ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

চীনের নির্দেশেই কি ভারতীয় সেনা প্রত্যাহার চায় মালদ্বীপ?


প্রকাশ: 13/12/2023


Thumbnail

ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে একটি ভূ-রাজনৈতিক হটস্পটে পরিণত হয়েছে মালদ্বীপ । ভারত ও চীনের জন্য দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে প্রভাব বিস্তারে মালদ্বীপের সাথে কৌশলগত সম্পর্ক স্থাপন গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে চীনের তুলনায় অনেকটা পিছিয়ে ভারত। সম্প্রতি মালদ্বীপ থেকে সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত ভারতকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে। ভারতের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশি রাষ্ট্রের প্রতি হঠাৎ এমন সিদ্ধান্তে প্রশ্ন উঠেছে আন্তর্জাতিক ভূ-রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলে। 

মালদ্বীপে ভারতের প্রভাব বৃদ্ধির বিষয়ে সবসময় সোচ্চার ছিল চীন। বিভিন্ন সময় মালদ্বীপকে ভারতের সেনা অবস্থান নিয়ে সতর্ক করেছে তারা। এছাড়া চীনের পক্ষ থেকে মালদ্বীপে সামরিক হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে ভারতকে হুশিয়ারি করা হয়েছে। বিষয়টি স্পষ্ট যে, ভারতীয় সেনাদের অবস্থানের কারণে চীন মালদ্বীপে তাদের বিনিয়োগের বেলায় সতর্কতা অবলম্বন করবে। এ বিষয়ে চীন মালদ্বীপকেও তাদের অবস্থান স্পষ্ট জানিয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের ধারণা, চীনের নির্দেশেই সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মালদ্বীপ। চীন দীর্ঘমেয়াদী ভূ-রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির অংশ হিসাবে মালদ্বীপের উন্নয়নে উদারভাবে বিনিয়োগ করছে। ভবিষ্যতেও তারা এ অঞ্চলে বিনিয়োগ বাড়াতে আগ্রহী। তবে, তাদের উদ্দেশ্য পূরণে এ বিনিয়োগ কোন কাজে আসবে না, যদি ভারতীয় সেনারা মালদ্বীপে অবস্থান করে। এ কারণে চীন এক ধরণের নিশ্চয়তা চায় মালদ্বীপের কাছে। 
চীন ইতোমধ্যেই বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তানসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর অবকাঠামো উন্নয়নে বিপুল বিনিয়োগ করেছে। মালদ্বীপও চায় না এই সুযোগ হাতছাড়া করতে। কিন্তু, ভারতের কারণে চীনের বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হতে পারে। চীন বিনিয়োগ বন্ধ করলে মুখ থুবড়ে পড়বে মালদ্বীপের উন্নয়ন।

মালদ্বীপে যে দলটি ক্ষমতায় এসেছে তারা চীনপন্থী হিসেবে পরিচিত। এক বছর আগে, এই দলের নেতা (বর্তমান রাষ্ট্রপতি) মুইজ্জু চীনা কমিউনিস্ট পার্টিকে বলেছিলেন যে, তার দল নির্বাচনে জিতলে তিনি বেইজিংয়ের সাথে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে চান।

বিশেষজ্ঞদের মতে, মুইজ্জুর মাধ্যমে চীন তাদের দাবিগুলো পূরণ করে নিতে পারবে সহজে। যার প্রথম পদক্ষেপ হচ্ছে মালদ্বীপ থেকে ভারতীয় সেনা অপসারণ। যদিও মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি জোর দিয়ে বলেছেন যে, তারা ভারত ও চীন উভয়ের সাথে একত্রে কাজ করতে চায়। তার মতে, দ্বীপরাষ্ট্রটি ভূ-রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জড়িয়ে পড়ার জন্য খুব ছোট। 

ভারতীয় সেনা অপসারণ মালদ্বীপের একান্ত সিদ্ধান্ত নয় তা মনে করার যথেষ্ট যুক্তি রয়েছে। মালদ্বীপে ভারতের মাত্র ৭০ জন সৈন্য রয়েছে। ভারতীয় সেনাবাহিনী মালদ্বীপের জন্য হুমকিস্বরূপ কোন কর্মকান্ড পরিচালনা করে না। অনেক ক্ষেত্রেই সেনারা মালদ্বীপ সরকারের জন্য সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি কার্যালয়ের এক বিবৃতি অনুসারে, রাষ্ট্রপতি ডা. মুইজ্জু অসংখ্য জরুরি চিকিৎসা সেবায় দুটি ভারতীয় হেলিকপ্টারের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা স্বীকার করেছেন। এছাড়াও জনকল্যাণ, মানবিক সহায়তা, দুর্যোগকালীন সময়ে ত্রাণ ও দ্বীপ দেশটিতে অবৈধ সামুদ্রিক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে ভারতীয় সেনারা।

এরকম একটি সমঝোতাপূর্ণ অবস্থানের মধ্যেও মালদ্বীপের এরকম সিদ্ধান্ত অন্য দেশের প্রভাবের বিষয়টি আরও স্পষ্ট করে। নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মুইজ্জু মালদ্বীপে ভারতের প্রভাব সীমিতকরণ নিশ্চিত করবে, চীনকে এমন একটি বার্তা দিতেই দ্রুত ভারতীয় সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিলো দেশটি।চীনের নির্দেশেই কি ভারতীয় সেনা প্রত্যাহার চায় মালদ্বীপ?
 
ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে একটি ভূ-রাজনৈতিক হটস্পটে পরিণত হয়েছে মালদ্বীপ । ভারত ও চীনের জন্য দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে প্রভাব বিস্তারে মালদ্বীপের সাথে কৌশলগত সম্পর্ক স্থাপন গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে চীনের তুলনায় অনেকটা পিছিয়ে ভারত। সম্প্রতি মালদ্বীপ থেকে সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত ভারতকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে। ভারতের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশি রাষ্ট্রের প্রতি হঠাৎ এমন সিদ্ধান্তে প্রশ্ন উঠেছে আন্তর্জাতিক ভূ-রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলে। 

মালদ্বীপে ভারতের প্রভাব বৃদ্ধির বিষয়ে সবসময় সোচ্চার ছিল চীন। বিভিন্ন সময় মালদ্বীপকে ভারতের সেনা অবস্থান নিয়ে সতর্ক করেছে তারা। এছাড়া চীনের পক্ষ থেকে মালদ্বীপে সামরিক হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে ভারতকে হুশিয়ারি করা হয়েছে। বিষয়টি স্পষ্ট যে, ভারতীয় সেনাদের অবস্থানের কারণে চীন মালদ্বীপে তাদের বিনিয়োগের বেলায় সতর্কতা অবলম্বন করবে। এ বিষয়ে চীন মালদ্বীপকেও তাদের অবস্থান স্পষ্ট জানিয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের ধারণা, চীনের নির্দেশেই সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মালদ্বীপ। চীন দীর্ঘমেয়াদী ভূ-রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির অংশ হিসাবে মালদ্বীপের উন্নয়নে উদারভাবে বিনিয়োগ করছে। ভবিষ্যতেও তারা এ অঞ্চলে বিনিয়োগ বাড়াতে আগ্রহী। তবে, তাদের উদ্দেশ্য পূরণে এ বিনিয়োগ কোন কাজে আসবে না, যদি ভারতীয় সেনারা মালদ্বীপে অবস্থান করে। এ কারণে চীন এক ধরণের নিশ্চয়তা চায় মালদ্বীপের কাছে। 

চীন ইতোমধ্যেই বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তানসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর অবকাঠামো উন্নয়নে বিপুল বিনিয়োগ করেছে। মালদ্বীপও চায় না এই সুযোগ হাতছাড়া করতে। কিন্তু, ভারতের কারণে চীনের বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হতে পারে। চীন বিনিয়োগ বন্ধ করলে মুখ থুবড়ে পড়বে মালদ্বীপের উন্নয়ন।

মালদ্বীপে যে দলটি ক্ষমতায় এসেছে তারা চীনপন্থী হিসেবে পরিচিত। এক বছর আগে, এই দলের নেতা (বর্তমান রাষ্ট্রপতি) মুইজ্জু চীনা কমিউনিস্ট পার্টিকে বলেছিলেন যে, তার দল নির্বাচনে জিতলে তিনি বেইজিংয়ের সাথে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে চান।

বিশেষজ্ঞদের মতে, মুইজ্জুর মাধ্যমে চীন তাদের দাবিগুলো পূরণ করে নিতে পারবে সহজে। যার প্রথম পদক্ষেপ হচ্ছে মালদ্বীপ থেকে ভারতীয় সেনা অপসারণ। যদিও মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি জোর দিয়ে বলেছেন যে, তারা ভারত ও চীন উভয়ের সাথে একত্রে কাজ করতে চায়। তার মতে, দ্বীপরাষ্ট্রটি ভূ-রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জড়িয়ে পড়ার জন্য খুব ছোট। 

ভারতীয় সেনা অপসারণ মালদ্বীপের একান্ত সিদ্ধান্ত নয় তা মনে করার যথেষ্ট যুক্তি রয়েছে। মালদ্বীপে ভারতের মাত্র ৭০ জন সৈন্য রয়েছে। ভারতীয় সেনাবাহিনী মালদ্বীপের জন্য হুমকিস্বরূপ কোন কর্মকান্ড পরিচালনা করে না। অনেক ক্ষেত্রেই সেনারা মালদ্বীপ সরকারের জন্য সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি কার্যালয়ের এক বিবৃতি অনুসারে, রাষ্ট্রপতি ডা. মুইজ্জু অসংখ্য জরুরি চিকিৎসা সেবায় দুটি ভারতীয় হেলিকপ্টারের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা স্বীকার করেছেন। এছাড়াও জনকল্যাণ, মানবিক সহায়তা, দুর্যোগকালীন সময়ে ত্রাণ ও দ্বীপ দেশটিতে অবৈধ সামুদ্রিক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে ভারতীয় সেনারা।

এরকম একটি সমঝোতাপূর্ণ অবস্থানের মধ্যেও মালদ্বীপের এরকম সিদ্ধান্ত অন্য দেশের প্রভাবের বিষয়টি আরও স্পষ্ট করে। নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মুইজ্জু মালদ্বীপে ভারতের প্রভাব সীমিতকরণ নিশ্চিত করবে, চীনকে এমন একটি বার্তা দিতেই দ্রুত ভারতীয় সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিলো দেশটি।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭