ইনসাইড গ্রাউন্ড

ফুটবলে বাড়ুক দর্শক, ফিরে আসুক ঐতিহ্য


প্রকাশ: 15/12/2023


Thumbnail

বিশ্বব্যাপী কত বড় বড় লিগ হয়। ইউরোপীয় লিগ, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, লা লিগা, হাজার হাজার কোটি টাকার খেলা। হাজার হাজার কোটি ডলারের এই ফুটবল বাণিজ্যে দর্শকও যে পৃথিবীর যেকোনও খেলার চেয়ে ঢেড় বেশি। বাংলার জনতা কিন্তু ফুটবল প্রিয়ই ছিল। এখনও নেই তা বলা যাবে না। বরং, বাংলাদেশ ফুটবল দলের যেকোনও সাফল্যে তারা যেন সব খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসে।

ফুটবল মাঠে লাল-সবুজের একচিলতে সাফল্যে সে কি তাদের উচ্ছাস! এদেশে ফুটবলের বাজার আছে, দরকার শুধু ধারাবাহিক সাফল্যের বিস্ফোরণ। হাজার মাইল দূরের ব্রাজিল-আর্জেন্টিনাকে নিয়ে যে মাতামাতি হয় এখানে, সেখানে নিজের দেশের ফুটবলের সাফল্যে দলে দলে মানুষ উন্মাদনা দেখাবে না! সে তো জামাল-মুরসালিনরা ভালো খেললেই চোখে পড়ে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে শুরু করে প্রকাশ্যে রব ওঠে বাংলাদেশ বাংলাদেশ বলে।

 

২১ নভেম্বর বিশ্বকাপ বাছাইয়ে বাংলাদেশ ও লেবাননের মধ্যকার ম্যাচে কিন্তু দর্শক সিট না পেয়ে দাঁড়িয়েই খেলা দেখেছেন। গ্যালারি উপচে পড়ায় নিরাপত্তাকর্মীরা সব ফটক বন্ধও করে দিয়েছিলেন। এমন দৃশ্য একটা সময় নিয়মিত ছিল। কিন্তু, এখন তা হয় কালে-ভদ্রে। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ৭ গোলে হেরে আসার ঠিক পরের ম্যাচেই দর্শকদের এমন ভালোবাসা পেয়েছেন জামালরা। অথচ, কয়েক বছর আগেও বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের আশপাশে মাইকিং করেও মাঠে দর্শক টানা যায়নি। হয়তো সুদিন ফিরতে শুরু করেছে বলেই দর্শকদের ভেতরকার ফুটবল প্রেম জোয়ারের মতো প্রকাশিত হচ্ছে।

 

গত কয়েক বছর ধরেই বাংলাদেশের ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ফুটবলে দর্শকের চাহিদা বেড়েছে। কিংস অ্যারেনায় বাংলাদেশ কিংবা বসুন্ধরা কিংসের ম্যাচ মানেই টইটম্বুর গ্যালারি। ম্যাচ নিয়ে দর্শকদের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও আগ্রহের শেষ নেই। তবে সবাইতো মাঠে আসতে পারেন না। মাঠের চেয়ে বেশি দর্শক টিভির পর্দায় ও ইউটিউবে খেলা দেখে তাদের প্রতিক্রিয়ায় ভরিয়ে দেয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম।  

দেশের একমাত্র খেলাধুলাবিষয়ক চ্যানেল টি-স্পোর্টসের তথ্য মতে ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২-২৩ সালে এসে চ্যানেলটির দেশের ফুটবলের দর্শক চাহিদা বেড়েছে ৫৬.৩৩ শতাংশ। দুই বছর আগে ঘরোয়া ফুটবলের কোনো একটি ম্যাচ ৫০ হাজার মানুষ দেখলেও এখন দেখে প্রায় দেড় লাখের মতো দর্শক। কয়েক বছর আগে বাংলাদেশের ম্যাচের হাইলাইটস গড়ে ১০ লাখ মানুষ দেখলেও এখন সেটি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ লাখেরও বেশি।  

গত জুনে সাফে মালদ্বীপ ও ভুটানের বিপক্ষে ম্যাচও ইউটিউবে প্রায় ২০ লাখের মতো মানুষ দেখেছে। অথচ, ২০২১ সালের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে বাংলাদেশ ও ওমানের ম্যাচটি দেখেছিল চার লাখ ২৩ হাজার মানুষ।

তবে করতে হবে ভালো পারফর্মেন্স। তাহলে ফুটবল প্রিয় জাতি মুখ ফিরিয়ে নেবে না। খেলার প্রাণ দর্শকরাই। বিশেষ করে ফুটবলে দর্শকদের জুড়ি নেই। দর্শকদের চিৎকার যেন খেলোয়াড়দের আরও বেশি উজ্জীবিত করে খেলার মাঠে। এভাবেই ফুটবল ফিরে আসুক এদেশে।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭