ইনসাইড পলিটিক্স

বিএনপির নেতাদের বিশ্বাস করছেন না তারেক


প্রকাশ: 02/12/2023


Thumbnail

লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া এখন কাউকে বিশ্বাস করতে পারছেন না। বিশেষ করে বিএনপি নেতা শাহজাহান ওমরের আকস্মিকভাবে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত বিএনপির জন্য একটি বড় ধরনের ধাক্কা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। জেলে থেকে যদি একজন নেতা সরকারের সঙ্গে সমঝোতা করতে পারেন, তাহলে অন্যরা কি করছেন সেটি নিয়ে দলের হাইকমান্ড চিন্তিত। এই ধরনের ঘটনার পরে লন্ডনে পলাতক তারেক জিয়া কাউকেই আর আস্থায় নিতে পারছেন না। কারণ কে কখন সরকারের সাথে কি ধরনের সমঝোতা করছে তা নিয়ে সন্দেহের ধূম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে বিএনপির মধ্যে। 

বিএনপি নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন করছে। আর এই আন্দোলনের অংশ হিসেবে তারা আগামীকাল থেকে আবার ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ পালন করবে। কিন্তু এই সমস্ত রাজনৈতিক কর্মসূচি গুলোতে দলের নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণ তেমন আশাব্যঞ্জক নয়। বরং নেতাকর্মীরা যে যার মতো করে দূরত্ব বজায় রেখে চলে এসেছে। 

এতদিন মনে করা হত যে, মামলা-হামলা এবং গ্রেপ্তারের ভয়ে হয়তো তারা এই ধরণের কর্মসূচিগুলো থেকে নিজেদেরকে গুছিয়ে রাখছেন। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে যে মামলা-হামলার ব্যাপার নয় বরং সরকারের সাথে একটি সমঝোতার ভিত্তিতেই তারা এই ধরনের কর্মসূচিগুলো থেকে নিজেদেরকে গুটিয়ে রাখছেন। 

বাজারে গুঞ্জন রয়েছে যে, বিএনপির নেতাদের সঙ্গে সরকারের একটি সমঝোতা হয়েছে, সেই সমঝোতার অংশ হিসেবে বিএনপির নাম কা ওয়াস্তে কর্মসূচি দেবে এবং এই কর্মসূচিগুলো নির্বাচনকে বাধা দেবে না। বিএনপির এই কর্মসূচির মধ্যেই একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনের পর বিএনপির সঙ্গে সরকার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দর কষাকষি করবে বা সমঝোতার চেষ্টা করবে। যদিও লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার প্রধান লক্ষ্য হল নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করা, প্রতিহত করা এবং নির্বাচন ঠেকানোর জন্য আন্দোলনকে বেগবান করা। কিন্তু তারেক জিয়ার বিভিন্ন তৎপরতার পরেও আন্দোলনের গতি পাচ্ছে না। এর পিছনে রয়েছে বিএনপির অনেক নেতার বিশ্বাসঘাতকতা এমনটাই মনে করছেন দলটির মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা। তারা তারেক জিয়ার কছেও একই বিষয়ে অভিযোগ করেছেন। আর এরকম যদি বিশ্বাসঘাতকতা হয়, তাহলে শেষ পর্যন্ত নির্বাচন ঠেকানো তো দূরের কথা, নির্বাচনের সময় কোনও প্রতিরোধও করতে পারবে না। 

২০১৪ সালে যখন বিএনপি নির্বাচন বর্জনের ডাক দিয়েছিল। তখন সারা দেশে ব্যাপক আন্দোলন গড়ে উঠেছিল এবং মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়াটাও ছিল বিপজ্জনক। নির্বাচনী আমেজ নয় বরং সেসময় আন্দোলনের আতঙ্কই বড় হয়ে উঠেছিল। কিন্তু এবার সম্পূর্ণ বিপরীত চিত্র। সারাদেশে একটি নির্বাচনী আমেজ তৈরি হয়েছে।

আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীরা দাঁড়ানোর ফলে এই নির্বাচন একটি গাজীপুর মডেলের নির্বাচন হতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন। আর এরকম যদি একটি নির্বাচন হয় তাহলে ভোটার অংশগ্রহণও বাড়বে। সরকার যদি হস্তক্ষেপ না করে, প্রশাসন যদি নিরপেক্ষ থাকে তাহলে এই নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন উঠবে না। নির্বাচনী উৎসবে আন্দোলন ভেসে যাবে। আর এই জন্য বিএনপির অনেকেই তাদের নেতাদেরকে দায়ী করছেন। নেতাদের বিশ্বাসঘাতকতার কারণেই বিএনপি কোন আন্দোলন গড়ে তুলতে পারছে না বলে ধারণা অনেকের।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭