ইনসাইড পলিটিক্স

বর্ষীয়ান জননেতা আব্দুর রাজ্জাকের মৃত্যুবার্ষিকী আজ


প্রকাশ: 23/12/2023


Thumbnail

বাংলাদেশ পূর্ববর্তী এবং পরবর্তী রাজনীতির অঙ্গনের কীর্তিমান পুরুষ, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, বঙ্গবন্ধুর স্নেহধন্য,  সংগ্রামী জননেতা আব্দুর রাজ্জাকের মৃত্যুবার্ষিকী আজ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে তৈরি আদর্শের রাজনীতিক আব্দুর রাজ্জাক ২০১১ সালের ২৩ ডিসেম্বর চিকিৎসাধীন অবস্থায় লন্ডনের কিংস কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। যে কয়জন কীর্তিমান পুরুষ স্বাধিকার, স্বাধীনতা আর সুমহান মুক্তিযুদ্ধে অনন্য সাধারণ ভূমিকা রেখেছেন, গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সামনের কাতারে থেকে আমৃত্যু নেতৃত্ব দিয়েছেন আব্দুর রাজ্জাক ছিলেন তাদের অন্যতম। আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান রাজনীতিক নেতা আব্দুর রাজ্জাক ৭০ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে যান।

পাকিস্তান আমলে ঐতিহাসিক ছয় দফা আন্দোলনে আব্দুর রাজ্জাক অসামান্য ভূমিকা পালন করেন। এসময় দীর্ঘদিন তাকে কারারুদ্ধ করে রাখা হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে যে ক'জন যুবনেতা ‘চার খলিফা’ নামে সুপরিচিত ছিলেন, মি. রাজ্জাক ছিলেন তাদের অন্যতম।

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি ছিলেন মুজিব বাহিনী নামে পরিচিত বাংলাদেশ লিবারেশন ফোর্সের রূপকার। ১৯৭৫ বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার পর আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। ১৯৯০-এর দশকে বাকশাল নামে গঠিত তাঁর উপদলটি আওয়ামী লীগের মূলধারার সাথে মিলে যায়।

একই দশকের গোড়াতে জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ব্যানারে স্বাধীনতা বিরোধী, রাজাকার ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে যে গণ আন্দোলন শুরু হয় সে আন্দোলনে আব্দুর রাজ্জাক অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। আওয়ামী লীগে ফেরার পর মি. রাজ্জাক সভাপতিমণ্ডলীতে স্থান পান।

১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগে সরকারের পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা অবস্থায় মি. রাজ্জাক ভারতের সঙ্গে গঙ্গা পানিবন্টন চুক্তি সই করেন। ১/১১ রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর আওয়ামী লীগের যে ক’জন নেতা সংস্কারপন্থী হিসেবে পরিচিতি পান, তার মধ্যে মি. রাজ্জাকও ছিলেন। পরে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ফিরে এলেও ২০০৯ সালের দলের সম্মেলনে সভাপতিমন্ডলী থেকে বাদ দিয়ে তাকে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য করা হয়।

প্রসঙ্গত, রাজনীতিবিদ আব্দুর রাজ্জাক শরীয়তপুর জেলার ডামুড্যা উপজেলার দক্ষিণ ডামুড্যা গ্রামে ১৯৪২ সালের ১ আগস্ট জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম ইমাম উদ্দিন এবং মাতার নাম বেগম আকফাতুন্নেছা। তিনি ১৯৫৮ সালে ডামুড্যা মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং ১৯৬০ সালে ঢাকা কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। এরপর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে ভর্তি হন। তিনি ১৯৬৪ সালে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অনার্স এবং পরে মাস্টার্স পাস করেন। এরপর তিনি এলএলবি পাস করেন এবং ১৯৭৩ সালে আইনজীবী হিসেবে বার কাউন্সিল’র নিবন্ধিত হন।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭