লাইবেরিয়ার রাজধানীর মেয়রের সম্পদ জব্দ করেছে যুক্তরাষ্ট্র

পশ্চিম আফ্রিকার ছোট্ট দেশ লাইবেরিয়া দুর্নীতির মহামারির জন্য পরিচিত। যদিও বিশ্বের অন্যতম একটি দরিদ্র দেশ এটি। এবার এই লাইবেরিয়ার রাজধানী মনরোভিয়ার মেয়র জেফারসন কোইজির সম্পদ জব্দ করলো যুক্তরাষ্ট্রের সরকার। রাজনৈতিক বিরোধীদের প্রতি সহিংসতা, মানবাধিকার লঙ্ঘন ও দুর্নীতির অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে মনরোভিয়ায় অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র লাইবেরিয়ার বেশ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার ওপরও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। তাঁদের মধ্যে প্রেসিডেন্ট উইয়াহর চিফ অব স্টাফ হিসেবে দায়িত্ব পালন করা এক কর্মকর্তাও রয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধেও দুর্নীতি, সরকারি তহবিলের অপব্যবহার এবং বিরোধীদের ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ আনা হয়।

এদিকে মেয়র জেফারসন কোইজির সম্পদ জব্দের পেছনে যুক্তিযুক্ত কারণ রয়েছে। বিরোধীদের বিক্ষোভ কর্মসূচি, সরকারের সমালোচক কিংবা ধর্ষণবিরোধী অধিকারকর্মীদের বিরুদ্ধে ২০১৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত নিষ্ঠুর পদক্ষেপ নিতে জেফারসন তাঁর দলের সঙ্গে যুক্ত আধা সামরিক বাহিনীর মতো সংগঠনগুলোকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। এসব সংগঠনের ওপর তাঁর নিয়ন্ত্রণ ছিল। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এসব তথ্য সামনে আনে।

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে পরাজিত প্রেসিডেন্ট জর্জ উইয়াহর দল কংগ্রেস ফর ডেমোক্রেটিক চেঞ্জের জ্যেষ্ঠ নেতা জেফারসন। গতকাল শনিবার মার্কিন দূতাবাসের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘জেফারসন গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়ী, জড়িত কিংবা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যুক্ত।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, জেফারসন ব্যক্তিগত রাজনৈতিক আন্দোলনের কাজে ঘুষ প্রদান ও রাষ্ট্রীয় সম্পদের অপব্যবহার এবং দুর্নীতির তদন্ত বন্ধে দুর্নীতিবিরোধী তদন্তকারীদের চাপ দেওয়াসহ অনিয়মেও জড়িত ছিলেন।