`স্বাস্থ্য খাতের রায় শেখ হাসিনার পক্ষেই হবে'

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতার গর্বিত কন্যা। আমার কাছে জাতির পিতার কন্যার সম্মান প্রধানমন্ত্রীর সম্মানের চেয়ে অনেক বেশি। দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা এখন স্বমহিমায় মহিমান্বিত। সকল মানবিক গুণে গুণান্বিত। শেখ হাসিনার সাথে তুলনীয় নেতা এখন বাংলাদেশে একজন ও নেই এমনকি বহির্বিশ্বেও বিরল। তাঁর অফুরন্ত সাহস, প্রজ্ঞা ও দূরদর্শিতার জন্যে আজ তিনি বিশ্বনেতা। জাতির পিতার কন্যার প্রতিটি কাজের মধ্যে মানবিক গুণাবলীর এক অনন্য ব্যক্তিত্বের প্রকাশ পায়। রাজনীতির মাধ্যমে মানুষের কল্যাণ করাই তাঁর রাজনীতির দর্শন। তিনি তো তাঁর জীবন দেশের কল্যাণে উৎসর্গ করে দিয়েছেন। 

১৯৮১ সালের ১৭ই মে সব হারিয়ে রিক্ত, নিঃস্ব শেখ হাসিনা প্রবাসের দুর্বিষহ শরণার্থী জীবনের অবসান ঘটিয়ে বাংলাদেশে ফিরে আসেন। জাতির পিতার কন্যার একটি অত্যন্ত সুস্পষ্ট বক্তব্য হলো - "আমি ক্ষমতার জন্য রাজনীতিতে আসিনি। এসেছিলাম একটি হারানো স্বপ্ন উদ্ধার এবং একটি রক্তাক্ত আদর্শের পতাকা আবার তুলে ধরার জন্য।" পিতার স্বপ্ন পূরণে দিগন্ত আলোকিত করে যে বঙ্গকন্যার আবির্ভাব হয়েছিল - তাঁর দেশপ্রেম, সক্ষমতা, কঠোর পরিশ্রম, বজ্র কঠিন সংকল্প এবং দৃঢ় অঙ্গীকারের কারণেই আজ অপ্রতিরোধ্য গতিতে অগ্রযাত্রার মহাসড়কে বাংলাদেশ। 

পর পর তিন মেয়াদে বঙ্গবন্ধু কন্যা রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকায় দেশে যে অভাবনীয় এবং অকল্পনীয় উন্নতি হয়েছে, সেই উন্নয়নের ছোঁয়া বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতেও লেগেছে। সারাদেশব্যাপী স্বাস্থ্য খাতে এক নীরব বিপ্লব ঘটে গেছে। দেশ জুড়ে ১৪,০০০ এর ও বেশি কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা বঙ্গবন্ধু কন্যা রাষ্ট্রনায়ক জননেত্রী শেখ হাসিনার কল্পনাপ্রসূত বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য সেবায় এক বিরল ঘটনা। কমিউনিটি ক্লিনিকের সুবাদে বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু এখন প্রায় ৭৪ বছর। মাতৃমৃত্যু এবং শিশু মৃত্যু হার হ্রাস পেয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্ধারিত লক্ষ্যে প্রায় পৌঁছে গেছে। তাছাড়া মেডিকেল ইউনিভার্সিটি, সরকারি মেডিকেল কলেজ এবং প্রচুর বিশেষায়িত হাসপাতাল স্থাপন করে স্বাস্থ্য সেবাকে তিনি এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছেন। বাংলাদেশের স্বাস্থ্য সেবাকে বিশ্বমানের স্বাস্থ্য সেবায় পরিণত করতে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই। তাই আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আবারও আমাদের বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতায় রাখতে হবে। 

আমি বাংলাদেশের সকল মেডিকেল ইউনিভার্সিটি, সরকারি/বেসরকারি মেডিকেল কলেজ, সরকারি/বেসরকারি নার্সিং কলেজ/নার্সিং ইনস্টিটিউট, মেডিকেল এসিসট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল ও ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজিস্ট, সকল বিশেষায়িত হাসপাতাল, জেলা/উপজেলা লেভেলের সকল হাসপাতাল এবং কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে কর্মরত সকল শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী, ছাত্র ও ছাত্রীদেরকে জাতির পিতার কন্যার স্বপক্ষে দেশব্যাপী নির্বাচনী প্রচারণায় সক্রিয় অংশগ্রহণ করে আগামী ৭ই জানুয়ারী স্ব স্ব ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে নৌকা মার্কায় ভোট প্রদানের জন্য বিশেষ ভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি। আমি সঙ্গত কারণেই আশা করি স্বাস্থ্য খাতের রায় শেখ হাসিনার পক্ষেই যাবে। আপনি আপনার মহামূল্যবান ভোটটি জননেত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে প্রদান করে তাঁকে আবারও বাংলাদেশের মানুষের সেবা করার সুযোগ করে দিন। 

জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্রমুক্ত, অসম্প্রদায়িক, আধুনিক এবং উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণ একমাত্র শেখ হাসিনার পক্ষেই সম্ভব। বাংলাদেশের স্বাধীনতা রক্ষার জন্য, বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করে সকলের মুখে হাসি ফুটানোর জন্য এবং আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে এ জাতির বড় বেশি দরকার।

অধ্যাপক ডাঃ দীন মোহাম্মদ নূরুল হক

সাবেক মহাপরিচালক (স্বাস্থ্য), গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার