প্রকাশ: 20/12/2023
গত বছরের ১৮ ডিসেম্বরে মেসির নেতৃত্বে আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জয় করেছিল।
কাতার বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে সৌদি আরবের সঙ্গে হেরে বাকি প্রত্যেকটি ম্যাচ
জিতে কাতার বিশ্বকাপ নিজেদের করে নেয় আলবিসেলেস্তরা। মেসিসহ পুরো টিমই ছিল দূর্দান্ত।
৩৬ বছর পর বিশ্বকাপ জয়ের খরা কাটিয়ে সেই বিশ্বকাপ জয়ীরা এখন কে কোন দলে খেলছেন?
এমি মার্টিনেজ (অ্যাস্টন
ভিলা):
কাতার বিশ্বকাপ জয়ে মেসির পর সবচেয়ে বেশি অবদান হয়তো এমি মার্টিনেজেরই।
ফাইনালের অন্তিম মুহূর্তে কোলো মুয়ানির শটটি ঠেকিয়ে দিতে না পারলে হয়তো বিশ্বকাপ ছাড়াই
ক্যারিয়ার শেষ করতে হতো মেসিকে। বিশ্বকাপের আগে প্রিমিয়ার লিগের দল অ্যাস্টন ভিলায়
যোগ দেন এমি। ক্লাবের এক নম্বর গোলরক্ষক এখন তিনি। দারুণ পারফর্ম করে প্রিমিয়ার লিগের
সেরা গোলরক্ষকদের একজন হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন মার্টিনেজ।
ফ্রাঙ্কো আরমানি
(রিভারপ্লেট):
৩৭ বছর বয়সী আরমানি রিভারপ্লেটের একাদশের নিয়মিত গোলরক্ষক হিসেবেই খেলছেন।
সবশেষ মৌসুমে তার দলই আর্জেন্টাইন লিগের শিরোপা জিতেছে।
জেরোনিমো রুল্লি
(আয়াক্স):
চলতি বছর জানুয়ারিতে ভিয়ারিয়াল থেকে ডাচ লিগের দল আয়াক্সে যোগ দেন। তবে
এই মুহূর্তে একাদশে নিয়মিত নন এই ৩১ বছর বয়সী।
ক্রিস্টিয়ান রোমেরো (টটেনহ্যাম):
আর্জেন্টিনা দলের মতো ক্লাব টটেনহ্যামেও সেন্টারব্যাক হিসেবে খেলেন রোমেরো।
প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবটির ডিফেন্সের নেতা এই আর্জেন্টাইনই। চলতি মৌসুমেও দারুণ ফর্মে
আছেন রোমেরো। লিগে ১৪ ম্যাচ খেলে ৩টি গোলও করেছেন ২৫ বছর বয়সী তারকা।
মার্কাস আকুনা (সেভিয়া):
লা লিগার ক্লাব সেভিয়ার হয়ে গত মৌসুমটা দারুণ কাটিয়েছিলেন আকুনা। জিতেছিলেন
ইউরোপা লিগের শিরোপাও। সব মিলিয়ে ৩টি গোল ও ৪টি অ্যাসিস্ট করেছিলেন এই লেফট-ব্যাক।
তবে চলতি মৌসুমটা তার দলের খুব একটা ভালো কাটছে না। ১৬ পয়েন্ট নিয়ে লিগে অবনমন অঞ্চলের
ঠিক ওপরে অবস্থান করছে সেভিয়া। আকুনাও পারছেন না গত বছরের পারফরম্যান্স অনুদিত করতে।
হুয়ান ফয়থ (ভিয়ারিয়াল):
২৫ বছর বয়সী ফয়থ ২০২১ সাল থেকে ভিয়ারিয়ালের হয়ে খেলছেন। দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ
সদস্য এই রাইটব্যাক।
লিসান্দ্রো মার্টিনেজ (ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড):
'দ্য বুচার' নামে পরিচিত মার্টিনেজ বিশ্বকাপের আগেই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে
যোগ দেন। গত মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে ৩৮ ম্যাচের মধ্যে ২৭ ম্যাচেই মাঠে ছিলেন মার্টিনেজ।
ডিফেন্ডার হিসেবে উচ্চতা তুলনামূলক কম হলেও বল পায়ে দারুণ তিনি। চলতি মৌসুমে অবশ্য
রেড ডেভিলদের একাদশে কিছুটা কম সুযোগ পাচ্ছেন তিনি। এর পেছনে কোচ টেন হ্যাগের কৌশল
অনেকটা দায়ী।
নিকলাস ট্যাগলিয়াফিকো
(লিও):
লিগ ওয়ানের লিওতে খেলা ট্যাগলিয়াফিকো আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ স্কোয়াডের গুরুত্বপূর্ণ
সদস্য ছিলেন। ৩১ বছর বয়সী আর্জেন্টাইন তারকা এই মৌসুমেও ক্লাবের একাদশে নিয়মিত হলেও
তার দলের পারফরম্যান্স হতাশাজনক। লিগে ১৬ ম্যাচে মাত্র ৩টিতে জয় পেয়ে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে
অবনমন এড়াতে লড়ছে লিও।
নিকলাস ওতামেন্ডি
(বেনফিকা):
৩৫ বছর বয়সী ওতামেন্ডি আর্জেন্টিনা দলের রক্ষণভাগের স্তম্ভ হিসেবে আছেন
এক যুগের বেশি সময়। কাতার বিশ্বকাপে দারুণ পারফর্ম করা এই সেন্টারব্যাক পর্তুগিজ লিগের
দল বেনফিকার হয়ে এখনও নিয়মিত মাঠে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন।
নাহুয়েল মলিনা (অ্যাতলেটিকো
মাদ্রিদ):
লা লিগার দল অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদের হয়ে মাঠ মাতাচ্ছেন মলিনা। নিজেকে এরই
মধ্যে সময়ের অন্যতম সেরায় পরিণত করেছেন। রক্ষণের পাশাপাশি গোল করার দিকেও ভালো নজর
তার। চলতি মৌসুমেও লিগে ১৩ ম্যাচ খেলে ২ গোল করেছেন। গত মৌসুমেও ৩৩ ম্যাচে ৪ গোল করেছিলেন
২৫ বছর বয়সী মলিনা।
গঞ্জালো মন্তিয়েল
(নোটিংহ্যাম ফরেস্ট/সেভিয়া):
কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালে টাইব্রেকারে তার নেয়া শেষ শটেই ফ্রান্সকে হারিয়ে
বিশ্বকাপ জয় নিশ্চিত হয়েছিল আর্জেন্টিনার। জাতীয় দলের সতীর্থ আকুনার মতো তিনিও লা লিগার
দল সেভিয়ার হয়ে গত মৌসুমে ইউরোপা লিগ জিতেছেন। তবে চলতি মৌসুমে ধারে খেলছেন প্রিমিয়ার
লিগের দল নোটিংহ্যাম ফরেস্টের হয়ে।
জার্মান পেজ্জালা (রিয়াল বেতিস): ৩২ বছর বয়সী পেজ্জালা লা লিগার ক্লাব রিয়াল
বেতিসের একাদশের নিয়মিত সদস্য।
অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া
(বেনফিকা):
কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালে ফ্রান্সকে নাচিয়ে ছেড়েছেন ডি মারিয়া। গোলও করেছিলেন।
আর্জেন্টিনার ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই উইঙ্গার য়্যুভেন্তাস ছেড়ে ফিরে গেছেন ইউরোপে
তার প্রথম ক্লাব বেনফিকায়। চলতি মৌসুমে ক্লাবের হয়ে ২০ ম্যাচে ৮ গোল ও ৩ অ্যাসিস্ট
করেছেন তিনি।
লিয়ান্দ্রো পারেদেস:
চলতি বছর গ্রীষ্মে পিএসজি ছেড়ে সিরি আ'র ক্লাব রোমায় নাম লিখিয়েছেন পারেদেস।
তার আগে অবশ্য য়্যুভেন্তাসে এক মৌসুম ধারে খেলেছেন তিনি। রোমার একাদশে নিয়মিত মুখ পারেদেস।
চলতি মৌসুমে লিগে ১৫ ম্যাচে ৩ অ্যাসিস্ট করেছেন এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার।
রদ্রিগো ডি পল (অ্যাতলেটিকো
মাদ্রিদ):
অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের স্কোয়াডের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ডি পল। আর্জেন্টিনার
বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম নেপথ্য সৈনিক লা লিগার জায়ান্টদের হয়ে চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত
সব মিলিয়ে ১৭ ম্যাচ খেলে ২ গোলে সহায়তা করেছেন।
অ্যালেক্সিস ম্যাক
অ্যালিস্টার (লিভারপুল):
ক্লাব ব্রাইটনের হয়ে আগেই নজর কেড়েছিলেন ম্যাক অ্যালিস্টার। বিশ্বকাপে দারুণ
পারফরম্যান্স দেখে লিভারপুল তাকে এই গ্রীষ্মে দলে ভেড়ায়। নতুন ক্লাবে এসে দ্রুতই নতুন
ভূমিকায় মানিয়ে নিয়েছেন ম্যাক অ্যালিস্টার। আগের চেয়ে গোল করার সুযোগ কমে গেলেও লিভারপুল
কোচ ক্লপের কৌশলে তার ভূমিকা অনেক বেশি বেড়েছে। চলতি মৌসুমে ইনজুরিতে পড়ার আগে মাত্র
এক ম্যাচে তাকে মাঠে নামাননি ক্লপ। ২৪ বছর বয়সী ম্যাক অ্যালিস্টার চলতি মৌসুমে ক্লাবের
হয়ে ১৮ ম্যাচে ১ গোল ও ২ অ্যাসিস্ট করেছেন।
এনজো ফার্নান্দেজ
(চেলসি):
কাতার বিশ্বকাপের সেরা উদীয়মান খেলোয়াড় এনজো ফার্নান্দেজ বিশ্বকাপের পর
দলবদলের ব্রিটিশ রেকর্ড গড়ে চেলসিতে যোগ দেন। লিগে তার দল চেলসি ভুগলেও এনজোর পারফরম্যান্স
বরাবরই ভালো। চলতি মৌসুমেও ক্লাবের অন্যতম সেরা পারফরমার এই মিডফিল্ডার। এ মৌসুমে এখন
পর্যন্ত ১৯ ম্যাচ খেলে ৩ গোল ও ১ অ্যাসিস্ট করেছেন ২২ বছর বয়সী এনজো।
এজেকুয়েল প্যালাসিওস
(বেয়ার লেভারকুসেন):
২৫ বছর বয়সী প্যালাসিওস চলতি মৌসুমে বুন্দেসলিগার অন্যতম সেরা পারফরমার।
সবশেষ ম্যাচে গতকাল আইনট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্টকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে তার দল। দারুণ পারফরম্যান্সে
এদিন ম্যাচসেরাও হয়েছেন প্যালাসিওস। ১৫ ম্যাচ শেষে এখনও অপরাজিত লেভারকুসেন বুন্দেসলিগার
শীর্ষে আছে। এ মৌসুমে ২০ ম্যাচে ৪ গোল ও ২ অ্যাসিস্ট করেছেন প্যালাসিওস।
গুইদো রদ্রিগেজ
(রিয়াল বেতিস):
লা লিগার দল রিয়াল বেতিসের একাদশের নিয়মিত খেলোয়াড় গুইদো। চলতি মৌসুমে ১৯
ম্যাচে ১টি করে গোল ও অ্যাসিস্ট করেছেন এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার।
লিওনেল মেসি (ইন্টার
মায়ামি):
আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক লিওনেল মেসি। বিশ্বকাপে ৭ গোল ও ৩ অ্যাসিস্ট
করেন আর্জেন্টিনার অধিনায়ক। ফাইনালেও করেন জোড়া গোল। বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড় হয়ে পিএসজিতে
ফেরেন তিনি। তবে ক্লাবটি এই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নকে বরণ করে নেয়নি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে
বাদ পড়ার পর ক্লাবটির সমর্থকরা মেসিকে দুয়ো দেয়। তবে ফরাসি চ্যাম্পিয়নদের সঙ্গে আর
নতুন চুক্তি করেননি মেসি। চলতি বছর জুনে চুক্তির মেয়াদ ফুরালে ফ্রি ট্রান্সফারে ইন্টার
মায়ামিতে যোগ দেন তিনি।
এমএলএসের ক্লাবটির হয়ে মেসি ১৪ ম্যচে ১১ গোল ও ৫ অ্যাসিস্ট করেছেন। বয়স
৩৬ হয়ে গেলেও দারুণ ফর্মে আছেন মেসি। জিতেছেন ক্যারিয়ারের অষ্টম ব্যালন ডি'অর। সম্প্রতি
পেয়েছেন ফিফার দ্য বেস্টের মনোনয়নও।
লাউতারো মার্টিনেজ
(ইন্টার মিলান):
আর্জেন্টিনার এই ফরোয়ার্ড ইন্টার মিলানের অধিনায়ক। গত মৌসুমে বিশ্বকাপ জয়ের
পর ইন্টার মিলানকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালেও তুলেছিলেন তিনি। তবে সেখানে ম্যানচেস্টার
সিটির কাছে হেরে যান।
এই মৌসুমেও দারুণ ফর্মে লাউতারো। সিরি আ'য় ১৬ ম্যাচে ১৫ গোল ও ২ অ্যাসিস্ট
করেছেন তিনি। আর সব মিলিয়ে এই মৌসুমে ইন্টারের হয়ে ২২ ম্যাচে ১৭ গোল ও ৪ অ্যাসিস্ট
করেছেন তিনি।
পাওলো দিবালা (রোমা):
বিশ্বকাপের আগেই য়্যুভেন্তাস ছেড়ে সিরি আ'র আরেক ক্লাব রোমায় যোগ দেন দিবালা।
নতুন ক্লাবটির প্রধান খেলোয়াড় তিনিই। গত মৌসুমে ক্লাবটির হয়ে ৩৮ ম্যাচে ১৮ গোল ও ৮
অ্যাসিস্ট করেছিলেন ৩০ বছর বয়সী দিবালা। চলতি মৌসুমে কিছুটা ফর্ম হারিয়েছেন তিনি। তারপরও
১৪ ম্যাচে নামের পাশে লিখেছেন ৪ গোল ও ৬ অ্যাসিস্ট।
অ্যাঞ্জেল কোরেয়া (অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ): অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদের আক্রমণভাগের
অন্যতম ভরসা কোরেয়া। চলতি মৌসুমে অবশ্য নিয়মিত প্রথম একাদশে সুযোগ পাচ্ছেন না ২৮ বছর
বয়সী এই উইঙ্গার। মাত্র ১৯ শতাংশ ম্যাচে স্টার্টার হিসেবে খেলার সুযোগ পেয়েছেন। তাতে
১৯ ম্যাচে ৪ গোল ও ১ অ্যাসিস্ট করেছেন তিনি।
হুলিয়ান আলভারেজ
(ম্যানচেস্টার সিটি):
বিশ্বকাপের পরের সময়টা স্বপ্নের মতো কাটাচ্ছেন আলভারেজ। গত মৌসুমে দেশের
হয়ে বিশ্বকাপ জেতার পর ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটির হয়েও জিতেছেন ট্রেবল। প্রিমিয়ার লিগ
ও এফএ কাপের সঙ্গে প্রথমবারের মতো সিটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগও জিতেছে। আর এই তিন শিরোপা
জেতাতেই ভালো অবদান রেখেছেন আলভারেজ। যে কারণে ব্যালন ডি'অরের তালিকায়ও সেরা ১০-এ জায়গা
পেয়েছেন।
গত মৌসুমে ৪৯ ম্যাচে ১৭ গোল ও ৫ অ্যাসিস্ট করা আলভারেজ এই মৌসুমে ২৪ ম্যাচে
৮টি করে গোল ও অ্যাসিস্ট করেছেন।
থিয়াগো আলমাদা (আটলান্টা
ইউনাইটেড):
মেজর লিগ সকারের অন্যতম সেরা পারফরমার থিয়াগো আলমাদা। ২০২৩ সালে ৩৩ ম্যাচে
১২ গোল ও ১৬ অ্যাসিস্ট করেছেন এই ২২ বছর বয়সী তরুণ।
আলেহান্দ্রো গোমেজ
(মোনজা/ নিষিদ্ধ):
গত মৌসুমে সেভিয়ার হয়ে ইউরোপা লিগ জেতার পর চলতি মৌসুমে সিরি আ'র ক্লাব
মোনজায় যোগ দিয়েছিলেন আলেহান্দ্রো 'পাপু' গোমেজ। কিন্তু মাত্র ২টি ম্যাচেই খেলার সুযোগ
পেয়েছেন তিনি। এরপর ডোপ টেস্টে পাশ করতে ব্যর্থ হওয়ায় ২০২৫ সাল পর্যন্ত নিষিদ্ধ হয়েছেন
তিনি।
প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান
বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭