প্রকাশ: 27/12/2023
ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে কিউইদের মাটিতে তাদের প্রথমবারের মতো হারায় টাইগাররা।
এরপর শান্তরা প্রহর গুণছিল টি-টোয়েন্টিতে কবে হারাবে কিউইদের। অপেক্ষা দীর্ঘ হয়নি।
অবশেষে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে অধরা টি-টোয়েন্টিতে জয়ের ক্ষুধাও মেটালো বাংলাদেশ। কিউইদের
দেওয়া ১৩৪ রানের লক্ষ্য খানিকটা কঠিন করে হলেও লিটনের হার না মানা ইনিংসে ৫ উইকেটে
জিতে যায় বাংলাদেশ।
রনি তালুকদার উদ্বাধনী জুটিতে দারুণ এক ছয়ে ভালো শুরুর আভাস দিলেও রনি দলীয়
১৩ রানে মাত্র ১০ রান করে আউট হন। এরপর শান্তও লিটনের সঙ্গে জুটি গড়ে দলীয় ৩৮ রানে
১৯ রান করে ফিরে যান। সৌম্য ভালো শুরু করলেও তিনিও তার ইনিংসটা লম্বা করতে পারলেন না।
১৫ বলে ২২ রান করে দলীয় ৬৭ রানে আউট হয়ে যান তিনি।
মূল সমস্যাটা বাঁধে স্কোরবোর্ডে যখন ৯৬ তখন আউট হন তাওহীদ হৃদয়। এরপর স্কোর
বোর্ডে ১ রান যোগ হতেই প্যাভিলিয়নে ফিরে যান অনেকদিন পর দলে ফেরা আফিফ। এই অনিশ্চিত
জায়গা থেকে পেশীতে টান নিয়েই মেহেদি হাসানকে সঙ্গে নিয়ে লিটন শেষ পর্যন্ত লড়ে দলকে
জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন।
দলের পক্ষে লিটন সর্বোচ্চ ৩৬ বলে ৪২ রান করেন। এছাড়া সৌম্য সরকার ২২ ও শান্ত,
হৃদয় ও মেহেদি ১৯ রান করে করেন।
কিউইদের পক্ষে টিম সাউদি, নিশাম, অ্যাডাম মিলনে, বেন সিয়ারস ও স্যান্টনার
একটি করে উইকেট পান।
টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং নেয়ার যথার্থতা প্রমাণ করলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডকে বেধে রাখতে পারলেন ৯ উইকেটে ১৩৪ রানে। জয়ের জন্য ১৩৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামবে বাংলাদেশ।
ওয়ানডে সিরিজের শেষ ওয়ানডের মতোই প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের প্রায়
সব বোলার কিউইদের কম রানে বেঁধে রাখতে ভুমিকা রাখেন। সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন পেসার শরিফুল
ইসলাম। মেহেদী হাসান, মোস্তাফিজুর রহমান নেন ২টি করে উইকেট। তানজিম সাকিব এবং রিশাদ
হাসান নেন ১টি করে উইকেট।
শেষ দিকে কয়েকটি ক্যাচ মিস এবং মিস ফিল্ডিং হয়েছিলো। না হয় নিউজিল্যান্ডের
রান হয়তো আরও কম হতে পারতো।
টস হেরে ব্যাট করতে নামার পর প্রথমে মেহেদী হাসান, পরে শরিফুলের বিধ্বংসী
বোলিংয়ে ১ রানে ৩ উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। এরপর ২০ রানের মাথায় হারায় চতুর্থ উইকেট।
এই দুই বোলারের সঙ্গে উইকেট নেয়ার উৎসবে মেতেছেন রিশাদ হাসানও। ৫০ রানেই ৫টি উইকেট
হারিয়ে ফেলে কিউইরা।
মাঝে ধারাবাহিকতা ভেঙে দেন জেমস (জিমি) নিশাম। ২৯ বলে ৪৮ রান করে বসেন তিনি।
তবে হাফ সেঞ্চুরির জন্য মোস্তাফিজকে ছক্কা মারতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে ধরা পড়েন কিউই
এই ব্যাটার।
বোলিংয়ের শুরুতেই শেখ মেহেদী হাসানকে দিয়ে ওপেন করালেন অধিনায়ক শান্ত। তার
আস্থার দারুণ প্রতিদান দিলেন মেহেদী। প্রথম ওভারের চতুর্থ বলেই টিম সেইফার্টকে বোল্ড
করে দিলেন তিনি। ১ রানে প্রথম উইকেটের পতন ঘটলো।
দ্বিতীয় ওভার করতে আসেন শরিফুল ইসলাম। এই ওভারে ফিন অ্যালেন এবং গ্লেন ফিলিপসকে
ফিরিয়ে দেন শরিফুল। ১ রানে বিদায় নিলেন কিউইদের সেরা ৩ ব্যাটার।
প্রথম ওভারের ৪র্থ বলে স্লোয়ার বলে বিভ্রান্ত হলেন টিম সেইফার্ট। হালকা
নিচু হয়ে যাওয়া বলটি মিস করলেন তিনি। অফ স্ট্যাম্প ভেঙে দিলো মেহেদীর বল। ৩ বলে কোনো
রান না করেই বোল্ড হয়ে গেলেন তিনি।
পরের ওভারের দ্বিতীয় বলেই ফিন অ্যালেন ক্যাচ দিলেন স্লিপে। শরিফুলের লেন্থ
বলে খোঁচা দিতে গিয়ে ক্যাচ তুললেন প্রথম স্লিপে। সৌম্য সরকার সেই ক্যাচ ধরেন। পরের
বলেই গ্লেন ফিলিপসের উইকেট তুলে নেন শরিফুল। এলবিডব্লিউর আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার।
পরে ডিআরএস নিয়ে ফিলিপসকে সাজঘরে পাঠায় বাংলাদেশ।
৫ম ওভারে ড্যারিল মিচেল বোল্ড হয়ে গেলেন মেহেদী হাসানের বলে। ১৫ বলে ১৪
রান করে আউট হলেন আইপিএলে সাড়ে ১৪ কোটির ব্যাটার।
উইকেট নিতে পারেননি কেবল অভিষিক্ত তানজিম হাসান সাকিব। তবে বোলিংয়ে এসেই
উইকেট নিলেন লেগ স্পিনার রিশাদ হাসান। ১০ম ওভারেই তিনি ফিরিয়ে দেন মার্ক চাপম্যানকে।
১০ম ওভারের দ্বিতীয় বলে ছক্কা মারতে গিয়ে তানজিম সাকিবের হাতে ধরা পড়েন চাপম্যান।
চাপম্যান আউট হওয়ার পর ৪১ রানের একটি জুটি গড়ে তোলেন জিমি নিশাম এবং মিচেল
সান্তনার। তবে শরিফুলের বলে সৌম্যর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান কিউই অধিনায়ক। যদিও ক্যাচটি
নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছিলো। টিমি আম্পায়ার বারবার রিপ্লে দেখে আউটের সিদ্ধান্ত দেন।
২২ বলে ২৩ রান করেন সান্তনার।
দলীয় ১১০ রানের মাথায় আউট হন নিশাম। এরপর টিম সাউদি ৮ রানে এবং ইশ সোধি
আউট হন ২ রান করে। ১৬ রানে অপরাজিত থাকেন অ্যাডাম মিলনে।
প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান
বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭