ইনসাইড পলিটিক্স

নির্বাচনের আগে বড় নাশকতার নীল নকশা (ভিডিও)


প্রকাশ: 22/12/2023


Thumbnail

আগামী ৭ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের জন্য নাশকতার পথ বেছে নিয়েছে বিএনপি-জামায়াত। গত ১৫ ডিসেম্বর উত্তর এক্সপ্রেসে নাশকতার ঘটনা ঘটে। মধ্যযুগীয় কায়দায় ট্রেনের একটি বগিতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। এখানে প্রাণ হারান কয়েকজন নিরীহ মানুষ। একই কায়দায় আরও কয়েকটি ট্রেনে নাশকতার পরিকল্পনার কথা জানতে পেরেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আর এই তথ্য রেলওয়ে বিভাগকে জানানোর পর আজ ছয়টি ট্রেনের যাত্রা স্থগিত করা হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে যে, নির্বাচনের আগে জনগণের মধ্যে ভীতি সঞ্চার করতে বড় ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আর এই নাশকতার মূল টার্গেট নির্ধারণ করা হয়েছে জনগণকে। নিরীহ মানুষকে ভয় ভীতি দেখিয়ে এমন একটি পরিস্থিতি তৈরি করতে চাচ্ছে বিএনপি-জামায়াত যেন জনগণ ভোট কেন্দ্রে না যায়, ভয়ে ঘরে থাকে। এটি বিএনপির লক্ষ্য এবং এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে রেলপথে নাশকতার ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে। 

সম্প্রতি উত্তর এক্সপ্রেসে নাশকতার ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা তাদের প্রাথমিক স্বীকারোক্তিতে স্বীকার করেছে যে, বিএনপির উর্ধ্বতন নেতাদের নির্দেশে তারা এই নাশকতার ঘটনা ঘটিয়েছে। আর এই ঘটনা ঘটানোর প্রধান কারণ হলো দেশে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করা। শুধু যে রেলওয়ে নাশকতার ঘটনা ঘটানো হবে এমনটি নয়, রেলের বাইরেও বিভিন্ন স্থানে নাশকতার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে বলে একাধিক গোয়েন্দা সূত্র তথ্য পেয়েছে। বিশেষ করে নির্বাচনের সময় যত ঘনিয়ে আসবে ততই টার্গেট কিলিং, বিভিন্ন প্রার্থীদের টার্গেট করে তাদের প্রাণহানির চেষ্টা করা, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলা করা, বিভিন্ন জেলা, উপজেলা এবং নির্বাচনী কেন্দ্রে ঝটিকা আক্রমণ করে অন্যরকম একটি পরিস্থিতি সৃষ্টি করাই বিএনপি-জামায়াতের লক্ষ্য। 

বিএনপি-জামায়াত মনে করছে যে জনগণকে সম্পৃক্ত করে আন্দোলনের গতি বাড়ানো সম্ভব নয়। সেই সাংগঠনিক সক্ষমতা বিএনপির নেই। আর এই কারণেই তারা এখন কোন একটা নাশকতা করে জনগণের মধ্যে ভীতির সঞ্চার করতে চাইছে। জনগণ যেন ভয় পেয়ে নির্বাচনে না যায় বা বড় ধরনের ঘটনা দেশে যেন অন্য কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি করে এরকম একটি চিন্তাভাবনা থেকেই পরিকল্পিতভাবে এই নাশকতা গুলো ঘটানো হচ্ছে বলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মনে করে। এবং সেই নাশকতার সমস্ত নির্দেশনাগুলো আসছে লন্ডন থেকে। লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া সরাসরি ভাবে এই ঘটনাগুলোর মনিটরিং করছেন বলেও একাধিক গোয়েন্দা সূত্র তথ্য পেয়েছে।

উল্লেখ্য যে, বিএনপি নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন করছে। কিন্তু এই দাবিতে আন্দোলন করতে গিয়ে বিএনপির ভুল সিদ্ধান্ত পুরো আন্দোলনকে লেজেগোবরে করে ফেলে। আন্দোলন এখন গতিহীন এবং দিকহারা হয়ে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে কোন কিছু না বুঝেই, বাস্তবতা উপলব্ধি না করেই বিএনপির পক্ষ থেকে সারাদেশে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই অসহযোগ আন্দোলন সফল হবে না। এটা বিএনপির নেতারাই ভাল জানেন। আর এ কারণে তাদের এখন একমাত্র ভরসা অগ্নিসংযোগ, গুপ্ত হামলা, সন্ত্রাস এবং বড় ধরনের নাশকতার মাধ্যমে নির্বাচনকে বানচাল করা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে অবশ্য বলা হচ্ছে যে তারা বিএনপির এ ধরনের ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সম্পূর্ণ ওয়াকিবহাল। অতীতেও তারা এ ধরনের ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করেছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের ষড়যন্ত্র অঙ্কুরেই বিনষ্ট করার সক্ষমতা দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আছে।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭