ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

আফিম উৎপাদন, আফগানিস্তানকে টপকে শীর্ষে মিয়ানমার


প্রকাশ: 12/12/2023


Thumbnail

আফগানিস্তানের পর এবার আফিম উৎপাদনকারী দেশের তালিকার শীর্ষে রয়েছে মিয়ানমার। মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে জাতিসংঘ।

জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তালেবান সরকারের দমন-পীড়নের পর আফগানিস্তানকে টপকে ২০২৩ সালে মিয়ানমার বিশ্বের বৃহত্তম আফিম উৎপাদনকারী দেশে পরিণত হয়েছে।

মায়ানমার, লাওস এবং থাইল্যান্ডের মধ্যে ‘গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গল’ সীমান্ত অঞ্চলটি দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ মাদক উৎপাদন এবং পাচার, বিশেষত মেথামফেটামিন এবং আফিমের কেন্দ্রবিন্দু ছিল। অন্যদিকে, আফগানিস্তানের তালেবান সরকার দেশটির ক্ষমতা দখলের পর ২০২২ সালে ‘নেশাজাত দ্রব্যের’ উৎপাদন নিষিদ্ধ করে। এর ফলে দেশটিতে আফিম উৎপাদনের হার ৯৫ শতাংশ কমে গেছে।

জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধ বিষয়ক দপ্তরের (ইউএনওডিসি) সবশেষ প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২৩ সালে মিয়ানমারে আনুমানিক ১ হাজার ৮০ মেট্রিক টন আফিম উৎপাদন হয়েছে। বিপরীতে, আফগানিস্তানে এ বছর আফিম উৎপাদন মাত্র ৩৩০ টনে দাঁড়িয়েছে, যা আগের তুলনায় প্রায় ৯৫ শতাংশ কম। গত বছরের এপ্রিলে তালেবান পপি চাষে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পর থেকেই দেশটিতে আফিম চাষ কমছে।

২০২১ সালে সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখলের পর দেশটির অর্থনীতি সংঘাত-অনিশ্চয়তায় মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছে। বৈধ আয়ের সুযোগ কমে গেছে, মুদ্রাস্ফীতি চরমে এরকম অর্থনৈতিক প্রতিবন্ধকতায় আফিম এবং অন্যান্য ভয়ঙ্কর মাদক উৎপাদন বিকল্প আয়ের আকর্ষণীয় উৎসে পরিণত হয়েছে। যার ফলে অনেক কৃষক পপি চাষে বাধ্য হচ্ছেন।

মিয়ানমারে আফিম চাষের মূল কেন্দ্র হলো শান রাজ্য। দেশটির প্রায় ৮৮ শতাংশ আফিম চাষ হয় এই একটি রাজ্যে । এটি দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় মেথামফেটামাইনের অন্যতম উৎস বলেও জানিয়েছে জাতিসংঘ। শান রাজ্যের পাশাপাশি মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলীয় কাচিন এবং ভারত সীমান্তবর্তী চিন রাজ্যেও আফিম উৎপাদন বেড়েছে।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭