ইনসাইড বাংলাদেশ

২০ জানুয়ারির মধ্যে নতুন সরকার গঠনের প্রস্তুতি


প্রকাশ: 31/12/2023


Thumbnail

সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান সরকারের মেয়াদ আগামী ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত। ২৯ জানুয়ারির মধ্যে একটি নতুন সরকার গঠন করতে হবে। নতুন সরকার গঠনের প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপ হল একটি নতুন জাতীয় সংসদ গঠন। জাতীয় সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে আগামী ৭ জানুয়ারি। এই নির্বাচনের ফলাফলের পর যে দল সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠ হিসেবে প্রতীয়মান হবে, রাষ্ট্রপতি সেই সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতাকে বঙ্গভবনে আমন্ত্রণ জানাবেন এবং তাকেই সরকার গঠনের জন্য আহ্বান জানাবেন। তখন এই বিজয়ী দলের সংসদ নেতা নিজে প্রধানমন্ত্রী হয়ে একটি মন্ত্রিপরিষদ গঠন করবেন। এই মন্ত্রিপরিষদ গঠিত হওয়ার সাথে সাথে বর্তমানে যে সরকার রয়েছে সেই সরকার বিদায় নেবে। এর মধ্যেই নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদেরকে শপথ করাবেন জাতীয় সংসদের বিদায়ী স্পিকার। শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে সংসদ সদস্য হিসেবে একাদশ জাতীয় সংসদে যারা ছিলেন, তাদের মেয়াদের অবসান ঘটবে এবং দ্বাদশ সংসদের সদস্যরা দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। সংসদের প্রথম অধিবেশনের দিন থেকে এই সংসদের মেয়াদের কার্যক্রম শুরু হবে। যদিও সরকার গঠিত হবে প্রথম অধিবেশন শুরুর আগেই। 

সরকারের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে যে, সাংবিধানিক ভাবে কোন রকম সমস্যা যেন সৃষ্টি না হয় সেজন্য আগামী ২০ জানুয়ারির মধ্যে অর্থাৎ বর্তমান সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার অন্তত ১০ দিন আগে নতুন সরকার গঠন করার প্রস্তুতি শুরু করা হয়েছে। কারণ কোন অবস্থাতেই দেশে যেন একটি সাংবিধানিক সংকটের ঝুঁকি সৃষ্টি না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখা হবে। বর্তমান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এক নতুন সরকারকে বরণ করার প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। 

ধারণা করা হচ্ছে যে, আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর ভোটের ফলাফল এবং অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা শেষ করতে ৩ দিন সময় লাগবে। কারণ এবার সব ভোট হচ্ছে ব্যালটে। ইভিএমে কোন ভোট হচ্ছে না। ব্যালটে ভোটের কারণে ভোট গণনার জন্য বেশি সময় প্রয়োজন হয়। পাশাপাশি ভোট যাচাই বাছাই ইত্যাদি ইত্যাদি করতে এবারের নির্বাচনের ফলাফল পেতে কিছুটা বিলম্ব হতে পারে। এরপর দেখা যাবে যে, কোথাও যদি কোন গোলযোগ হয়, কোন ভোটকেন্দ্র নিয়ে কোন সমস্যা হয় ইত্যাদি কারণে আবার পুনঃভোট গ্রহণের বিষয়টি সামনে আসবে। সবকিছু মিলিয়ে ভোটের প্রক্রিয়া এবং সরকারি ফলাফল গেজেট নোটিফিকেশন ইত্যাদি ১০ জানুয়ারির মধ্যে শেষ করার একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে। 

তবে নির্বাচন কমিশনের সূত্রগুলো বলছে, তারা ৭ দিন এই ব্যাপারে সময় নিতে চায়। অর্থাৎ ৭ তারিখে নির্বাচন শেষ হলে ১৫ তারিখের মধ্যে তারা গেজেট চূড়ান্তকরণ, বিরোধ নিষ্পত্তি, বিভিন্ন জায়গায় আপত্তি ইত্যাদি নিঃশেষ করবেন। ফলে চূড়ান্ত ভাবে গেজেট নোটিফিকেশন হতে হতে ১৪ বা ১৫ জানুয়ারি লাগতে পারে বলে বিভিন্ন সূত্র গুলো মনে করছে। এর পরপরই মহামান্য রাষ্ট্রপতি বিজয়ী দলের নেতাকে বঙ্গভবনে ডাকবেন এবং তাকে অভিনন্দন জানাবেন। একই সাথে তাকে নতুন সরকার গঠনের জন্য আহ্বান জানাবেন। এই আহ্বান জানানোর পর নবনির্বাচিত বিজয়ী দলের নেতা একটি মন্ত্রিসভা গঠনের প্রস্তুতি নেবে। অন্য দিকে গেজেট প্রকাশিত হওয়ার সাথে সাথে সংসদ সচিবালয় নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদেরকে শপথ গ্রহণের জন্য আহ্বান জানাবে এবং এ ব্যাপারে  সংসদ সচিবালয় দিনক্ষণ চূড়ান্ত করবে।

ধারণা করা হচ্ছে, যদি ১৪ জানুয়ারির মধ্যে গেজেট আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয় সে ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন ১৫ থেকে ২০ জানুয়ারি মধ্যে সংসদ সদস্যদের শপথ অনুষ্ঠানের কার্যটি সম্পন্ন করে ফেলতে চায়। আর অন্যদিকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ আগামী ২০ জানুয়ারি মধ্যেই নতুন সরকারের শপথ গ্রহণের জন্য বঙ্গভনের আয়োজন চূড়ান্ত করতে আগ্রহী। তবে সবকিছু করছে ৭ জানুয়ারির নির্বাচন কীভাবে হয় তার ওপর।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭