জালিয়াতির বিচারে সাক্ষ্য দেবেন না ডোনাল্ড ট্রাম্প

নিউ ইয়র্কের আদালতে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ব্যবসায় জালিয়াতির মামলা চলমান রয়েছে। চলতি সপ্তাহে এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ হওয়ার কথা। তবে এ মামলায় সাক্ষ্য দিবেন না বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প।

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, তিনি ব্যবসায় জালিয়াতির মামলায় সাক্ষ্য দেবেন না। রবিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া বার্তায় ট্রাম্প বলেছেন, আমি সোমবার সাক্ষ্য দেব না।

ট্রাম্পের দাবি, মামলার অভিযোগপত্রে তার সম্পত্তির মূল্যকে ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। 

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সিভিল জালিয়াতির বিচার প্রক্রিয়া গত অক্টোবরে শুরু হয়েছিল। সাবেক প্রেসিডেন্ট হোয়াইট হাউজে প্রত্যাবর্তনের লড়াইয়ের ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি আইনি চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়েছেন। আশা করা হয়েছিল ট্রাম্প হয়তো দ্বিতীয় বার আদালতে উপস্থিত হবেন। এদিকে আগামী বছরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন উপলক্ষ্যে করা একটি জরিপে দেখা গেছে, দুটি ব্যাটলগ্রাউন্ড স্টেটে বাইডেনের চেয়ে এগিয়ে আছেন ট্রাম্প। জরিপটি করেছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন।

ট্রাম্প বলেছেন, তিনি ইতিমধ্যে সাক্ষ্য দিয়েছেন। তার মতে এটি তার নির্বাচনী লড়াইয়ে হস্তক্ষেপ ছাড়া আর কিছুই নয়।

আদালতের বিচারক আর্থার এনগোরন ইতিমধ্যেই রায় দিয়েছেন যে, ট্রাম্প এবং তার প্রাপ্তবয়স্ক ছেলেরা ব্যাংক এবং বীমাকারীদের প্রতারণা করার জন্য আর্থিক বিবৃতিতে হেরফের করেছেন।

নিউইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল লেটিশিয়া জেমস  ২৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ এবং ট্রাম্প এবং তার ছেলে ডোনাল্ড জুনিয়র এবং এরিকের নিউইয়র্কে ব্যবসা চালানোর উপর স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চাইছেন। ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট  নির্বাচনের ফলাফল উল্টে দেয়ার প্রচেষ্টা থেকে উদ্ভূত দুটি মামলা সহ ট্রাম্প চারটি ফেডারেল এবং রাষ্ট্রীয় অপরাধমূলক অভিযোগের মুখোমুখি হয়েছেন।

মিশিগান এবং জর্জিয়ায় বিভিন্ন নীতি প্রণয়ন এবং কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে বর্তমান প্রেসিডেন্ট বাইডেনের প্রতি ভোটাররা নাখোশ। জর্জিয়ায় ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সামান্য ব্যবধানে জয় পেয়েছিলেন বাইডেন। সেই রাজ্যের নিবন্ধিত ভোটারদের মধ্যে ট্রাম্পকে পছন্দ করেন ৪৯ শতাংশ এবং বাইডেনকে পছন্দের হার ৪৪ শতাংশ। 

মিশিগানে বড় ব্যবধানে জয়ী হয়েছিলেন বাইডেন। কিন্তু তাদের মধ্যেই ৫০ শতাংশ ট্রাম্পকে এবং ৪০ শতাংশ বাইডেনকে পছন্দ করার কথা জানিয়েছেন। ১০ শতাংশ ভোটার কাউকেই ভোট না দেওয়ার কথা জানিয়েছেন। এদিকে ট্রাম্পকে গণতন্ত্রের জন্য হুমকি বলে বারবার বলে আসছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ডেমোক্র্যাটরা। তবে ট্রাম্প এর জবাবে বলেছেন, আমি নই, প্রেসিডেন্ট বাইডেনই যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রের জন্য হুমকি।

ট্রাম্পের দায়মুক্তির ভাগ্য সুপ্রিম কোর্টের হাতে

প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়মুক্তি পেতে পারেন কিনা সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিতে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছেন স্পেশাল কাউন্সেল জ্যাক স্মিথ। ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট থাকাকালে যেসব অপরাধ করেছে সেগুলো থেকে তিনি অব্যাহত পাবেন কিনা সেই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের কাছে জানতে চেয়েছেন স্মিথ। এর আগে একটি আদালত বলেছিলেন, ট্রাম্প সব অপরাধ থেকে দায়মুক্তি পেতে পারেন না। কারণ তিনি অফিসের বাইরে যে কাজ করেছেন সেগুলো থেকে অব্যাহতি পাওয়ার সুযোগ নেই।