দুর্নীতির দায়ে বরখাস্ত ক্রোয়েশিয়ার অর্থমন্ত্রী

দুর্নীতির অভিযোগে দায়ে বরখাস্ত হলেন ক্রোয়েশিয়ার অর্থমন্ত্রী ও তার উপদেষ্টা। বার্তাসংস্থা আনাদুলুর এক প্রতিবেদনে বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) এ তথ্য জানানো হয়েছে। দুই মন্ত্রীর দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পরই তাদের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে ক্রোয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আন্দ্রেজ প্লেনকোভিচ মঙ্গলবার বলেন, তিনি অর্থ মন্ত্রী ডাভর ফিলিপোভিচ এবং তার উপদেষ্টা জুরিকা লোভরিনসেভিচকে বরখাস্ত করেছেন।

এর আগে ন্যাসিওনাল ম্যাগাজিন জানায়, রাজধানী জাগরেবের একটি টেলিভিশন স্টেশনের সাথে লোভরিনসেভিচের নিয়মবহির্ভূত চুক্তি রয়েছে। আর এরপরই অর্থমন্ত্রী ও তার উপদেষ্টাকে সরিয়ে দেওয়ার পদক্ষেপ নেন প্রধানমন্ত্রী।

অর্থমন্ত্রীর উপদেষ্টা স্থানীয় মরেয়া টিভি নেটওয়ার্ককে বিপুল সংখ্যক রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন প্রদানের প্রস্তাব জনসম্মুখে আসার পর অর্থমন্ত্রী ও তার উপদেষ্টার বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেয়া হলো। জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানটি বিজ্ঞাপনের জন্য যে ২ লাখ ইউরো পাবে তার অর্ধেকই ঘুষ হিসেবে দেয়ার চুক্তি হয়। স্থানীয় সংবাদপত্র ন্যাসিয়োনাল লভরিনেভি এবং মরেয়া টিভির সাংবাদিকের মধ্যে কথোপকথনের একটি অডিওতে এ তথ্য প্রকাশ পায়।

এক সংবাদ সম্মেলনে প্লেনকোভিচ বলেন, ‘আমরা মিডিয়াতে যে বর্ণনা দেখেছি, তার জেরেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সাবেক মন্ত্রীর উপদেষ্টা এবং একজন সাংবাদিকের মধ্যে চিঠি চালাচালির জেরে সরকারে মধ্যে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে'।

তিনি বলেন, তিনি ফিলিপোভিচের ওপর আস্থা হারিয়েছেন। প্লেনকোভিচের ভাষায়, ‘যে মন্ত্রী এই ধরনের ঘটনা ঘটতে দিয়েছেন তার ওপর আমার আর আস্থা নেই। আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব (অর্থমন্ত্রী পদে) নতুন কাউকে নিয়োগের জন্য আলোচনা শুরু করব।’

এদিকে, অভিযুক্ত অর্থমন্ত্রী ডাভর ফিলিপোভিচ তার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন।