ইনসাইড পলিটিক্স

এবার ইনু-মেননকে জেতানোর দায়িত্ব নিবে আওয়ামী লীগ? (ভিডিও)


প্রকাশ: 18/12/2023


Thumbnail

১৪ দলের শরিকদেরকে আওয়ামী লীগ ৭টি আসন ছেড়ে দিয়েছে। কিন্তু এই ৭টি আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা রয়েছেন। রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনুর মতো ১৪ দলের শরিক নেতাদের বিরুদ্ধে জনগণের একটি নেতিবাচক মনোভাব আছে। তাছাড়া এই সমস্ত শরিক দলগুলোর সংগঠন বলতে কিছু নেই। তাদের হলফনামায় যে সম্পদের স্ফীতি ঘটেছে তা বিস্ময়কর। সব কিছু মিলিয়ে জনগণ তাদেরকে জনপ্রতিনিধি হিসেবে কতটুকু দেখতে চায় তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। আর এই প্রশ্নের মধ্যে ঐক্যের স্বার্থে আওয়ামী লীগ হাসানুল হক ইনু, রাশেদ খান মেননদের জন্য ৭টি আসন ছেড়ে দিয়েছেন। কিন্তু এবারের নির্বাচন ২০১৪’র মতো বিনা ভোটের  নির্বাচন নয় বা ২০১৮’র মতো নির্বাচন নয়। এবার নির্বাচনে রাশেদ খান মেনন বা হাসানুল হক ইনুকে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে। আর এই সবগুলো আসনেই আওয়ামী লীগের কেউ না কেউ বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে বা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছে। 

মেনন, ইনুরা চেয়েছিলেন বিজয়ের গ্যারান্টি। তারা যে সমস্ত আসনে জয়ী হবেন সে সমস্ত আসনে যেন কোন স্বতন্ত্র প্রার্থী না থাকে, সে আবদার তারা করেছিলেন। শুধু স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বসিয়ে দেওয়ার আবদার নয়, তাদের কথাবার্তার আকার ইঙ্গিত এমন ছিল যে, পারলে তাদেরকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত করে দেওয়া হোক। জাতীয় নেতা বলে কথা। তাদের প্রতি যেন এক মহান দায়িত্ব রয়েছে আওয়ামী লীগের। আওয়ামী লীগ অবশ্য তাদেরকে শুধু নৌকা প্রতীকই দিয়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বসিয়েও দেয়নি বা বিনা ভোটে তারা যেন নির্বাচিত হয়, তার গ্যারান্টিও দেননি। এই নিয়ে বেজায় নাখোশ হয়েছেন রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনুরা। তারা ২০টি আসনে জয়ের গ্যারান্টি চেয়েছিল। সেটি আওয়ামী লীগ দিতে পারেনি। এজন্য আওয়ামী লীগ কতটা দুঃখিত তা অবশ্য জানা যায়নি।

তবে এই নির্বাচন যদি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয় এবং জনগণের ভোটে অংশগ্রহণ যদি নিশ্চিত হয় তাহলে নির্ঘাত ইনু, মেনন এবং অন্যদের ভরাডুবি ঘটতে পারে ৷ উপনির্বাচনগুলোতে দেখা গেছে, জাসদের প্রার্থী কিংবা ওয়ার্কার্স প্রার্থীদের বিজয়ী করতে ন্যক্কারজনক ভোট কারচুপি এবং জালিয়াতির করতে হয়েছে। এর ফলে নির্বাচন সম্পর্কে মানুষের ধারণাই নেতিবাচক তৈরি হয়েছে। 

প্রশ্ন উঠেছে যে, আওয়ামী লীগ এ ধরনের জোটকে টিকিয়ে রাখার জন্য এই সমস্ত জনবিচ্ছিন্ন নেতাদের ভার কত দিন বহন করবে? এখন যদি এই ঐক্য টিকিয়ে রাখতে হয় আওয়ামী লীগকে এই সমস্ত জোটের প্রার্থীদেরকে জিতিয়ে আনতে হবে। কিন্তু সাধারণ ভোট হলে বা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে তাদের জন্য জিতে আসা কতটা সহজ হবে সে প্রশ্ন রয়েই গেছে। এখন প্রশ্ন হল, আওয়ামী লীগ কি সেই ঝুঁকি নেবে? ইনু-মেননকে জয়ী করার জন্য আওয়ামী লীগ কি নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে? 

এবারের নির্বাচনে এই সমস্ত আসনগুলো দিকে সকলের দৃষ্টি থাকবে ৷ বিশেষ করে এই সমস্ত আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরকে কতটুকু সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয় বা নির্বাচন কতটুকু অবাধ, সুষ্ঠু হয় সে বিষয়টি জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে একটি বড় ইস্যু হিসেবে বিবেচিত হবে। আর এরকম বাস্তবতায় শেষ পর্যন্ত কি ইনু-মেননকে জেতানোর ঝুঁকি নেবে আওয়ামী লীগ? এটাই এখন বড় প্রশ্ন।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭