ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বড়দিনের উৎসব বাতিল ফিলিস্তিন-সিরিয়ায়


প্রকাশ: 25/12/2023


Thumbnail

ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের কারণে এই বছর ফিলিস্তিনের পশ্চিমতীরের বেথলেহেমে বড়দিনের উৎসব বাতিল করা হয়েছে। গাজায় নির্বিচারে গণহত্যায় শোকের ছায়া পড়েছে স্থানীয় খ্রিষ্টানদের মাঝে। এর জের ধরেই ফিলিস্তিনের পাশাপাশি বড়দিনের উৎসব বাতিল করেছে সিরিয়ার খ্রিষ্টানরাও। 

আরব নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তর সিরিয়ার কেন্দ্রীয় জেলা আজিজিয়ায় প্রতি বছর উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপিত হয় বড়দিন। জেলার রাস্তাগুলো আলোয় সজ্জিত থাকে। কিন্তু এ বছর আজিজিয়ার মূল চত্বরটি প্রায় খালি পড়ে আছে। সেখানে উৎসবের কোন আমেজ নেই। 

ম্যাঙ্গার চত্বরের প্রথাগত উৎসবমুখর আলোকসজ্জা ও ক্রিসমাস ট্রি ছিল অনুপস্থিত। ছিল না শত শত পর্যটকদের ভিড়, যারা প্রতি বছর ছুটি উদযাপন করতে এখানে ছুটে আসেন। পরিবর্তে ফিলিস্তিনি নিরাপত্তা বাহিনীর কয়েক ডজন সদস্যকে খালি চত্বর পাহারা দিতে দেখা যায়। 

বেথলেহেমের আয়ের প্রায় ৭০ শতাংশই আসে পর্যটন থেকে যার বেশিরভাগই বড়দিনের মৌসুমে। যুদ্ধ পরিস্থিতিতে বেশ কয়েকটি প্রধান এয়ারলাইন্স ইসরায়েলে তাদের ফ্লাইটগুলো বাতিল করেছে। যার ফলে খুব কম সংখ্যক বিদেশী এখানে আসছেন। স্থানীয় কর্মকর্তারা বলছেন, বেথলেহেমের ৭০টিরও বেশি হোটেল তাদের ব্যবসা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে। যার ফলে হাজার হাজার মানুষ বেকার হয়ে পড়েছে।

রোববার আলেপ্পোর সিরিয়াক ক্যাথলিক আর্চবিশপ মোর ডিওনিসিয়াস আন্তোইন শাহদা এএফপিকে বলেছেন, ‘যিশুখ্রিস্টের জন্মস্থান ফিলিস্তিনে মানুষ কষ্ট পাচ্ছে। ফিলিস্তিনিদের সাথে সংহতি জানিয়ে আমাদের গির্জাগুলো বড়দিনের সমস্ত আনুষ্ঠানিক উদযাপন বাতিল করেছে।

সিরিয়াক ক্যাথলিক চার্চের পাশাপাশি তিনটি প্রধান চার্চ গ্রিক অর্থোডক্স, সিরিয়াক অর্থোডক্স এবং মেলকাইট গ্রিক ক্যাথলিক বড়দিনের উৎসব বাতিল করেছেন। তবে ধর্মীয় এ অনুষ্ঠান সীমিতভাবে উদযাপন করার কথা বলেছেন। অনুষ্ঠানগুলোকে প্রার্থনার মধ্যে সীমাবদ্ধ করছেন।

রোববার বেথেলহেমের যাজক মুনথার আইজ্যাক গাজায় অবিলম্বে গণহত্যা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭