ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির মেয়াদ আরও বাড়লো


প্রকাশ: 28/11/2023


Thumbnail

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া চারদিনের যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়বার কথা শোনা যাচ্ছিল যুদ্ধবিরতির শুরু থেকেই। অবশেষে যুদ্ধবিরতির কাঙ্খিত সেই মেয়াদ বাড়তির ঘোষণা এল। হামাসের সাথে ইসরায়েলের প্রথম দফার চারদিনের যুদ্ধবিরতির মেয়াদ অতিরিক্ত দু’দিনের জন্য বাড়ানো হয়েছে। সোমবার কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা গাজায় যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বৃদ্ধির চুক্তির এই ঘোষণা দিয়েছেন।

এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি জানিয়েছেন, যুদ্ধবিরতির বাড়তি মেয়াদে আরও ২০ জিম্মি ব্যক্তিকে মুক্তি দেবে হামাস। তিনি বলেন, ‘আমরা অবশ্যই আশা করি, সাময়িক এই যুদ্ধবিরতির মেয়াদ সামনে আরও বাড়বে। আর এটি নির্ভর করবে হামাসের হাতে জিম্মি থাকা ব্যক্তিদের মুক্তির ওপর।

যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বৃদ্ধিতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, গাজার দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের কাছে আরও ত্রাণসহায়তা পৌঁছাতে সহায়তা করবে এটি। তবে উপত্যকাটির মানুষ জরুরি পণ্যের যে ঘাটতিতে রয়েছেন, তা এ দুই দিনে মেটানো অসম্ভব।

কাতারের এ ঘোষণার কিছুক্ষণ পরই চুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধির তথ্য জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে গাজা উপত্যকার ক্ষমতাসীনগোষ্ঠী হামাস। এতে বলা হয়েছে, কাতার এবং মিসরের মধ্যস্থতায় ইসরায়েলের সাথে সাময়িক যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। তবে চুক্তির শর্ত একই রয়েছে।

এর আগে, মিসর, কাতার এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতাকারীরা গাজায় চারদিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে হামাস-ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের সাথে দফায় দফায় আলোচনা করেন। সোমবার প্রথম দফার চারদিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তি শেষ হওয়ার আগে এই চুক্তি হতে পারে বলে মিসরের সরকারি একটি সূত্র ইঙ্গিত দিয়েছিল। গত সাত সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলা হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধের অবসানে ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক চাপের মাঝে চুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে।

যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়াতে আগে থেকেই তৎপরতা চলছিল। শনিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছিলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য, যুদ্ধবিরতি সোমবারের পরও নিয়ে যাওয়া; যাতে আরও জিম্মি মুক্তি পান ও জরুরি প্রয়োজনের মুখে থাকা মানুষের কাছে আরও ত্রাণসহায়তা পৌঁছানো যায়।

যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়েছিল জার্মানি, ইরান, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো ও জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ।

এদিকে শনিবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, ‘যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার পরপরই আমাদের লক্ষ্য অর্জনে পুরো শক্তি দিয়ে হামলা চালাব আমরা। লক্ষ্যগুলো হলো হামাসকে নিশ্চিহ্ন করা, গাজা যাতে আগের অবস্থায় না ফেরে, আর অবশ্যই সব জিম্মিকে মুক্ত করা।

বর্তমান চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, হামাস গাজায় জিম্মি করে রাখা মোট ৫০ ইসরায়েলি নারী ও শিশুকে মুক্তি দেবে। সেই হিসেবে সোমবার আরও ১১ জনকে মুক্তি দেওয়ার কথা রয়েছে হামাসের। তবে কতজন বিদেশি জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হতে পারে সেই বিষয়ে চুক্তিতে কোনও শর্ত নেই।

 

সূত্র: আলজাজিরা, টাইমস অব ইসরায়েল।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭