ইনসাইড আর্টিকেল

যুবসমাজের অবক্ষয়ে অন্ধকারে সমাজ


প্রকাশ: 24/12/2023


Thumbnail

রাতের অন্ধকার দূর করে প্রভাতের সূর্যকে স্বাগতম জানায় যুবসমাজ, পাহাড় সমান বাধা অতিক্রম করে বিজয় ছিনিয়ে আনা আজকের এই যুবসমাজই আগামী দিনের দেশ ও জাতির কর্ণধার। শত বাধা বিপত্তি অতিক্রম করে যুবসমাজই পারে দেশকে স্বপ্নের দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে। একটি দেশের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক হয়ে যুবসমাজ যখন খারাপ পথে ধাবিত হয় তখন দেশ ও সমাজের মধ্যে নানা সমস্যা দেখা যায়। যুবসমাজের অবক্ষয়ের কারণে সামাজিক ও জাতীয় জীবনে নেমে আসতে পারে চরম দুঃখ-দুর্দশা, বিপর্যয় ও হতাশা। দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় পাঁচ কোটি মানুষই যুবসমাজের মূল্যবান কার্যকরী অংশ।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক বক্তব্যে বলেছিলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে যুবসমাজকে নিয়ে বাংলাদেশকে একটি উন্নত দেশ হিসেবে পরিণত করবেন। তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ সরকার ক্রমাগতভাবে তরুণদের কর্মমুখী করার জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ বাস্তবায়ন করছে। ইতোমধ্যে সরকার যুবসমাজে তরুণদের উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। যেমন- যুব দিবস পালন, যুব মেলার আয়োজন ইত্যাদি। এ লক্ষ্যে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং যুব উন্নয়ন অধিদফতর নিয়ে থাকে ব্যাপক কর্মসূচি। 

নৈতিকতা, মাদক, শিক্ষা,এবং পারিবারিক মূল্যবোধের অবক্ষয় একটি ভয়াবহ ব্যধি বলা যায়। বর্তমানে এই ব্যাধিগুলো যুব সমাজকে গ্রাস করে ফেলছে বলে মনে করেন সমাজবিজ্ঞানীরা। এই অবস্থা চলতে থাকলে জাতির ভবিষ্যৎ অন্ধকার ধাবিত হবে। এই অবক্ষয়ব্যাধি যুবপ্রজন্মকে বাঁচানোর জন্য দরকার সুস্থ রাজনীতি, সমাজে স্থিতিশীলতা এবং নৈতিক শিক্ষা।

আমাদের দেশের যুবসমাজ আজ নানা ধরনের নৈতিক ও মূল্যবোধের অবক্ষয়ের শিকার হচ্ছে। সচেতন সমাজের মানুষ মনে করেন, তরুণদের এই নৈতিকতার অবক্ষয় রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। যার ফলে দেশে অপসংস্কৃতির বৃদ্ধি হয়ে দেশ ও সমাজকে প্রলোভিত করছে। বেকারত্ব ও মাদকাসক্তির প্রভাবে আমাদের যুব সমাজ অসংখ্য সংকট ও সমস্যায় জর্জরিত হচ্ছে। 

কিছু মনোনিবেশ পদক্ষেপ গ্রহনের মাধ্যমে আজকের যুবসমাজকে অবক্ষয়ের হাত থেকে রক্ষা করা যেতে পারে। যা কিনা তরুণদের জীবনে সুধারণ এবং আগামীতে তাদের প্রয়োজনীয় সহায় প্রদান করে একটি সন্দর সমাজ গড়ে তুলতে সাহায্য করতে পারে। তার মধ্যে

পেশাদান শিক্ষা: যুবসমাজের অবক্ষয়রোধ করে গড়ার জন্য উচ্চ মানসম্মত শিক্ষা প্রয়োজন। শিক্ষা একজন ব্যক্তির জীবন এবং সমাজের উন্নতির মাধ্যম। তরুণদেরকে পেশাদান শিক্ষা এবং ক্যারিয়ার পরিকল্পনা সাহায্য করতে একটি প্রাধিকৃত প্রোগ্রাম চালানো হতে পারে।

কৌশল উন্নত করা: তরুণদেরকে একটি বিশেষ ক্ষেত্রে পড়াশোনা এবং কৌশল উন্নত করতে উৎসাহিত করা যেতে পারে এবং তা ক্রমাগত বৃদ্ধি প্রদান করে সরকারিভাবে মনিটরিং করতে হবে যা কিনা কৌশলের দিক থেকে উন্নত করতে সাহায্য করবে, এই কৌশলগুলো তাদের কাজের পারদে এবং ব্যক্তিগত উন্নতির মাধ্যমে সাফল্য অর্জন করতে পারে এবং দেশ ও জাতির জন্য কল্যাণকর বয়ে আনতে পারে।

সোশ্যাল সাপোর্ট মেন্টরিং: তরুণদের জন্য সোশ্যাল সাপোর্ট এবং মেন্টরিং প্রদান করা যেতে পারে। এতে করে আজকের যুব সমাজ একটি প্রক্রিয়ায় দেশকে এগিয়ে নিবে, যেখানে একজন অভিজ্ঞ ব্যক্তি বা একজন নবীন ব্যক্তিকে তার শিক্ষানবিশকালে দলবদ্ধভাবে সহায়তা করবে। 

বিশেষ প্রকল্প: একটি বিশেষ প্রকল্প সূচনা করলে, সেখানে তাদের শখ এবং ক্যারিয়ার পছন্দ নির্ধারণ এবং যুবসমাজের নিজ নিজ ক্যারিয়ার পরিকল্পনায় একটি নির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে। যা তাদের ভবিষ্যতে সাফল্যের দিকে এগিয়ে নিয়ে সঠিক পথের জীবন পরিচালিত ও উৎসাহিত করতে সাহায্য করবে। 

সময় প্রবন্ধন: কাজের ক্ষেত্রে, শিক্ষার ক্ষেত্রে, এবং সামাজিক জীবনের ক্ষেত্রে সময় প্রবন্ধন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সময় পরিবর্তনে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলা আজকের যুব সমাজের একটা ফ্যাশন। কেননা, পৃথিবী প্রবর্তনের শুরু থেকে আজ পর্যন্ত সময়ের সাথে সাথে পাল্টেছে সমাজের জীবন যাত্রা। তাই সময়কে গুরুত্ব দিয়ে যুবসমাজকে সময়পযোগী করা প্রয়োজন।

যুবসমাজ সচেতন হলে দেশ ও জাতি উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাবে, বাড়বে সুশীল সমাজ ও সমাজের মূল্যবোধ। একটি সঠিক সমৃদ্ধ, সমর্থ, এবং সমন্বিত পদক্ষেপের মাধ্যমেই বাস্তবায়ন করা যেতে পারে ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি অর্জন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার আকাঙ্ক্ষা।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭