এডিটর’স মাইন্ড

জনগণ কী চায়


প্রকাশ: 25/12/2023


Thumbnail

এ দেশে সবকিছু হয় জনগণের নামে। রাজনীতিবিদরা জনগণের জন্য রাজনীতি করার ঘোষণা দিয়ে নিজেদের পকেট ভারী করেন। ক্ষমতাসীনরা মনে করে, তারাই একমাত্র জনগণের বন্ধু। তাদের ছাড়া দেশ চলবে না। অন্যদিকে বিরোধী দল মনে করে, জনগণ তাদের পক্ষে। কথায় কথায় বিরোধী দলের নেতারা বলেন, সরকার জনবিচ্ছিন্ন। জনগণ এ সরকারকে চায় না। জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে এ সরকার জোর করে ক্ষমতায় আছে ইত্যাদি। কিন্তু সরকার এবং বিরোধী দলের ক’জন নেতা জানেন জনগণ আসলে কী চায়?

গত বুধবার লন্ডনে পলাতক বিএনপির নেতা ভিডিও কনফারেন্সে দেশব্যাপী অসহযোগের ডাক দিলেন। তার বক্তব্য শুনছিলাম। তিনি যেন আমাদের (জনগণকে) রীতিমতো ধমক দিচ্ছিলেন। জনগণকে কী করা উচিত, না উচিত এ সম্পর্কে ‘নসিহত’ করছিলেন। বিএনপির ওই নেতা জনগণকে ব্যাংকে টাকা না রাখার পরামর্শ দিলেন। ব্যাংক থেকে টাকা তুলে জনগণ কোথায় রাখবে? বাসাবাড়িতে? অথচ বিদেশে বসে আরাম-আয়েশে সময় কাটানো ওই নেতাই ভিডিও বার্তায় বললেন ‘দেশে আইন নেই’। জানমালের নিরাপত্তা নেই। তাহলে ব্যাংক থেকে টাকা তুলে ঘরে রাখলে নিরাপত্তা কে দেবে? নাকি জনগণ ব্যাংক থেকে টাকা তুলে লন্ডনে পাঠিয়ে দেবে? এরকম অজস্র স্ব-বিরোধিতায় ভরপুর অসহযোগ আন্দোলনের ঘোষণাসংক্রান্ত নির্দেশনা দেওয়া হলো কার স্বার্থে? এই অসহযোগ আন্দোলনে জনগণ কী পাবে? জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণের লক্ষ্যে কি বিএনপির অসহযোগ আন্দোলন? তাই যদি হয়, তাহলে ট্রেনে নাশকতা কেন? যাত্রীবাহী বাসে আগুন লাগানো কেন? এসব কর্মসূচি কি জনগণের জন্য ক্ষতিকর নয়? গত ২৮ অক্টোবর থেকে বিএনপি-জামায়াত এবং আরও কিছু রাজনৈতিক দল সহিংস রাজনীতি করছে। একটু গভীরভাবে লক্ষ্য করলে দেখা যায়, এসব আন্দোলনে জনগণকে জিম্মি করা হচ্ছে। আক্রান্ত হচ্ছে জনগণ। পুড়িয়ে হত্যা করা হচ্ছে নিরীহ মানুষকে। এ আন্দোলনে জনগণের কি কল্যাণ হবে? বিএনপির নেতারা কি হলফ করে বলতে পারবেন, এ আন্দোলন তারা জনগণের জন্য করছেন?

বিএনপি এখন ‘অসহযোগ আন্দোলন’ করছে। বিএনপিতে এরকম বেশ ক’জন নেতা আছেন, যারা বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একাধিক অসহযোগ আন্দোলন প্রত্যক্ষ করেছেন। ’৬৯-এর অসহযোগ আন্দোলনে আইয়ুবের পতন হয়। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা থেকে বঙ্গবন্ধুকে মুক্ত করে বীর বাঙালি। ১৯৭০ সালে নির্বাচনের পর অসহযোগ আন্দোলন ছিল স্বতঃস্ফূর্ত, জনগণই বঙ্গবন্ধুর কথায় দেশ চলুক এ দাবি করেছিল। জাতির পিতা জনগণের হৃদয়ের কথা অনুভব করেছিলেন। এ কারণেই ওই সময়ে গোটা বাংলাদেশ (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) চলছিল বঙ্গবন্ধুর কথায়। জনগণ এটাই চেয়েছিল। নব্বইয়ে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের শেষ ধাপে অসহযোগ আন্দোলন গড়ে উঠেছিল স্বতঃস্ফূর্ত গণদাবির প্রেক্ষাপটে। ’৯০-এর ২৭ নভেম্বর টিএসসির সামনে স্বৈরাচারী এরশাদের সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর গুলিতে নিহত হন ডা. মিলন। মুহূর্তে ক্ষোভে ফেটে পড়ে জনগণ। ছাত্র-শ্রমিক-নারী-পুরুষ রাজপথে বেরিয়ে আসে। গণমাধ্যমকর্মীরা বন্ধ করে দেন সংবাদপত্র প্রকাশনা। লেখক-শিল্পী-বুদ্ধিজীবীরা স্বৈরাচারের পতনের দাবিতে রাজপথে নেমে আসেন। সচিবালয় থেকে বেরিয়ে আসেন সরকারি কর্মচারীরা। এরশাদের পতন ছিল জনতার দাবি। নব্বইয়ের অসহযোগ আন্দোলন ছিল একটা টর্নেডোর মতো। এক লহমায় স্বৈরাচারের সাজানো বাগান তছনছ হয়ে যায়। স্বৈরাচার পতনের আন্দোলন ছিল স্বতঃস্ফূর্ত গণআন্দোলন। এটি ছিল জনগণের অভিপ্রায়ের প্রকাশ।

বাংলাদেশে তৃতীয় অসহযোগ আন্দোলনটি হয়েছিল ’৯৬ সালের জানুয়ারি থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত। তিন মাসের আন্দোলনে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন খালেদা জিয়া। মাগুরা এবং মিরপুর উপনির্বাচনে নজিরবিহীন কারচুপির প্রেক্ষাপটে, আওয়ামী লীগসহ বিরোধী দলগুলো নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে। খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মানতে অস্বীকৃতি জানায়। বিরোধী দলের দাবি উপেক্ষা করে খালেদা জিয়া ’৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি একতরফা নির্বাচনের আয়োজন করেন। আওয়ামী লীগসহ সব বিরোধী দল নির্বাচন বর্জন করে। আন্দোলনের স্ফুলিঙ্গ ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে। ১৫ ফেব্রুয়ারি দেশে কার্যত কোনো নির্বাচন হয়নি। ’৭৫-এর খুনিদের তৈরি করা ফ্যাসিস্ট দল ‘ফ্রিডম পার্টি’ শুধু নির্বাচনে অংশ নেয়। ভোট ছাড়াই বিএনপির অনুগত নির্বাচন কমিশন একটি মনগড়া ফলাফল ঘোষণা করে। জনগণ এ ফলাফল মেনে নেয়নি। তীব্র আন্দোলনের একপর্যায়ে গড়ে ওঠে ‘জনতার মঞ্চ’। সব শ্রেণি-পেশার মানুষ যুক্ত হন এ মঞ্চে। সচিবালয় থেকে বেরিয়ে আসেন সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। দেশের নিয়ন্ত্রণ নেয় ‘জনতার মঞ্চ’। এখান থেকে প্রদত্ত ঘোষণা অনুযায়ী চলতে থাকে দেশ। অগত্যা, ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত ভূতুড়ে সংসদে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সংবিধান সংশোধনী পাস হয়। নতুন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দিতে বাধ্য হন খালেদা জিয়া।

লক্ষণীয় ব্যাপার, এসব অসহযোগ আন্দোলনেই নেতৃত্ব দেয় আওয়ামী লীগ। নব্বইয়ের আন্দোলনে বিএনপি ছিল আন্দোলনের সহযোগী শক্তি। একা বিএনপি কখনো দেশে সফল আন্দোলন গড়ে তুলতে পারেনি। ২০১৩ সালে বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আন্দোলন তীব্র ছিল; কিন্তু সফল হয়নি। ২০১৪ ও ’১৫ সালের আন্দোলন লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হয়। এর কারণ বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, ২০১৩ থেকে ’১৫ সাল পর্যন্ত সময়ে বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলনের একমাত্র উপজীব্য বিষয় ছিল নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যমে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় যেতে চেয়েছিল। এসব আন্দোলন জনসম্পৃক্ত বা জনগণের লাভ হয়— এমন কোনো দাবি ছিল না। শুধু এ সময়ে কেন, গত ১৭ বছর বিএনপি-জামায়াতের সব আন্দোলন ছিল ব্যক্তিকেন্দ্রিক। তারেক জিয়ার মামলা প্রত্যাহার, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ, খালেদা জিয়াকে ক্যান্টনমেন্টের বাসা থেকে উচ্ছেদ, তার মুক্তি ইত্যাদি কোনো দাবির সঙ্গে জনগণের সমর্থন ছিল না। বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় এলে দেশের এবং জনগণের কী লাভ হবে? এ প্রশ্নের কোনো উত্তর ছিল না আন্দোলনের কর্মসূচিতে। অন্যদিকে এ সময়ে মানুষের জীবনমানের উন্নতি হয়েছে, আয়-উপার্জন বেড়েছে। সব থেকে বড় কথা মানুষ স্বপ্ন দেখা শিখেছে। দৃশ্যমান উন্নয়ন কর্মসূচি মানুষকে আশাবাদী করেছে। ব্যবসায়ী, শিল্পপতি, সরকারি কর্মচারী, সাধারণ মানুষ প্রত্যেকে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার সুফল পেয়েছে। সরকার পরিবর্তন করে অনিশ্চয়তার ঝুঁকি নিতে চায়নি কেউ। হ্যাঁ, আওয়ামী লীগের শাসনামলে দুর্নীতি আছে, ব্যাংক খাতে ভয়ানক অনিয়মের ঘটনা ঘটেছে। বাজার নিয়ে অস্থিরতায় মানুষ কষ্ট পেয়েছে। কিন্তু এ ইস্যুগুলোকে বিরোধী পক্ষ তাদের আন্দোলনের অংশ করতে পারেনি। জনগণের মধ্যে আতঙ্ক কাজ করেছে, বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় এলে দেশের পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। জনগণের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হবে না। জনগণ ক্ষমতা বদলের হাতিয়ার হতে চায় না। জনগণ দেশে আন্দোলনের ফলে তার নিজের জীবনে, তার চারপাশে কী পরিবর্তন হবে সে সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পেতে চায়। অতীতের অসহযোগ আন্দোলন বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, প্রতিটি আন্দোলনের কর্মসূচিতে জনগণের স্বার্থ ছিল। জনগণ উপলব্ধি করেছিল এ আন্দোলনে জয়ী হলে সরাসরি তারা উপকৃত হবে।

’৭০-এর নির্বাচন ছিল পূর্ব বাংলার জনগণের অধিকার আদায়ের প্রশ্ন। ছয় দফার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু তুলে ধরেছিলেন বৈষম্যের চিত্র। এ দেশের মানুষ বুঝেছিল, তারা বৈষম্যের শিকার। ’৭০-এর নির্বাচনের সময় একটি পোস্টার সারা দেশে সাড়া ফেলেছিল, ‘পূর্ব বাংলা শ্মশান কেন?’ শিরোনামের পোস্টারে পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতিকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছিলেন, স্বাধীনতা ছাড়া বাঙালিদের ভাগ্যের পরিবর্তন সম্ভব নয়। ’৯০-এ এরশাদবিরোধী আন্দোলনেও ছিল জনগণের বঞ্চনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ। এরশাদের সময় বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় গড়ে উঠেছিল ধনিক গোষ্ঠী। বৈষম্য বাড়ছিল। রাষ্ট্রীয় সব সুযোগ-সুবিধা কুক্ষিগত করেছিল একটি গোষ্ঠী। শেখ হাসিনা তার আন্দোলনের কর্মসূচিতে জনগণের অধিকারের কথা বলেছিলেন। এরশাদবিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে ছিল শিক্ষার দাবি, বিচার বিভাগ বিকেন্দ্রীকরণের নামে জনহয়রানি বন্ধের দাবি, বেতার-টিভির স্বায়ত্তশাসনের দাবি।

’৯৬-এর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন শুধু ক্ষমতা বদলের আন্দোলন ছিল না। আওয়ামী লীগ সভাপতি এ দাবির সঙ্গে যুক্ত করেছিলেন সারের দাবিতে জীবন দেওয়া কৃষকদের দাবি, বিদ্যুতের অভাবে বিক্ষোভকারীদের প্রতিবাদ, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে নাকাল মানুষের আর্তনাদ। জনগণের মধ্যে এ উপলব্ধি তৈরি হয়েছিল, সরকার পরিবর্তন না হলে তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন অসম্ভব। একটি আন্দোলন তখনই সফল হয় যখন জনগণ উপলব্ধি করে এ আন্দোলন তার জন্য। এ আন্দোলন তাদের জীবনমান পরিবর্তন করবে।

কিন্তু গত ১৭ বছর বিএনপি আন্দোলন করেছে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য, জিয়া পরিবারকে রক্ষার জন্য। করোনা মহামারি, দুর্যোগ দুর্বিপাকে বিএনপিকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। জনগণকে বিএনপি-জামায়াত বোঝাতে পারেনি যে, তারা আওয়ামী লীগের চেয়ে ভালো। আওয়ামী লীগ গিয়ে তারা ক্ষমতায় এলে দেশের কল্যাণ হবে, এটা বোঝাতে বিএনপি নেতৃত্ব ব্যর্থ হয়েছে। জনগণ ২০০১-০৬ সালে দুঃসহ স্মৃতি ভুলতে পারেনি। ব্যক্তি এবং পারিবারিক স্বার্থে একটি রাজনৈতিক দলকে ব্যবহার করা হয়েছে। জনগণ সব জানে, বোঝে। তাই বলে আওয়ামী লীগ ধোয়া তুলসী পাতা এমনটি মনে করার কোনো কারণ নেই। গত ১৭ বছরে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দলটির অর্জন অনেক। কিন্তু গত পাঁচ বছরে কিছু মুষ্টিমেয় ব্যক্তির লাগামহীন দুর্নীতি, কয়েকজন মন্ত্রীর সীমাহীন ব্যর্থতা জনগণের বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, ক্রমশ দানা বেঁধে ওঠা অর্থনৈতিক সংকট উদ্বেগের কারণ হয়েছে। ব্যাংক খাতে স্বেচ্ছাচারিতা, অর্থ পাচার, বিদ্যুৎ খাতের কেলেঙ্কারিতে মানুষ বিরক্ত হয়েছে, আস্থা হারাচ্ছে। তবে আওয়ামী লীগের জন্য সুখবর হলো, এ দেশের সিংহভাগ জনগণ শেখ হাসিনাকে বিশ্বাস করে, তার ওপর আস্থাশীল। বাংলাদেশে এখন একজনই জনগণের নেতা আছেন, তার নাম শেখ হাসিনা। এ দেশের মানুষ মনে করে তিনি আপনজন, সত্যিকারের শুভাকাঙ্ক্ষী। আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে আওয়ামী লীগ যে আবার বিজয়ী হয়ে টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করতে যাচ্ছে, এটা মোটামুটি নিশ্চিত। জনগণ এখন শেখ হাসিনার দিকে তাকিয়ে। চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হয়ে তিনি দুর্নীতিবাজ, লুটেরাদের বিরুদ্ধে কঠোর হবেন, এ প্রত্যাশা জনগণের। অযোগ্য ব্যর্থদের নতুন মন্ত্রিসভা থেকে বাদ দেওয়া এখন সময়ের দাবি। এ দেশের মানুষের চাহিদা খুবই কম। তারা শান্তিতে থাকতে চায়। দুবেলা পেট পুরে খেতে চায়। রাতে শান্তিতে ঘুমাতে চায়। সন্তানের ভালো লেখাপড়ার নিশ্চয়তা চায়। অসুস্থ হলে উন্নত চিকিৎসা চায়। সুখে-শান্তিতে নির্ভয়ে জীবনযাপন করতে চায়। শেখ হাসিনা এ প্রত্যাশাগুলোর প্রায় সবই পূরণ করেছেন। এবার মানুষ চায় দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ। লুটেরাদের শাস্তি। জনগণ জানে, একমাত্র শেখ হাসিনাই এ প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেন। তাই আন্দোলনের ডাকে জনগণের সায় নেই।


লেখক: নির্বাহী পরিচালক, পরিপ্রেক্ষিত

ইমেইল: poriprekkhit@yahoo.com



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭