এডিটর’স মাইন্ড

৭ বলে দেবে ২৪ কেমন যাবে


প্রকাশ: 01/01/2024


Thumbnail

ইংরেজি নতুন বছর শুরু হলো আজ। নতুন বছর কেমন যাবে, এ নিয়ে মানুষের আগ্রহের কমতি নেই। মানুষ ভবিষ্যৎ জানতে প্রচণ্ড আগ্রহী। ব্যক্তির ভবিষ্যৎ, সমাজের এবং রাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ জানার আগ্রহ নেই কার? ২০২৪-এ বাংলাদেশ এক ব্যতিক্রমী নতুন বছর বরণ করছে। ২০২৪ সালে বাংলাদেশ কি দুর্ভিক্ষের কবলে পড়বে? নিষেধাজ্ঞায় জর্জরিত হয়ে ইরান কিংবা উত্তর কোরিয়ার মতো ধুঁকবে? নাকি অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে বাংলাদেশের? এসব প্রশ্নের উত্তরের প্রায় পুরোটাই পাওয়া যাবে ৭ জানুয়ারি। বছরের শুরুতেই হতে যাচ্ছে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এ নির্বাচনের ওপরই নির্ভর করছে আগামীর বাংলাদেশের গতিপথ। মাঝেমধ্যে একটি দিন তারকা হয়ে ওঠে। হয়ে ওঠে নিয়ন্ত্রক। একটি দিন বদলে দেয় ইতিহাস। একটি দিন সবকিছু পাল্টে দেয়। বাংলাদেশের জন্য তেমনি দিন ৭ জানুয়ারি। ২০২৪ সালে আমরা কেমন থাকব, বাংলাদেশ কেমন থাকবে, তা মোটামুটি নির্ধারিত হবে ৭ জানুয়ারি। কেমন হবে ৭ জানুয়ারি ভোটের দিন?

প্রতিদিনের পানসে, ম্যাড়মেড়ে জীবনে হাঁপিয়ে ওঠা মানুষ এখন চমক চায়। অলৌকিক কিছুর প্রত্যাশা করে। ফ্যান্টাসি জগতে ঢু মারতে বেশি পছন্দ করে। গৎবাঁধা স্বাভাবিক জীবনে বিরক্ত মানুষ নাটকীয় কিছুর প্রত্যাশা করে। সিনেমার কথাই যদি ধরি, বিদায়ী বছরে (২০২৩) শাহরুখ খানের তিনটি ছবি মুক্তি পেয়েছে। পাঠান, জওয়ান এবং সর্বশেষ ডানকি। তিনটি ছবিই আমি দেখেছি। তিনটি ছবির মধ্যে একমাত্র ডানকির গল্প জীবনঘনিষ্ঠ। প্রতিবছর লাখো দরিদ্রপীড়িত মানুষ তাদের ভাগ্য পরিবর্তনের আশায় অবৈধ পথে অভিবাসনের ঝুঁকি নেয়। ভয়ংকর দুর্গম পথ পাড়ি দেয় তারা মরীচিকার আশায়। এরা মনে করে, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য কিংবা ইউরোপে গেলেই তাদের সব কষ্ট দূর হবে। এসব অবৈধ অভিবাসীর দুর্গম পথকে বলা হয় ‘ডানকি রুট’। রাজকুমার হিরানির মতো মেধাবী পরিচালকের হাতে গল্পটার মধ্যে প্রেম, দেশপ্রেমের এক ভারতীয় সস্তা আবেগের মসলা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ‘পাঠান’ কিংবা ‘জওয়ান’-এর মতো হৈচৈ ফেলতে পারেনি ডানকি। দক্ষিণ ভারতের নির্মাতা অ্যাটলির হাতে ‘জওয়ান’ অবাস্তবতায় ভরপুর এক ফ্যান্টাসি। দুর্নীতিবাজ রাজনীতিবিদ আর ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট ভাঙতে এক জওয়ানের অতি মানবীয় সব কর্মকাণ্ড। লার্জার দ্যান লাইফ। মানুষ প্রতিদিনের পর্যুদস্ত জীবনে একজন ‘জওয়ান’ চায়। মানুষ হলে গিয়ে আটপৌরে জীবনের কাসুন্দি দেখতে চায় না। মানুষ এখন দেখতে চায় অতি নাটকীয়তা, অলৌকিকতা। নায়ককে দেখতে চায় ত্রাতা হিসেবে। এক ফুৎকারে যিনি সব অন্যায় উপড়ে ফেলেন। শুধু যে সিনেমায় অতি নাটকীয়তার মানুষ এখন ঝুঁকছে তা নয়, প্রতিদিনের জীবনে মানুষ ভাবে বড় কিছু ঘটবে। ভয়ংকর কিংবা অলৌকিক। একটা হুলস্থুল চায়। নিস্তরঙ্গ জীবনের একটি ছন্দপতন চায়। এজন্যই গত বছর জুড়ে এ দেশের মানুষের আগ্রহ ছিল, কী হবে দেশে? নির্বাচন কি হবে শেষ পর্যন্ত? যুক্তরাষ্ট্র কি নিষেধাজ্ঞা দেবে? নির্বাচনের আগে এবং পরে বিএনপি কী করবে? শুধু সাধারণ মানুষ নয়, বিরোধী দলের অনেক নেতাও আজকাল দেখি ফ্যান্টাসি জগতে বসবাস করছেন। বিএনপি নেতা মঈন খান থেকে শুরু করে রুহুল কবির রিজভী সবাই যেন ‘জওয়ান’ কিংবা পাঠানের অপেক্ষা করছেন। বলছেন চমক আসছে। কিছু একটা হবে। কিন্তু জীবন রূঢ় বাস্তবতা। একটি দেশে হঠাৎ করে কিছু হয় না। ২০২৩ সালে যারা বহু কিছুর শঙ্কা করেছিল, তারা যুক্তিনির্ভর ছিল না। ২০২৪ সালে বাংলাদেশ কোন পথে এগোবে, তা পর্যালোচনার আগে, ২০২৩ সালে আমরা দেশকে কোথায় রেখে গেছি তা একটু খতিয়ে দেখা দরকার।

একটি জাতীয় নির্বাচনের দ্বারপ্রান্তে দেশকে রেখে ২৩ বিদায় নিয়েছে, ২০২৪ সালকে আমরা বরণ করলাম মাত্র। আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের ওপর বাংলাদেশের অনেক কিছু নির্ভর করছে। বাংলাদেশ কোন পথে যাবে তা নির্ভর করবে এ নির্বাচন কীভাবে হয় তার ওপর।

২০২৩ সালে আমরা অর্থনীতিকেও একটা ভঙ্গুর অচেনা পথে রেখে এসেছি। বছরের শেষে এসে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২ বিলিয়ন ডলার বেড়েছে বটে, কিন্তু তা স্বস্তির নয় মোটেও। অর্থনীতি একটা ভালো সংকটে আছে, বিশেষ করে মুদ্রাস্ফীতি সরকারের জন্য বড় মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ’২৩ সালের অর্থনীতি যে কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে আছে, আগামী বছর নতুন সরকারকে তা উদ্ধারে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। কিন্তু সেই কাজটি নতুন সরকার তখনই করতে পারবে যখন নির্বাচন জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য হবে।

অর্থাৎ ২০২৪ সালের বাংলাদেশ কেমন হবে তা পুরোপুরিভাবে নির্ভর করছে ৭ জানুয়ারির ওপর। সকালের সূর্য যেমন বলে দেয় আজকের দিনটি কেমন যাবে। তেমনি ৭ জানুয়ারির ভোট বাংলাদেশের ভবিষ্যতের পথের দিশা দেবে, ৭ জানুয়ারি ভোট হবেই। ভোট নিয়ে অতি নাটকীয়তার কথা বিএনপি নেতারা যতই বলুন না কেন, কোনো ‘জওয়ান’, ‘পাঠান’ কিংবা ‘অ্যানিমেল’ এসে সুপার অ্যাকশন দেখিয়ে ভোট বন্ধ করতে পারবে না। তবে ২০২৪ সাল কেমন যাবে তা নির্ভর করছে, কীভাবে ভোট হয় তার ওপর। রাজনৈতিক বিশ্লেষণের স্বার্থে আমরা কয়েকটা প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে আলোচনা এগিয়ে নিতে পারি।

প্রেক্ষাপট এক : সুন্দর ও সুষ্ঠু ভোট! নির্বাচনের বাকি ছয় দিন। এখন পর্যন্ত ভোটের পরিবেশ বিগত দুটি নির্বাচনের চেয়ে ভালো। নির্বাচন কমিশন কঠোর। ছোটখাটো সহিংসতা, বিচ্ছিন্ন উত্তেজনা ছাড়া ভোটের পরিবেশ ভালো। এরকম পরিস্থিতি অব্যাহত থেকে যদি ৭ জানুয়ারি সুষ্ঠুভাবে ভোট হয়, তাহলে এ নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতার সংকটে পড়বে না। ভোটার উপস্থিতি হতে হবে অন্তত ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ। ভোটে সরকারি দল প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করবে না। কারচুপির অভিযোগ উঠবে না। এরকম একটি নির্বাচন হলেও বিএনপি এবং অন্যান্য নির্বাচন বর্জনকারী দলগুলো হয়তো কথা বলবে। তারা তাদের রাজনৈতিক ভাষায় নির্বাচন নিয়ে নানা সমালোচনা করবে। কিন্তু সেটি হালে পানি পাবে বলে মনে হয় না। একটা কথা মনে রাখতে হবে, এ নির্বাচনে চোখ সারা বিশ্বের। আওয়ামী লীগ যেমন নির্বাচন সুষ্ঠু না হলে জোর করে সুষ্ঠু বলে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবে না। তেমনি বিরোধীপক্ষ যতই ‘ডামি নির্বাচনের প্রহসন’ বলে চিৎকার-চেঁচামেচি করুক, সুন্দর নির্বাচন হলে তাদের (বিরোধীপক্ষের) বক্তব্যও কেউ আমলে নেবে না। ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ পশ্চিমা দেশগুলো নির্বাচনের ফলাফল মেনে নেবে। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে নতুন সরকারের চতুর্থ মেয়াদের অভিযাত্রা শুরু হবে। অর্থনীতি পুনরুদ্ধার, দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে নতুন সরকারকে কঠোর হতে হবে। মন্ত্রিসভা গঠনে চমক দেখিয়ে জনগণকে প্রথম আশাবাদী করতে হবে। তারপর শেখ হাসিনা কী করেন, তা সময়ই বলে দেবে। প্রথম প্রেক্ষাপটে অনিশ্চয়তা কম। দেশে সংকটের শঙ্কাও কম। বিরোধী দল কিছুদিন আন্দোলন করে আস্তে আস্তে থেমেও যাবে। সবকিছু চলবে আবার স্বাভাবিকভাবে। এতে ২০২৪ হবে চমকহীন।

প্রেক্ষাপট দুই : ৭ জানুয়ারি দ্বিতীয় যে প্রেক্ষাপট সৃষ্টি হতে পারে তা হলো, নির্বাচনে কারচুপি অথবা ভোটারদের নৈরাশ্যজনক উপস্থিতি। জনগণের ভোটের বদলে শেষ মুহূর্তে এমপি বাছাই। ‘সিলেক্ট অ্যান্ড ডিক্লেয়ার’ পদ্ধতি। নির্বাচনে অনিয়ম নানাভাবে হতে পারে। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের হাতে নাস্তানাবুদ হওয়ার আতঙ্কে আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট প্রার্থীরা লজ্জা শরমের মাথা খেয়ে কারচুপি, ভোট জালিয়াতির আশ্রয় নিতে পারেন। প্রশাসনকে ব্যবহার করতে পারেন। স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের পিটিয়ে ভোটকেন্দ্র থেকে বিতাড়িত করতে পারেন। এরকম কয়েকটি ঘটনাই এ নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে যথেষ্ট। সব জায়গায় লাগবে না, কয়েকটি ভোটকেন্দ্রে এরকম হলেই হৈচৈ শুরু হবে। পরিস্থিতি সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে। পরিস্থিতি জটিল করতে পারেন অতি উৎসাহী আমলা, চাটুকার এবং পরগাছা রাজনীতিবিদরাও। যুক্তরাষ্ট্র ম্যানেজ হয়ে গেছে, কাজেই ভয় কী। ‘সিলেক্ট অ্যান্ড ডিক্লেয়ার’ পদ্ধতি সব আসনে বিজয়ী ঘোষণা করার আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। যেমনটি হয়েছিল ২০১৮ সালের নির্বাচনে। যাই হোক, এরকম নির্বাচন হলে জাতীয়ভাবে তো নয়ই, আন্তর্জাতিকভাবেও এ নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না। তখন আসবে নিষেধাজ্ঞা, অবরোধ, দুর্ভিক্ষ।

যুক্তরাষ্ট্র এখন পর্যন্ত নির্বাচন নিয়ে চুপচাপ। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলারের বুদ্ধিমত্তা এবং ধৈর্যের প্রশংসা করতেই হয়। বাংলাদেশ নিয়ে সব প্রশ্নের উত্তর তিনি এককথায় দিচ্ছেন। ‘বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র, যা সে দেশের জনগণও চায়’—এই শব্দগুচ্ছে বন্দি মার্কিন গোপন অভিপ্রায়। যুক্তরাষ্ট্রকে বশীভূত করার ক্ষেত্রে বন্ধুরাষ্ট্র ভারতও ভূমিকা রেখেছে। কিন্তু সবাই একটা বিষয়ে একমত, ৭ জানুয়ারির নির্বাচন হতে হবে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ। ৭ জানুয়ারি (প্রেক্ষাপট-২)-এর পরিস্থিতি তৈরি হলে, এ নির্বাচন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাবে না। জটিল, অনিশ্চয়তার অন্ধকার টানেলে আমরা প্রবেশ করব। তখন সরকারের সামনে দুটি বিকল্প পথ থাকবে। এক, নির্বাচনের ফলাফলের ভিত্তিতে দ্রুত সরকার গঠন করা। ভালো দক্ষ ব্যক্তিদের মন্ত্রিসভায় স্থান দেওয়া। বিশ্ব কূটনীতি জোরদার করে, দ্রুততার সঙ্গে নতুন সরকারের বৈধতা আনা। বিশেষ করে যেসব দেশের ওপর আমরা নির্ভরশীল তাদের সঙ্গে যে কোনো মূল্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক অব্যাহত রাখা। সরকারের করিৎকর্মা কতিপয় অর্বাচীন আমলা যতই বলুন না কেন, নিষেধাজ্ঞা নিয়ে ভয় পাই না। বাস্তবে এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা আমাদের সর্বনাশ করবে। কোনো ধরনের নিষেধাজ্ঞার ভার বহনের সক্ষমতা আমাদের নেই। এটা বাংলাদেশকে নিয়ে যাবে অন্ধকার যুগে। ২০২৪ হতে পারে বাংলাদেশের অন্ধকার যাত্রার সূচনা বছর।

এরকম প্রেক্ষাপটে সরকারের সামনে দ্বিতীয় বিকল্প হলো, নতুন নির্বাচনের আয়োজন। সেটা সরকারের পরাজয়ের নামান্তর।

প্রেক্ষাপট তিন : ৭ জানুয়ারির আরেকটি প্রেক্ষাপট তৈরি হতে পারে। নির্বাচন যাই হোক, ভোটের পর আসল রূপে আত্মপ্রকাশ করবে আন্তর্জাতিক প্রভুরা। এতদিন চুপচাপ তারা সব দেখেছে, কিছু বলেনি। ৭ জানুয়ারির পর আসল নাটক শুরু হবে। প্রধানমন্ত্রী গত এক বছর ধরে বলছেন বাংলাদেশ নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। প্রভাবশালী বিশ্বমোড়ল, এ দেশের সুশীল সমাজ এবং বিএনপি ঐক্যবদ্ধভাবে ‘বাংলাদেশ’ নিয়ে একটি অভিন্ন ব্লু প্রিন্ট বাস্তবায়নের কাজ করছে। সেজন্যই বিএনপি নির্বাচন থেকে দূরে। যে রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন বর্জন করছে, তারাও এ পরিকল্পনার অংশ। সুশীল সমাজের একটি অংশ তো আগে থেকে এ নির্বাচন বাতিল করে দিয়েছে। সবাই প্রস্তুত, ৭ জানুয়ারির পর একযোগে তারা আওয়াজ তুলবে। নিষেধাজ্ঞা আসবে, চাপ আসবে। এখানেও (প্রেক্ষাপট-২)-এর মতোই আওয়ামী লীগের সামনে দুটি বিকল্প থাকবে। তবে এ পরিস্থিতিতে (প্রেক্ষাপট-৩) বাংলাদেশ যে পশ্চিমা আগ্রাসন এবং ষড়যন্ত্রের শিকার, তা বিশ্ববিবেকের কাছে পরিষ্কার হবে। বিশ্বরাজনীতির যে মেরূকরণ এবং বিন্যাস হচ্ছে, তাতে এরকম ষড়যন্ত্র নাটকে বাংলাদেশ হয়তো বিশ্বে একা থাকবে না। সে ক্ষেত্রে ২০২৪ হবে আমাদের জন্য কঠিন বছর। সংগ্রামের বছর, চ্যালেঞ্জের বছর।

আমি জানি না, ৭ জানুয়ারির ভোট কেমন হবে। তবে বাংলাদেশের আগামী দিনের গতিপথ নির্ধারিত হবে নতুন বছরের প্রথম সপ্তাহেই। এটাই কি কম চমক? স্বাগত ২০২৪।


লেখক: নির্বাহী পরিচালক, পরিপ্রেক্ষিত

ইমেইল: poriprekkhit@yahoo.com



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭