবাই জানে।  কিন্তু অল্প ডোজে এটি কার্সিনোজেনিকও। আমাদের প্রতিদিনের খাবারে এটি পাওয়া যেতে পারে। যেমন- মুরগির মাংস, ভাত এবং কিছু ফলের জুস। যেগুলো সাধারণত ডিগ্রিজিং প্রোডাক্ট, ডাই, ফার্নিচার ওয়্যাক্স, গ্লু, লুব্রিকেন্ট, নাইলন ও পেইন্টে পাওয়া যায়। অর্থাৎ এই খাবারগুলো থেকেও সাবধান।

লাইব্রেরির বই

লাইব্রেরি অব কংগ্রেস এবং অন্যান্য সরকারি উৎস অনুযায়ী, মেডিক্যাল সাপ্লাই, লাইব্রেরির বই এবং জাদুঘরের বিভিন্ন বস্তু ইথাইলিন অক্সাইড দিয়ে জীবাণুমুক্ত বা কীটমুক্ত করা হয়। এগুলো শরীরে সরাসরি বা শ্বাসের মাধ্যমে প্রবেশ করলে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।

উইডকিলার

আগাছা কারোই পছন্দ না। রাউনডাপের মতো হার্বিসাইড দিয়ে আগাছা ধ্বংস করলে এখন থেকে সাবধান। এতে গ্লাইফোসেট নামক কার্সিনোজেন থাকে যা ক্যানসারের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে।

বাগ স্প্রে

ঘরে কীটপতঙ্গ এবং অন্যান্য ছোট কীটপতঙ্গ রোগের কারণ হতে পারে। কেমিক্যাল পেস্টিসাইড (যেমন- ফ্লি কলারস এবং টিক রিপেল্যান্ট) দিয়ে এসব কীটপতঙ্গ নির্মূল করলে ক্যানসারের ঝুঁকি বেড়ে যাবে।

সূত্র: রিডার্স ডাইজেস্ট

বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ/জেডএ

 



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭