নির্বাচনে কারা কতটি আসন পাবে সেটা ১৭ ডিসেম্বরই সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে অভিযোগ করে গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, নির্বাচনে গেলে আমরাও ২০-৫০ কোটি টাকা পেতাম, ৫-৭টি আসন পেতাম। কিন্তু দেশের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে আমরা সেটি করিনি।
শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) দৈনিক বাংলা মোড়, ফকিরাপুল মোড়, নাইটিংগেল মোড় এলাকায় লিফলেট বিতরণ শেষে বিজয়নগর পানির ট্যাংকির মোড়ে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।
নুরুল হক নুর বলেন, জনগণের টাকা খরচ করে ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের নামে কোনো ভাগ-বাটোয়ারার নাটক মঞ্চস্থ হতে দেওয়া হবে না। আমরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাজপথে আছি, নিজের স্বার্থ কিংবা পরিবারের জন্য নয়।
এ দেশের জনগণের জন্য। এ জন্য আজ থেকে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত অফিস-আদালত বন্ধ করে অসহযোগ আন্দোলন করুন। দেশপ্রেমিক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতি আমাদের আহ্বান, অফিস-আদালতে তালা দিয়ে বন্ধ করে দিন। আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছি, তবে আমাদের ওপর আঘাত এলে আত্মরক্ষায় পাল্টা ব্যবস্থা নিতে হবে।
দলের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন বলেন, আমরা কোনো অন্যায় দাবি নিয়ে রাজপথে নামিনি। আমাদের দাবি, আমরা ভোট দিতে চাই। এটা কি আমাদের অপরাধ? আজকে দেশে গণতন্ত্র নাই, মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার ভূলুণ্ঠিত হয়েছে। অথচ দেখেন ভারত এই সরকারকে নগ্নভাবে সাপোর্ট দিচ্ছে। ১৪ সালে যেভাবে একতরফা নির্বাচনে সহযোগিতা করেছে, এবারও ডামি নির্বাচনে সাপোর্ট দিচ্ছে।
গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রবিউল হাসানের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, শাকিল উজ্জামান, সহসভাপতি বিপ্লব কুমার পোদ্দার, সিনি. যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন, ছাত্র অধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তরিকুল ইসলাম, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহমান, গণঅধিকার পরিষদের মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক নুরুল করিম শাকিল প্রমুখ।