ইনসাইড থট

বিএনপি এক সময় পশ্চিমা বিশ্বের মাথাব্যথা হয়ে দাঁড়াবে


প্রকাশ: 09/12/2023


Thumbnail

আমি এর আগেও একটি লেখায় লিখেছিলাম যে বিএনপিকে আর রাজনৈতিক দল হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া উচিত নয়। কেননা রাজনৈতিক দলের রাজনৈতিক প্রোগ্রাম থাকে কিন্তু রাজনৈতিক দল ক্রমাগতভাবে বাসে জ্বালাও পোড়াও এবং একই সাথে হত্যার রাজনীতি করতে পারে না। এটা শুধু যারা জঙ্গি তারাই পারে।

বিএনপিকে একটি রাজনৈতিক দল হিসাবে যখন কেউ গণনায় আনে সেটা দেশে হোক বা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে হোক তারা কিন্তু তাহলে জঙ্গি সংগঠনকে রিকগনাইজ কর। আপনি মধ্যপ্রাচ্যে এ ধরনের জঙ্গি সংজ্ঞা দিবেন, ইউরোপে আরেক ধরনের দিবেন, বাংলাদেশে আরেক রকম দেবেন সেটা তো হয়না। যে কোনো সন্ত্রাসী দল মানে সন্ত্রাসী দল। বাংলাদেশে যদি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থামাতে হয়, যেটা সম্প্রতিকালে আমেরিকা তাদের একটি রিপোর্টেও যে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে বাংলাদেশ যে অনেক ভালো দেখিয়েছে সেটা তারা উপলদ্ধি করছে। এখন যদি সন্ত্রাস ঠেকাতে হয় তাহলে বড় দায়িত্ব হচ্ছে এখন জামায়াতের চেয়ে বিএনপিই বেশি হয়ে গেছে। বিএনপি এখন পুরোপুরি সন্ত্রাসী সংগঠন। একটি সন্ত্রাসী সংগঠন কখনো রাজনৈতিক দল হয় না। সন্ত্রাসের তো আবার কোন পাসপোর্ট, ভিসা লাগে না। তারা সমস্ত বিশ্বে তারা ছড়িয়ে পড়ে। সুতরাং এই বিএনপি এক সময় পশ্চিমা বিশ্বেরও মাথাব্যাথা হয়ে দাঁড়াবে। যে রকম আফগানিস্তানে হয়েছিল। বাংলাদেশে এখন পশ্চিমা বিশ্ব এবং তথাকথিত বুদ্ধিজীবীরা বিএনপিকে রাজনৈতিক দলের স্বীকৃতি দিচ্ছে কিন্তু বিএনপি করছে খুনের রাজনীতি। তারা বাসে আগুন দেয়, প্রধান বিচারপতির বাসায় হামলা চালায় এমনকি সুযোগ পেলে হত্যার ঘটনা ঘটাচ্ছে। 

কিছুদিন আগ পর্যন্ত পশ্চিমারা বলছিল যে, বাংলাদেশে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হতে হবে। তাদের ভাষায় অংশগ্রহণমূলক বলতে বিএনপিকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করাকে বুঝায়। একটি সন্ত্রাসী সংগঠনকে তারা যদি একটি রাজনৈতিক দলের স্বীকৃতি দেয় সেটা দুর্ভাগ্য। দাঁড়িয়ে থাকা বাসে আগুন দিয়ে যারা মানুষ হত্যা করছে পশ্চিমারা কি মানবাধিকারের কথা বলে বিএনপির এ সমস্ত কর্মকাণ্ডকে জায়েজ করার চেষ্টা করছে? কিন্তু এমন হওয়ার কথা যে বিএনপির যারা জ্বালাও পোড়াও আগুন সন্ত্রাসের সাথে যুক্ত আছে তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনতে হবে। আইনে সোপর্দ করে বিচার হওয়া উচিত। এদেরকে আইনের আওতায় মানে মানবাধিকার লঙ্ঘন নয় বরং মানবাধিকার রক্ষা করার প্রচেষ্টা। যারা বিএনপির আগুন সন্ত্রাসে পুড়ে মারা যাচ্ছে বা আগুন সন্ত্রাসের শিকার হচ্ছে তাদের মানবাধিকার কোথায়? তাদের কি কোনো মানবাধিকার নাই? তাদের মানবাধিকারের জন্য কোন পশ্চিমা দেশ একটি বিবৃতি দিল না। অবাক লাগে! যারা মানবাধিকার রক্ষা করে চলছে তাদেরকে আমাদের উৎসাহ দিতে হবে। এ কারণে র‌্যাব, পুলিশ এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আমাদের মাথায় উচুঁ করে রাখতে হবে। একই সাথে তাদের এটাও মনে রাখতে হবে যে, তারা যেমন মানবিক পুলিশ খেতাব পেয়েছে, অনেকে মানবিক র‌্যাব বলা শুরু করেছে এরা মানবিক যে আচরণ করছে এ থেকে যেন বিচ্যুত না হয়। দু একজনের ক্রুটি-বিচ্যুতি হতে পারে তারা আইনের আওতায় আসবে। এমন কোন পেশা, এমন কোন সভ্যতা নাই যেখানে নাকি কেউ আইনের উর্ধ্বে। যারা তথাকথিত বুদ্ধিজীবী তাদেরকে বুঝতে হবে যে, বিএনপি এখন আর কোন রাজনৈতিক দল নয়। বিএনপি হচ্ছে সন্ত্রাসী সংগঠন। সুতরাং বিএনপির যে কোনো নেতাকর্মী যারা এই জ্বালাও পোড়াও এর সাথে, আইন লঙ্ঘনের সাথে, সাধারণ মানুষের যে মানবাধিকার সেই মানবাধিকারকে তারা যে হত্যা করার চেষ্টা করছে এবং তাদেরকে যারা সমর্থন দিচ্ছে তারা সুশীল সমাজ হোক কিংবা বুদ্ধিজীবী হোক তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনতে হবে। এবারের আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে আমাদের সংকল্প হওয়া উচিত যে, আইন করে বিএনপিতে নিষিদ্ধ করা হোক। যাতে তারা মানুষের মানবাধিকার লঙ্ঘন করতে না পারে।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭