এডিটর’স মাইন্ড

রেডিমেড এমপি


প্রকাশ: 11/12/2023


Thumbnail

ছোটবেলায় কাপড় কিনে দর্জির কাছে যেতাম। দর্জি শরীরের মাপ নিয়ে শার্ট-প্যান্ট সেলাই করে দিতেন। সেটা ঠিকঠাকমতো হলো কি না, ট্রায়ালের জন্য ডাকতেন দর্জি মহাশয়। অবশেষে পাওয়া যেত নতুন জামাকাপড়। নতুন জামা পাওয়ার পুরো ব্যাপারটাই ছিল শ্বাসরুদ্ধকর, উত্তেজনাপূর্ণ। এখন ক’জন দর্জির কাছে কাপড় সেলাই করতে যান? রেডিমেডের এ জামানায় শার্ট, প্যান্ট, পাঞ্জাবি, ব্লেজার সবই দোকানে মেলে। সাইজ মিলিয়ে গায়ে জড়ালেই হলো। শুধু যে পোশাকের ক্ষেত্রেই রেডিমেড প্রথা হয়েছে তা নয়, খাবারদাবার থেকে শুরু করে সবক্ষেত্রেই এখন চটজলদি প্রাপ্তির সুযোগ আছে। পরীক্ষার আগে রেডিমেড প্রশ্নপত্র, নোট থেকে শুরু করে, বিয়েতে রেডিমেড পাত্রী- কী নেই, যা চাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পাওয়া যায়। আপনি যা খেতে চান পাঠাও, ফুডপান্ডায় অর্ডার করলেই হলো। রান্নার ঝামেলা নেই, বাজারের ঝক্কিও নেই। এ জামানায় সবকিছু যদি ‘রেডিমেড’ থাকে তাহলে সংসদ সদস্য কেন রেডিমেড হবে না?

সংসদ সদস্য নির্বাচনে যারা প্রার্থী হয়েছেন, তারাও ভোট করতে চান না, অনিশ্চয়তায় থাকতে চান না। প্রার্থী হয়েছেন কিংবা মনোনয়ন পেয়েছেন, তাই আর দেরি কেন? সবাই নিশ্চিত এমপি হতে চান। ঝুঁকিহীনভাবে ‘নির্বাচিত’ হতে চান। চান আসন সমঝোতা। ২০১৪ ও ’১৮ সালের নির্বাচনের পর সবাই মনে করেন এমপি হওয়া কত সোজা। কিন্তু এবার নির্বাচনে প্রার্থীদের টেনশন বেড়েছে, ঝুঁকিও বেড়েছে। এ কারণে উদ্বিগ্ন দলের মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থীরা। তারা চান সমঝোতা। আরও খোলাসাভাবে বললে, জয়ের গ্যারান্টি। অথচ, ভোট একটি অনিশ্চয়তার উত্তেজনা। অনেক জনপ্রিয় প্রার্থী জনগণের রায়ে পরাজিত হতে পারেন। ’৯১-এর নির্বাচনে সবাইকে অবাক করে দিয়ে বিএনপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছিল। ’৯৬-এর নির্বাচনে সবসময় জয়ী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত পরাজিত হয়েছিলেন তার নিজ আসনে। পরে উপনির্বাচনে তাকে জিতিয়ে আনা হয়েছিল। এটাই নির্বাচনের আসল আনন্দ। এ অদ্ভুত অনিশ্চয়তার রোমাঞ্চই গণতন্ত্রকে করেছে শক্তিশালী।

কিন্তু ১৯৭৫-এর পর থেকে নির্বাচন ব্যবস্থায় রেডিমেড ব্যবস্থা চালু হয়। জনগণের ভোট নয়, পূর্বনির্ধারিত ফলাফলেই নির্বাচনের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করার এক নজিরবিহীন পদ্ধতি চালু হয়। ’৭৯ সালের নির্বাচনে বিএনপি কতটা আসন পাবে, তা আগে থেকেই নির্ধারিত ছিল। ’৭৫ থেকে ’৭৯ সাল পর্যন্ত খুনি মোশতাক এবং জিয়ার অবৈধ কর্মকাণ্ডকে সাংবিধানিক বৈধতা দেওয়ার জন্য বিএনপির দরকার ছিল দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা। নির্বাচনের নামে এক প্রহসন করে তা নিশ্চিত করা হয়। এরশাদ ১৯৮৬ সালে একই পথে হাঁটেন। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশ নিয়েছিল। সহিংসতায় ভরা ভোটের শেষে গণনায় দেখা যায়, এরশাদের জাতীয় পার্টি নির্বাচনে হেরে যাচ্ছে। তড়িঘড়ি করে ফল ঘোষণা বন্ধ করা হয়। দু’দিন পর টেবিলে বসে ফল বানিয়ে তা রেডিও ও টেলিভিশনে প্রচার করা হয়। ’৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া নির্বাচন করেছিলেন ভোট ছাড়াই। ২৯১টি আসনে কোনো নির্বাচনই হয়নি। কোনো ভোটার ভোটকেন্দ্রে যাননি। নির্বাচন কমিশন মনের মাধুরী মিশিয়ে ফলাফল ঘোষণা করে। এরপর তিনটি নির্বাচনে দেশের জনগণ একদিনের মালিক হন।

২০১৪ সালের নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বিএনপি নির্বাচন বর্জন করে। শেষমুহূর্তে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দেন। সেই সময় রওশন এরশাদ ভোটে থাকার পক্ষে অবস্থান নেন। এর ফলে জাতীয় পার্টি এক বিভ্রান্তির নির্বাচনে অংশ নেয়। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে রেডিমেড এমপি হওয়ার পদ্ধতি চালু হয়। ১৫৩টি আসনে এমপি হন বিনা ভোটে। যারা স্বতন্ত্র ছিলেন তাদের জোর করে, ভয় দেখিয়ে অথবা প্রলোভন দিয়ে বসিয়ে দেওয়া হয়। যে আসনগুলোতে ভোট হয়েছিল, সেখানেও ভোটারের উপস্থিতি ছিল অনেক কম। সবাই ওই নির্বাচনকে আনুষ্ঠানিকতার নির্বাচন হিসেবে মনে করেছিল। জনগণের মতামত ছাড়া এমপি হওয়ার এই ব্যাধি আওয়ামী লীগের মধ্যে পরবর্তী সময়ে ছড়িয়ে পড়ে ব্যাপকভাবে। উপনির্বাচনগুলোতেও দেখা যায় ভোট ছাড়া এমপি হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা। ২০১৮ সালে যারা এমপি হয়েছেন, তাদের একটি বড় অংশই জানেন না যে তারা কীভাবে এমপি হলেন। সকালে ঘুম থেকে উঠে কিছু বোঝার আগেই অনেকে জয়ের বার্তা পান। জাতীয় সংসদে এরকম বহু সংসদ সদস্য আছেন, যারা দুবার এমপি হয়েছেন বটে, কিন্তু এখনো জানেন না কীভাবে নির্বাচন হয়, জনগণের কাছে কীভাবে যেতে হয়। ভোট চাইতে বা নির্বাচনের প্রচারণার প্রাথমিক জ্ঞানটুকুও তাদের নেই। এবার যখন বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণে অসম্মতি জানায়, তখন তারা খুশিতে আটখানা। আবার বিনা ভোটে এমপি হওয়ার আনন্দে তারা আগাম উৎসবও শুরু করেন। বিএনপি নেই, তাই জয় ঠেকায় কে! যারা আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে আগ্রহী তারা জনগণের সঙ্গে জনসংযোগের চেয়ে মনোযোগ দেন নেতাদের সন্তুষ্টিতে। মনোনয়ন বোর্ডের সদস্যদের বাড়িতে বাড়িতে ধরনা। প্রশাসনের লোকজনের কাছে দেনদরবারে তারা ব্যস্ত সময় কাটান। এরপর যারা আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলেন, তারা মনে করলেন এমপি তো হয়েই গেছেন। কিন্তু তাদের আনন্দে জল ঢেলে দিলেন শেখ হাসিনা। মনোনয়নপ্রত্যাশীদের গণভবনে ডেকে যা বললেন, তা ছিল প্রার্থীদের জন্য রীতিমতো বজ্রাঘাত।

আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের একটা বড় সমস্যা হলো, তাদের অনেকেই শেখ হাসিনার নির্দেশগুলো মানেন না। মুখেই শুধু নেতার বন্দনা করেন। শেখ হাসিনা বলেছেন, রাজনীতি ত্যাগের, ভোগের নয়। রাজনীতিকে আওয়ামী লীগের অনেকেই টাকা বানানোর মেশিন বানিয়ে ফেলেছেন। শেখ হাসিনা বলেছেন, দুর্নীতি করা যাবে না। আওয়ামী লীগের ক’জন বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবেন, এ নির্দেশ তারা মেনেছেন। এরকম অনেক উদাহরণ দেওয়া যায়। সে প্রসঙ্গ থাক।

গণভবনে মনোনয়ন ইচ্ছুকদের আওয়ামী লীগ সভাপতি তিনটি নির্দেশনা দিয়েছিলেন। প্রথমত, বিনা ভোটে এমপি হওয়া যাবে না। দ্বিতীয়ত, প্রতিটি আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী থাকতে হবে। তৃতীয়ত, জনগণের ভোটে জিতে আসতে হবে। কাউকে জিতিয়ে আনা হবে না। নির্বাচন হবে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ। এ নির্দেশনার পর যারা মনোনয়ন পাননি তারা অনেকেই স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচনে প্রার্থী হন। প্রায় ৩০০ আসনেই আওয়ামী লীগের একাধিক নেতাকর্মী ‘স্বতন্ত্র’ হিসেবে প্রার্থী হয়েছেন। এর ফলে মনোনয়ন জমাদান পর্ব হয়ে ওঠে উৎসবমুখর। সারা দেশে তৈরি হয় নির্বাচনী আমেজ। কিন্তু যারা মনোনয়ন পাওয়া মানেই নিশ্চিত এমপি হওয়া ভেবেছিলেন, তারা পড়েছেন মহাবিপত্তিতে। ‘স্বতন্ত্র প্রার্থী’ তাদের কাছে যেন উটকো ঝামেলা। নির্বাচনে অনেকে প্রথমবারের মতো ভোটের পরীক্ষার সামনে। অনেক নির্বাচনী এলাকায় দেখা যায়, দলীয় মনোনীত প্রার্থীর চেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে জোয়ার তৈরি হয়েছে। দলের মনোনয়ন পাওয়া অনেকেই ছুটে আসেন কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে। তারা উদ্বিগ্ন, আতঙ্কিত। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এভাবে হবে না। কে স্বতন্ত্র হবে তা আমরা ঠিক করব, কী আশ্চর্য কথা। নির্বাচনে দাঁড়ানো একজন নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার। আওয়ামী লীগ কীভাবে তা ঠিক করবে? এটা কি পাতানো খেলার নির্বাচন? আশার কথা, দলের সভাপতির পরামর্শেই হোক আর নিজের বুদ্ধি বিবেচনাতেই হোক, ওবায়দুল কাদের সহসাই তার অবস্থান পরিবর্তন করেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের নেতাদের মধ্যে লাগামহীন বেফাঁস কথার প্রতিযোগিতা শুরু হয়। দলের নেতা আবদুর রহমান বিদ্রোহী প্রার্থীদের রীতিমতো হুমকি দেন। আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগের কর্মীরা স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণায় অংশ নিতে পারবেন না বলে ‘ফতোয়া’ জারি করেন। কিন্তু এসব বক্তব্যই আওয়ামী লীগের সভাপতির বক্তব্যের বিরুদ্ধে।

আওয়ামী লীগ সভাপতি এখন পর্যন্ত বলছেন, নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের স্বাগত। স্বতন্ত্র প্রার্থী থাকলে নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের যেন বাধা না দেওয়া হয়, সেই বার্তাটিও দিয়েছেন শেখ হাসিনা। কিন্তু তারপরও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বিরুদ্ধে মরিয়া দলীয় প্রার্থীরা। বরিশালের এক প্রতিমন্ত্রী তার প্রতিপক্ষ স্বতন্ত্র প্রার্থী সাদিক আবদুল্লাহর প্রার্থিতা বাতিলের জন্য আবেদন করেছেন। রাজশাহীতে এক প্রতিমন্ত্রী তার প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে যে ভাষা ব্যবহার করেছেন, তা দুর্ভাগ্যজনক। দেশের বিভিন্ন স্থানে এরকম ঘটনা ঘটছে। মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থীরা নিশ্চয়ই জনপ্রিয়। তাহলে ভোটের মাঠের প্রতিযোগিতায় তাদের ভয় কেন? ‘রেডিমেড এমপি’ হওয়ার এত লোভ কেন? আওয়ামী লীগের মনোনীতরা তার প্রতিপক্ষকে হুমকি-ধমকি দিয়েই ক্ষান্ত। ভোটের মাঠে এমনটা হতেই পারে। বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিলে হয়তো দলীয় প্রার্থীরা এর চেয়েও কঠোর ভাষায় কথা বলতেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের সঙ্গে আরও যেসব দল এবার নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে, তারা কেউই জনগণের ভোটে নয়, সমঝোতায় রেডিমেড এমপি হতে চান।

আওয়ামী লীগের আদর্শিক জোট ১৪ দলের শরিকদের কথাই ধরা যাক। এই দলের তিনজন নেতা মন্ত্রী হয়েছেন। রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, ফজলে হোসেন বাদশা ১৫ বছর সংসদ সদস্য। এই ১৫ বছরে তারা সংগঠন গোছাতে পারেননি। নিজেদের জনপ্রিয় নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারেননি। এবার রাশেদ খান মেননের ঢাকা-৮ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন আওয়ামী লীগের জনপ্রিয় নেতা বাহাউদ্দিন নাছিম। মেনন এ আসনে নির্বাচন করবেন না, এটা জানার পর এই এলাকায় অনেকে খুশিতে মিষ্টি বিতরণ করেছেন। মেনন বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবেন ১৫ বছরে এলাকার জন্য তিনি কী করেছেন?

১৪ দলের নেতাদের আবদার শিশুদের চাঁদ এনে দেওয়ার আবদারের চেয়েও অবাস্তব। তারা ২০টি আসন চেয়েছেন। আওয়ামী লীগ ছাড়া ১৪ দলের সব দলের নাম এ দেশের ক’জন মানুষ বলতে পারবেন? ২০ কেন, জনপ্রিয়তা থাকলে ১০০ আসনও ১৪ দলের শরিকরা চাইতেই পারে। কিন্তু তারা যে জনপ্রিয় নয়, তা তাদের আবদারের ফর্দ দেখলেই বোঝা যায়। শরিক দলগুলো নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে চায়। তার মানে তাদের সংগঠন বলে কিছু নেই। তারা নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করবে আর আওয়ামী লীগের কর্মীরা তাদের জিতিয়ে আনবে! শুধু তাই নয়, ১৪ দলের শরিকরা চায়, তারা যেসব আসনে দাঁড়াবে সেসব আসনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী বা স্বতন্ত্র প্রার্থীও থাকতে পারবেন না। তার চেয়ে জাসদ, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, সাম্যবাদী দল, জেপির জন্য অন্য ব্যবস্থা করা যেতে পারে। তাদের প্রার্থীদের এখনই নির্বাচিত ঘোষণা করা হোক। এরকম প্রস্তাবেই সম্ভবত তাদের সন্তুষ্ট করা যাবে।

জাতীয় পার্টি অবশ্য নৌকা চায় না। তবে তারা সমঝোতা চায়। তাও আবার প্রকাশ্যে নয়, গোপনে। তাদের সমঝোতার প্রস্তাবও ১৪ দলের শরিকদের মতোই। নৌকা থাকতে পারবে না, বিদ্রোহীদেরও বসিয়ে দিতে হবে। এভাবে তাহলে নির্বাচনের দরকার কী? যেহেতু নির্বাচনে বিএনপি নেই, তাই ৩০০ আসন সমঝোতার ভিত্তিতে ভাগাভাগি করে এখনই ফল ঘোষণা করলেই তো সব ঝামেলা মিটে যায়।

এবারের নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করা এ দেশের জন্য জরুরি। এটা শেখ হাসিনার কমিটমেন্ট। এ অঙ্গীকার শুধু দেশে নয়, বিদেশেও উন্নয়ন সহযোগীদের তিনি করেছেন। বিএনপি অংশগ্রহণ না করার পরও ৭ জানুয়ারি নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হওয়ার একটি পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রধান কারণ স্বতন্ত্র প্রার্থী। এ সিদ্ধান্তে আওয়ামী লীগ সাংগঠনিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে, দলে দীর্ঘমেয়াদি অনৈক্য হবে; এসব ঝুঁকি মেনে নিয়েই গণতন্ত্রের জন্য, দেশের জন্য শেখ হাসিনা এ সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সামনে এর ফলে সুষ্ঠু নির্বাচন করে দেখানোর সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু অতি উৎসাহীরা, রেডিমেড এমপি হতে ইচ্ছুকরা যদি এ সুযোগকে হত্যা করেন, তাহলে মৃত্যু হবে গণতন্ত্রের। যারা সমঝোতায় এমপি হওয়ার চেষ্টা করবেন, তারা বিবেচিত হবেন গণতন্ত্র হত্যাকারী হিসেবে।

লেখক : নির্বাহী পরিচালক, পরিপ্রেক্ষিত

ইমেইল : poriprekkhit@yahoo.com



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭